চট্টগ্রামের পটিয়া ও সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ
Published: 5th, May 2025 GMT
মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদ এবং এ ঘটনার বিচার দাবিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও পটিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে চলা এই সড়ক অবরোধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
সকাল ১০টা থেকে সীতাকুণ্ডের বগুলা বাজার, কদমরসুল, ভাটিয়ারী এলাকায় ‘সর্বস্তরের সুন্নি জনতা’ ব্যানারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের কদমরসুল এলাকায় সড়কের ওপর লোহার পাইপ এবং বসার টেবিল রেখে অবরোধ করা হয়েছে। সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধকারী ব্যক্তিরা মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। অবরোধের কারণে সড়কের দুই দিকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ঘটনাস্থলে কথা হয় সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা নুরুল কিবরিয়ার সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সীতাকুণ্ড পৌর সদর থেকে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট এলাকায় যাচ্ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে তাঁর গাড়িটি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বগুলা বাজার এলাকায় পৌঁছালে অবরোধের মধ্যে পড়েন। ১৫ মিনিট গাড়িতে বসে থাকার পর গন্তব্যের উদ্দেশে হেঁটে রওনা দেন তিনি। এরপর কদমরসুল এলাকায় পৌঁছে আবারও অবরোধ দেখতে পেয়েছেন।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোমিন প্রথম আলোকে বলেন, রয়েল সিমেন্ট গেট, বগুলা বাজার, কদমরসুল ও ভাটিয়ারী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা। বিক্ষুব্ধ জনতাকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে। ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি আন্দোলনকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা মহাসড়ক ছাড়ছেন না। তাঁদের সঙ্গে আলাপ অব্যাহত রয়েছে।
অবরোধের কারণে সড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। আজ বেলা ১১ টার দিকে সীতাকুণ্ডের মাদাম বিবিরহাট এলাকায় ঢাকামুখী লেনে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ ক অবর ধ অবর ধ র এল ক য
এছাড়াও পড়ুন:
বাস-ট্রাক সংঘর্ষের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এর পর থেকে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজট শুরু হয়। রাত আটটায় এ যানজট অন্তত ১৫ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামমুখী মহাসড়কে যানবাহনগুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিছু কিছু যানবাহনকে উল্টো পথে চলে যেতে দেখা যায়।
উপজেলার জিপিএইচ ইস্পাত গেট এলাকায় কথা হয় মিনিবাসচালক রুবেল হোসেনের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ১৫ মিনিট ধরে তিনি এক জায়গায় অবস্থান করছেন। বিকেলে তিনি চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুণ্ডের দিকে আসার সময় প্রথম যানজট দেখেছিলেন। কিন্তু তাঁদের এক সহকর্মী রাস্তায় গাড়ি সচল হয়েছে খবর দেওয়াতে তিনি আবার চট্টগ্রামের দিকে রওনা হন। পথেই যানজটের কবলে পড়েন।
ট্রাকচালক মহসিন আলী বলেন, যানজট শুরু হলে অনেক সময় ধীরে ধীরে গাড়ি চলে। কিন্তু এখন ১৫ থেকে ২০ মিনিট তিনি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কবে চট্টগ্রামে পৌঁছাবেন, তা নিশ্চিত নন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোমিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার কদমরসুল এলাকায় চট্টগ্রামমুখী স্টার লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এরপর মহাসড়কে যানজট দেখা দেয়। খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটিকে সরিয়ে নেন। এই সময়ের মধ্যে কিছু গাড়ির চালকেরা ইউটার্ন এলাকা দিয়ে ঢুকে উল্টো পথে গাড়ি চালাতে শুরু করেন। এতে যানজট তীব্র হয়ে যায়। পুলিশ বিকেল থেকেই যানজট সারানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।