Risingbd:
2025-08-08@17:29:19 GMT

হ্যারি কেনের আনন্দাশ্রু

Published: 5th, May 2025 GMT

হ্যারি কেনের আনন্দাশ্রু

তিনি গোল করেন নিখুঁত আঁচরে। যেন রঙতুলিতে ফুটিয়ে তোলেন ফুটবলের একেকটি দৃশ্যপট। মাঠজুড়ে তার দাপট। পরিসংখ্যানজুড়ে তার রাজত্ব। অথচ একটা শূন্যতা ঠিক বুকের মধ্যিখানে বাসা বেঁধে ছিল—শিরোপার পরম আরাধনা।

হ্যারি কেন। এক নামেই যার ইতিহাস, অথচ এতদিন সেই ইতিহাসে ছিল না কোনো সোনালি ট্রফির অক্ষর। যেন ফুটবল ঈশ্বরও তার ভাগ্যে শুধু কীর্তি রেখেছিলেন, কিন্তু জয়োৎসব ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বারবার।

টটেনহ্যামের হয়ে এক যুগেরও বেশি সময়; শত শত গোলের উল্লাস, দর্শকদের কণ্ঠভরা প্রশংসা—সবই ছিল, শুধু একবারের জন্যও হাতে ওঠেনি কোনো শিরোপা। জাতীয় দলের হয়ে তার প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বে ছিল ঔজ্জ্বল্য, কিন্তু শেষ হাসি ছিল না তার জন্য।

আরো পড়ুন:

লিভারপুল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানালেন আর্নল্ড, যাচ্ছেন কোথায়?

লিভারপুল ও ম্যানইউ হোঁচট, চেলসি-ব্রেন্টফোর্ডে হাসি

বায়ার্ন মিউনিখে এসে নতুন স্বপ্ন বুনেছিলেন তিনি। কিন্তু হায়, নতুন দলের পুরোনো সৌভাগ্য যেন সঙ্গ ছেড়ে দেয় তখনই। গত এক দশক ধরে বুন্দেসলিগার একচ্ছত্র অধিপতি বায়ার্ন সেই বছরই শিরোপা হাতছাড়া করে দেয়—আর হ্যারি কেন যেন আরও একবার পরিণত হন ট্র্যাজেডির নায়ক।

ফুটবল বিশ্ব মেতে ওঠে হাসির খোরাকে— “কেন যেদিকে যান, ট্রফি সেদিকে পিঠ দেখায়।” মিম আর ব্যঙ্গ বিদ্রুপের সেই ঝড়েও হ্যারি ছিলেন অবিচল, নিঃশব্দে চালিয়ে গেছেন তার কাজ—গোল করে যাওয়া।

এবং অবশেষে সময় এসেছে শ্রুতিমধুর এক প্রতিশোধের। নাটকীয় এক মোড় ঘুরিয়ে, রোববার (০৪ মে) লেভারকুসেনের পা হড়কাল। আর বায়ার্নের হাতে উঠল বুন্দেসলিগার রেকর্ড ৩৩তম শিরোপা। আর সেই ট্রফির গায়ে প্রতিফলিত হলো হ্যারি কেনের চোখের আলোর রেখা—এক অপেক্ষার অবসান। এক যন্ত্রণা ভরা যাত্রার পর কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।

এই মৌসুমেও কেন ছিলেন দুর্দান্ত। ২৪ গোল করে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন প্রতিনিয়ত। প্রতিটি গোল যেন তার নিজের ক্ষতগুলোয় বাঁচার ও লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি।

তবে ফুটবল রসিকেরা থেমে নেই। তারা বলছেন, “কেনের নাকি কাপের প্রতি এলার্জি”। কারণ, যে ট্রফিটি জিতেছেন, সেটি ‘কাপ’ নয়, দেখতে অনেকটা বড় এক থালার মতো!

কিন্তু হ্যারি কেন জানেন, আকৃতি নয় অর্জনের গৌরবই মুখ্য। আজ হয়তো হাতে এসেছে এক শিল্ড, কিন্তু তা-ই তো তার জীবনের প্রথম সত্যিকার ট্রফি। প্রথম ভালোবাসার মতো অমূল্য।

এটা এক সূচনা মাত্র। জার্মানির মাঠে তিনি এসেছেন শুধু গোল করতে নয়, এসেছেন ভাগ্যকে উল্টো পথে হাঁটাতে। আর তার ফুটবল-জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো এক সোনালি শিরোনাম দিয়ে ‘‘অবশেষে হ্যারি কেন জিতেছেন.

..।’’

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল গ ল কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে রূপগঞ্জে শ্রমিক সমাবেশ ও দোয়া 

স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে রূপগঞ্জ থানার তারাব পৌরসভার বরাব এলাকায় শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  (৮ জুলাই) বিকাল ৫টায়  ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুথান ও ফ্যাসিবাদের পতন দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ ও আহতদের স্মরণে শ্রমিক  সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক এড.তারিকুল রহমান ।

তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও দেশের শ্রমিক শ্রেণি এখনো ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। সেই অভ্যুত্থানে ছাত্র-শিক্ষক, পেশাজীবীদের পাশাপাশি শ্রমিকরাও রক্ত দিয়েছেন। অথচ আজও শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে।”

সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামি সাধারন সম্পাদক মো.হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন, নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনের মনোনীত  সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা,ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন আবদুল মজিদ শিকদার,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আকরাম হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্ট সহকারী  পিপি এড.ইসরাফিল হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলার জামায়াতে ইসলামি কর্ম পরিষদ সদস্য মজিবুর রহমান মিয়াজী,নারায়ণগঞ্জ মহনগরী শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সভাপতি হাফেজ আবদুল মোমেন, প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামি সেক্রেটারী মো.হাফিজুর রহমান তিনি বলেন- “যদিও স্বৈরাচারী সরকার বিতাড়িত হয়েছে, তবে এখনো বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। আজও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কিছু ব্যক্তি জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।”

সমাবেশে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক, পেশাজীবী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ