প্রথমবার ব্রি ১০৪ জাতের ধান চাষ করে বাজিমাত করেছেন আখাউড়ার ধান চাষিরা। ফলন বেশি হওয়ায় হৈ চৈ পড়েছে কৃষকদের মাঝে। চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রি ১০৪ জাতের ধান আবাদ করে কৃষকরাও খুশি। জমির পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই নাকে লাগছে ধানের সুগন্ধ। সেই সাথে সুগন্ধ চড়াচ্ছে মাঠজুড়ে। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে এ জাতের ধান শুরু থেকে কাটা পর্যন্ত মোট ১৪৭ দিন সময় লাগছে কৃষকের গোলায় উঠতে। উচ্চফলনশীল ব্রি-১০৪ জাতের ধানে বিঘা প্রতি ২২ থেকে ২৫ মণ ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রোগ্রামের আওতায় এই প্রথম আখাউড়ায় বীজ উৎপাদনের প্রদর্শনী হিসেবে কৃষি অফিসের সহায়তায় ব্রি ধান ১০৪ জাতের ধান আবাদ করে কৃষকরা। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৫ হাজার ৭ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ব্রি ১০৪ জাতের ধান ৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়। এর মধ্যে কৃষকদের প্রদর্শনী রয়েছে দুটি। মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া ও প্রকৃতি ধান চাষের অনুকূলে থাকায় মাঠে তেমন কোনো রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ দেখা যায়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে ফলন ভাল হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মাঝে ১০৪ জাতের ধান বেশ সাড়া ফেলেছে। এ ধানের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। সুগন্ধযুক্ত এই ধান চিকন, ফলন ও বাজারদর ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছে কৃষক।

সরজমিনে উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ, ধরখার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় যে, এখনো কিছু জমিতে ব্রি ১০৪ ধান গাছ বাতাসে খেলে দোলে ঝুলছে। মাঠে মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সোনালী ধানের সমারোহ হয়ে আছে। কাঁচা-পাকা সোনা রঙের মন জুড়ানো ধানের শিষ হাওয়ায় দোল খাচ্ছে। ইতোমধ্যে জমিতে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পর করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। কথা হয়ে উপজেলার ধরখারের নাজমুল হকের সাথে।

তিনি বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় এ মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে পরীক্ষা মূলক ১০৪ জাতের ধান আবাদ করি। সরকার থেকে নগদ টাকা, বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছি। ইতোমধ্যে ধান কাটা হয়েছে। বিঘায় ধান পেয়েছি ২৪ মণ। এই জমির ভালো ফলন দেখে বিভিন্ন জায়গা থেকে কৃষক আসছে এই ধানের বীজ নিতে। আগামীতে আরও বেশি জমিতে এই ব্রি ধান-১০৪ রোপণ করা হবে বলে জানায়।

আরেক কৃষক মুছা মিয়া বলেন, শুরুতে এ ধানের ফলন নিয়ে চিন্তিত থাকলেও তা দূর হয়েছে। জমির পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই সুগন্ধ পাওয়া যায়। এটি সুগন্ধি জাত ও বাসমতী বৈশিষ্ট্য। জমির ধান পেকে গেছে দুয়েক দিনের মধ্যে কাটা হবে।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা.

তানিয়া তাবাসসুম বলেন, এবার পরীক্ষামূলক ৭ হেক্টর জমিতে ব্রি ১০৪ আবাদ করা হয়। এ জাতটি উচ্চ ফলনশীল। অ্যারোমেটিক পদার্থ থাকায় জমির পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই সুগন্ধ পাওয়া যায়। অন্য ধানের চাইতে ফলন ভালো হয়। এটি চিকন ও প্রিমিয়ার কোয়ালিটি। এটা খুবই লাভজনক ধান। তাই এ জাতীয় ধান চাষ করতে উপজেলার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ১০৪ জ ত র ধ ন ক ষকদ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া