রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ওই কর্মকর্তার নাম মো. মামুন-অর-রশিদ। তিনি রুয়েটের নিরাপত্তা শাখার সেকশন অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে মামলা আছে।

রুয়েট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট নগরের আলুপট্টি মোড়ের স্বচ্ছ টাওয়ারের সামনে ছাত্র–জনতার ওপর হামলার সঙ্গে প্রশাসনের কিছু শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় মামুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। পরে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিতে তাঁকে রুয়েটের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে অফিসকক্ষ থেকে আটক করা হয়। পরে স্থানীয় মতিহার থানা-পুলিশের কাছে তাঁকে সোপর্দ করে প্রশাসন। মতিহার থানা-পুলিশ যাচাই–বাছাই করে বোয়ালিয়া থানায় মামলা থাকায় তাঁকে সেখানে হস্তান্তর করে।

রুয়েটের নিরাপত্তা শাখার সহকারী পরিচালক মো.

জালাল উদ্দীন বলেন, থানায় মামলা হওয়ায় একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। তবে প্রশাসন হস্তান্তর করেনি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা থাকায় পুলিশ তাঁকে নিয়ে গেছে।

নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, রুয়েট থেকে মামুন-অর-রশিদ নামে একজনকে মতিহার থানায় হস্তান্তর করা হয়। বোয়ালিয়া থানায় মামলা থাকায় তাঁকে এখানে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত স পর দ

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাশিল্পীকে মারধর-নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

ময়মনসিংহ নগরীতে এক নারী যাত্রাশিল্পীকে মারধর করে, চুল কেটে দিয়ে ও মুখে কালি মাখিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করেন। 

গ্রেপ্তার শাহ আলম (৪০) চরকালীবাড়ি এলাকার মো. রাশেদের ছেলে। তিনি মামলার ৩ নম্বর আসামি। তাকে জুবিলী ঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নির্যাতনের শিকার নৃত্যশিল্পীর নাম মোছা. রুপা নগরের বড় কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তারা নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাসুদ জামেলী বলেন, “ওই নারীকে বেঁধে রেখে চুল কেটে মারধর করা হয়েছে। মুখে কালি মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুটি পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই মামলা চলছিল। অপহরণ মামলার আসামিরা জামিনে ছিলেন। আদালতের আরেকটি ভাঙচুরের মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ গত বুধবার দুপুরে ফিরে আসে। তখন প্রতিপক্ষ রাস্তায় রুপাকে আটকে নির্যাতন চালায়।”

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, বড় কালীবাড়ি লোকনাথ মন্দির-সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের একটি বস্তিতে বাস্তুহারা সমবায় সমিতির কাছ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে ৩ লাখ টাকায় একটি জমি কেনেন রুপা। গত বছর সেখানে আধা পাকা ঘর করতে গেলে সমবায় সমিতির সদস্য শাহ আলম চাঁদা দাবি করেন। 

এক লাখ টাকা দেওয়ার পর আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না পেয়ে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রুপার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় রুপা আদালতে মামলা করেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল রুপার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে মো. রনি সুলতানকে অপহরণ করা হয়। 

এ ঘটনায় রুপা ৯ এপ্রিল মামলা করলে আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। রুপার করা ভাঙচুর মামলার তদন্ত করতে পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যায়। 

পুলিশ চলে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ রাস্তায় রুপাকে ধরে নিয়ে বেঁধে মারধর করে, চুল কেটে ও মুখে কালি মেখে হেনস্তা করে। এসময় তার সামনে মাদক ও টাকা রেখে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। 

পরে রুপার স্বামী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

রুপা বলেন, ‘‘পুলিশ চলে যাওয়ার পরই আমাকে রাস্তায় ধরে নিয়ে গিয়ে বেঁধে চুল কেটে মুখে কালি মেখে দেয়। আমি বিচার চাই।’’

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম বলেন, “মামলা তদন্ত করে পুলিশ ফিরে আসার পর ওই নারীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।”

ঢাকা/মিলন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীর বছিলায় পেট্রলবোমাসহ একজনকে আটক করেছে র‍্যাব
  • যাত্রাশিল্পীকে মারধর-নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১