চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় কচি ঘাস খেয়ে একসঙ্গে তিনটি গাভির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৪ মে) উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া গাভিগুলো কিমারা বেগমের। তিনি একই গ্রামের সাদিকুল ইসলামের স্ত্রী।

এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনের মতো আজ রবিবার সকালে গাভিগুলোকে কচি ঘাস খেতে দিয়েছিলেন কিমারা বেগম। সুস্থ-সবল গাভিগুলো ঘাস খেয়ে বেলা ১১টার দিকে একসঙ্গে মারা যায়। এ দৃশ্য দেখে চিৎকার করে কানতে শুরু করেন কিমারা বেগম। 

কিমারা বেগম বলেন, “স্বামী অন্যকাজে ব্যস্ত থাকায় গাভিগুলো আমিই দেখভাল করতাম। গাভি তিনটি ছিল গর্ভবতী। কয়েক দিনের মধ্যেই দুইটি গাভির বাচ্চা হওয়ার কথা ছিল। গাভিগুলো হারিয়ে আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে গেলাম।”

আরো পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে লিচুর বিচি গলায় আটকে শিশুর মৃত্যু

ব্যাটারিচালিত ভ্যানে উঠে খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশুর

আকস্মিক তিন গাভির মৃত্যুর খবর পেয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.

মো. শাহাদৎ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

তিনি জানান, কচি ঘাসে প্রচুর নাইট্রেট জমে থাকে। অধিক পরিমাণে সেই ঘাস খেলে ‘নােইট্রেট পয়জনিং’ হয়। প্রাথমিকভাবে তিনি ধারণা করছেন, এ কারেণেই গরুগুলো মারা যেতে পারে।

শাহাদৎ হোসেন বলেন, “বিষয়টি তদন্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর বিস্তারিত জানা যাবে।”

ঢাকা/মেহদেী/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গর

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল