জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর। বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের একজন তিনি। অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বিশেষ করে গত বছর মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘স্ত্রী টু’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে সিনেমাটি ঝড় তুলেছিল। এবার জানা গেল, নতুন সিনেমার জন্য আকাশচুম্বী পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ‘আশিকি’খ্যাত এই তারকা।
বলিউড হাঙ্গামা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘স্ত্রী টু’ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র রূপায়ন করেন শ্রদ্ধা কাপুর। এ চরিত্রের জন্য ৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ কোটি ১২ লাখ টাকার বেশি) পারিশ্রমিক নেন তিনি। একতা কাপুরের পরবর্তী সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। এ সিনেমার জন্য ১৭ কোটি রুপি বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার বেশি)। শুধু তাই নয়, সিনেমাটির লভ্যাংশও নেবেন এই অভিনেত্রী।
বক্স অফিস সম্পর্কিত একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “শ্রদ্ধা কাপুরের ক্যারিয়ারে এটি সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। বর্তমানে হিন্দি সিনেমায় প্রধান নারী চরিত্র রূপায়নকারীর সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের মধ্যে একটি এটি। ১৭ কোটি রুপিতে শ্রদ্ধাকে চুক্তিবদ্ধ করাতে পেরে খুশি একতা কাপুরও। রাহি অনিল বার্ভের সিনেমাটি শ্রদ্ধার হিন্দি সিনেমার সর্বাধিক আয়কারী চলচ্চিত্র ‘স্ত্রী টু’-এর পরবর্তী পর্ব হতে যাচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
হিন্দি সিনেমার ব্যর্থতার দায় কাকে দিলেন আমির?
প্রথম দিনে কত আয় করল অজয়ের সিনেমা?
পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একতা কাপুরের থ্রিলার ঘরানার এ সিনেমার নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটি পরিচালনা করবেন রাহি অনীল বার্ভে। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সিনেমাটির শুটিং শুরুর কথা রয়েছে। তবে পারিশ্রমিক বৃদ্ধির বিষয়ে শ্রদ্ধার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘স্ত্রী টু’। এটি পরিচালনা করেন অমর কৌশিক। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন রাজকুমার রাও। কমেডি-হরর ঘরানার এ সিনেমা গত বছরের ১৫ আগস্ট বিশ্বের প্র্রায় ৩ হাজার পর্দায় মুক্তি পায়। ১২০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা মোট আয় করে ৮৭৪ কোটি রুপির বেশি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লার সেই বিএনপিকর্মী ইব্রাহিম মারা গেছেন
ফতুল্লার বিএনপি কর্মী ইব্রাহিম (৫২) মারা গেছেন। সে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছিলেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যান।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে হাজিগঞ্জ জামে মসজিদে নিহতের নামাজের জানাজা শেষে পাঠানটুলি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত ইব্রাহিম ফতুল্লা থানার ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড হাজীগঞ্জের আব্দুল জলিলের পুত্র। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
জানা যায়,২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির ডাকা মহা সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদলের ব্যানারে সে অংশগ্রহণ করে।
সমাবেশের শেষের দিকে মুল মঞ্চের পেছনের দিকে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা,কর্মীও সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সে সময় পুলিশ বিএনপি নেতা- কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ইব্রাহিম পুলিশের হামলায় মারাত্নক আহত হয়ে রাস্তায় পরে থাকে। সে সময় সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। ঘটনার চারদিন পর তার সহোযোগিরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে খুঁজে পায়। দীর্ঘদিন সহোযোগিরা নিজেদের অর্থায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর আল বারাকা নামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা করায়।
পরবর্তীতে ইব্রাহিমকে নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হলে বিএনপি নেতা ও শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই রোববার রাতে তিনি মারা যান।
ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ পারভেজ মিয়া জানান,নিহত ইব্রাহিম ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঘোষিত পল্টন পার্টি অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও ইউনিয়ন যুবদলের সাথে ঢাকায় গিয়েছিলেন ।
সমাবেশ চলাকালে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন টিপু ও নিহত ইব্রাহিম এবং তিনি সহ আরো নেতা-কর্মীরা পল্টন পার্টি অফিস সংলগ্ন চায়না টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়। এতে করে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে।
অতর্কিত হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় চার দিন পর পত্রিকার নিউজে দেখতে পায় ইব্রাহিম নামে একজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সেই সংবাদের পর তার পরিবারের লোকজন এবং ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলী ঢাকা মেডিকেলে খোঁজ নেওয়ার পরে তারা নিশ্চিত হন যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকা চিকিৎসারতি হচ্ছে তাদের নিখোঁজ ইব্রাহিম।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসা শেষ করে তাকে বাসায় আনা হয়। বাসায় আনার পরে উনি আবার অসুস্থ হয়ে পরে। ফলে ৮ নং ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় পুনরায় তাকে মদনপুর আল বারাকা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় তিন মাস চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পরেন।
এমতাবস্থায় নাসিক ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন তাকে দেখতে আসলে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ পায়। প্রকাশিত সংবাদের পর বিএনপি নেতা শিল্পপতি প্রাইম বাবুল ভাই তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নেন।
বাবুল ভাই নিজে এসে তার দাত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমান ১১ টা ৪০ মিনিটের সময় তিনি ইন্তেকাল করেন।