আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ চলছে
Published: 2nd, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও দলটির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই সমাবেশ শুরু হয়েছে। মঞ্চে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন।
এনসিপির সমাবেশের কারণে বায়তুল মোকাররমের জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গভবন অভিমুখী প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক মো.
সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মশিউর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না— গত ৫ আগস্ট এই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদিন শিশির বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং খুনি হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচার অবশ্যই হতে হবে৷ এই দাবি আদায়ে এনসিপি মাঠে আছে, থাকবে৷
এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।
এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররমের আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায়।
সমাবেশে শহীদ খালিদ সাইফুল্লার পিতা ডা. কামরুল বলেন, আমার ছেলের বুকে ৭০টা গুলি করা হয়েছিল। একজন মানুষকে মারতে কতগুলো গুলির প্রয়োজন হয়? আমি বলতে চাই খুনি হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
এনসিপি জানিয়েছে, গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলটির রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধে দাবির অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সমাবেশের আয়োজন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টির ঢাকা মহানগর শাখা।
এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যায় শাহবাগ এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সেখানে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর রাজনৈতিক দল নয়। গণ-অভ্যুত্থানের পর তারা রাজনীতি করার নৈতিক ও গণতান্ত্রিক ভিত্তি হারিয়েছে। তাই দ্রুত বিচার করে দলটিকে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার রাখে না। জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা। যদি ফ্যাসিবাদকে আবার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হয়, তাহলে তা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিহত করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ এনস প সম ব শ এনস প র র জন ত আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়ান্ডা-কঙ্গোর সঙ্গে চুক্তি করছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের নজর এবার আফ্রিকায়। কঙ্গো ও রুয়ান্ডার মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় খনিজ সম্পদ চুক্তির জন্য তোড়জোড় করছে ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আফ্রিকাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মাসসাদ বৌলোস। দোহায় এক সাক্ষাৎকারে বৌলোস বলেছেন, শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হলে সেদিনই কঙ্গোর সঙ্গে খনিজ সম্পদ চুক্তি সম্পন্ন করবে যুক্তরাষ্ট্র। আর রুয়ান্ডার সঙ্গে একই তবে কিছুটা ভিন্ন আকারের চুক্তি করা হবে।
এই চুক্তি এমন একসময়ে হচ্ছে, যখন রুয়ান্ডাসমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা কঙ্গোতে নজিরবিহীন অগ্রগতি অর্জন করছে। অঞ্চলটি ট্যানটালাম, স্বর্ণসহ বিভিন্ন খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এবং কয়েক দশক ধরে সংঘাতে জর্জরিত। রয়টার্স।