গাড়িচাপা দেওয়ার পর ভুক্তভোগীর নামেই মামলা
Published: 2nd, May 2025 GMT
১৯ ফেব্রুয়ারি, রাত সাড়ে ৮টা। রাজধানীর ধানমন্ডির ১৩ নম্বর রোডে হঠাৎ একটি প্রাইভেটকার রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গাড়িচালককে ধরতে দুই যুবক আলাদা মোটরসাইকেলে গাড়িটির পিছু নেন। ১৫ মিনিট ধাওয়া করার পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে গাড়িটির সামনে গিয়ে পথরোধ করার চেষ্টা করলে তাদের সজোরে ধাক্কা দেন এর চালক। সড়কে পড়ে গেলে চালক তাদের একজন জাকির হোসেনের ওপর গাড়ি তুলে দেন। এতে তাঁর দুই পা-ই পা ভেঙে যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে কাটাছেঁড়া ও কোমরে আঘাত পান তিনি।
এ ঘটনায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি মডেল থানায় ওই গাড়িচালকের নাম উল্লেখ না করে গাড়ির নাম ও নম্বর দিয়ে মামলা করেন জাকির। তবে ঘটনা এখানেই থেমে নেই। সেই গাড়িচালককে তো আটক করা হয়নি, উল্টো মামলা করার কয়েক দিন পর জাকিরকে ১ নম্বর আসামি করে চারজনের নামে আদালতে মামলা করেন গাড়িচালক ধানমন্ডির বাসিন্দা উমার ফারুক সাবিত। আদালত সেই আবেদন আমলে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। গত ২৬ এপ্রিল জাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় যাওয়ার জন্য নোটিশ দেয় পুলিশ।
সমকালের হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাবিতকে গাড়ির দরজা খোলার জন্য দুই যুবক বারবার বলছেন, টোকা দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি দরজা না খুলে সঙ্গীসহ দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যান।
অন্যের মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন ভুক্তভোগী জাকির হোসেন। তিনি সমকালকে বলেন, প্রাইভেটকারটি মোরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে আমার পায়ের ওপর উঠিয়ে দেওয়ায় আমার দুই পা ভেঙে যায়। বাঁ পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। অথচ আমার নামেই ছিনতাইয়ের মামলা করেছেন সেই গাড়িচালক।
এদিকে, ঘটনার আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও সাবিতকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। বরং তিনি এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চাপা দেওয়া গাড়ি ব্যবহার না করে অন্য একটি গাড়ি ব্যবহার করছেন।
এ বিষয়ে ঘটনার তদন্তে থাকা ধানমন্ডি মডেল থানার এসআই মো.
অভিযোগের বিষয়ে উমার ফারুক সাবিত বলেন, ঘটনার দিন আমি আমার বন্ধুসহ রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করে বের হওয়ার সময় ১০-১২ জন কোনো কারণ ছাড়াই আমার গাড়িতে হামলা করে। আমার গাড়ির কাচ ভাঙচুর করে। জীবন রক্ষার্থে গাড়ি টান দিই, আমাকে তারা ধাওয়া করে। পরে সরাসরি থানায় গিয়ে জিডি করি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বোম জিঞ্জার লেমন টি বানাবেন যেভাবে
ছবি: সৌরভ দাস