Risingbd:
2025-06-23@12:44:17 GMT

হ্যারি কেনের আনন্দাশ্রু

Published: 5th, May 2025 GMT

হ্যারি কেনের আনন্দাশ্রু

তিনি গোল করেন নিখুঁত আঁচরে। যেন রঙতুলিতে ফুটিয়ে তোলেন ফুটবলের একেকটি দৃশ্যপট। মাঠজুড়ে তার দাপট। পরিসংখ্যানজুড়ে তার রাজত্ব। অথচ একটা শূন্যতা ঠিক বুকের মধ্যিখানে বাসা বেঁধে ছিল—শিরোপার পরম আরাধনা।

হ্যারি কেন। এক নামেই যার ইতিহাস, অথচ এতদিন সেই ইতিহাসে ছিল না কোনো সোনালি ট্রফির অক্ষর। যেন ফুটবল ঈশ্বরও তার ভাগ্যে শুধু কীর্তি রেখেছিলেন, কিন্তু জয়োৎসব ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বারবার।

টটেনহ্যামের হয়ে এক যুগেরও বেশি সময়; শত শত গোলের উল্লাস, দর্শকদের কণ্ঠভরা প্রশংসা—সবই ছিল, শুধু একবারের জন্যও হাতে ওঠেনি কোনো শিরোপা। জাতীয় দলের হয়ে তার প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বে ছিল ঔজ্জ্বল্য, কিন্তু শেষ হাসি ছিল না তার জন্য।

আরো পড়ুন:

লিভারপুল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানালেন আর্নল্ড, যাচ্ছেন কোথায়?

লিভারপুল ও ম্যানইউ হোঁচট, চেলসি-ব্রেন্টফোর্ডে হাসি

বায়ার্ন মিউনিখে এসে নতুন স্বপ্ন বুনেছিলেন তিনি। কিন্তু হায়, নতুন দলের পুরোনো সৌভাগ্য যেন সঙ্গ ছেড়ে দেয় তখনই। গত এক দশক ধরে বুন্দেসলিগার একচ্ছত্র অধিপতি বায়ার্ন সেই বছরই শিরোপা হাতছাড়া করে দেয়—আর হ্যারি কেন যেন আরও একবার পরিণত হন ট্র্যাজেডির নায়ক।

ফুটবল বিশ্ব মেতে ওঠে হাসির খোরাকে— “কেন যেদিকে যান, ট্রফি সেদিকে পিঠ দেখায়।” মিম আর ব্যঙ্গ বিদ্রুপের সেই ঝড়েও হ্যারি ছিলেন অবিচল, নিঃশব্দে চালিয়ে গেছেন তার কাজ—গোল করে যাওয়া।

এবং অবশেষে সময় এসেছে শ্রুতিমধুর এক প্রতিশোধের। নাটকীয় এক মোড় ঘুরিয়ে, রোববার (০৪ মে) লেভারকুসেনের পা হড়কাল। আর বায়ার্নের হাতে উঠল বুন্দেসলিগার রেকর্ড ৩৩তম শিরোপা। আর সেই ট্রফির গায়ে প্রতিফলিত হলো হ্যারি কেনের চোখের আলোর রেখা—এক অপেক্ষার অবসান। এক যন্ত্রণা ভরা যাত্রার পর কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।

এই মৌসুমেও কেন ছিলেন দুর্দান্ত। ২৪ গোল করে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন প্রতিনিয়ত। প্রতিটি গোল যেন তার নিজের ক্ষতগুলোয় বাঁচার ও লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি।

তবে ফুটবল রসিকেরা থেমে নেই। তারা বলছেন, “কেনের নাকি কাপের প্রতি এলার্জি”। কারণ, যে ট্রফিটি জিতেছেন, সেটি ‘কাপ’ নয়, দেখতে অনেকটা বড় এক থালার মতো!

কিন্তু হ্যারি কেন জানেন, আকৃতি নয় অর্জনের গৌরবই মুখ্য। আজ হয়তো হাতে এসেছে এক শিল্ড, কিন্তু তা-ই তো তার জীবনের প্রথম সত্যিকার ট্রফি। প্রথম ভালোবাসার মতো অমূল্য।

এটা এক সূচনা মাত্র। জার্মানির মাঠে তিনি এসেছেন শুধু গোল করতে নয়, এসেছেন ভাগ্যকে উল্টো পথে হাঁটাতে। আর তার ফুটবল-জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো এক সোনালি শিরোনাম দিয়ে ‘‘অবশেষে হ্যারি কেন জিতেছেন.

..।’’

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল গ ল কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

সতীনের সঙ্গে কারিশমার সম্পর্ক কেমন?

গত ১২ জুন যুক্তরাজ্যে মারা যান বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর। মরদেহ ভারতে নিয়ে আসা তৈরি হয় জটিলতা। সব সংকট কাটিয়ে ভারতে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয়ের মরদেহ।

গত ১৯ জুন দিল্লিতে সঞ্জয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। কন্যা সামাইরা ও পুত্র কিয়ানকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কারিশমা কাপুর। রবিবার (২২ জুন) দিল্লিতে প্রয়াত শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরের স্মরণসভা ছিল। সঞ্জয়ের সবকটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার বর্তমান (তৃতীয়) স্ত্রী প্রিয়া কাপুর ও তার দুই সন্তান।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনটি বিয়ে করেন সঞ্জয়। শেষকৃত্যে দুই স্ত্রী উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি প্রথম স্ত্রী নন্দিতা মাহতানিকে। তার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। সঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরও শেষবার দেখতেও আসেননি নন্দিতা। তবে কারিশমা সব অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

কবে আসছে অজয়ের ‘দৃশ্যম থ্রি’?

পরের মিসাইলটি হয়তো আমার মা-ভাইকে আঘাত করবে: মান্দানা করিমি

সঞ্জয়-কারিশমা দম্পতির প্রথম সন্তান সামাইরা। ২০১০ সালে তাদের পুত্রসন্তান কিয়ানের জন্ম হয়। তার ছয় বছরের মাথায় বিবাবিচ্ছেদ হয় কারিশমা-সঞ্জয়ের। এরপর মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়া সাচদেবকে বিয়ে করেন সঞ্জয়। বিয়ের বছরখানেক পর অর্থাৎ ২০১৭ সালে তাদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।

প্রিয়ার আগের সংসারে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, সঞ্জয় তাকেও দত্তক নেন। কারিশমার সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও তার দুই সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতেন প্রিয়া। বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে তোলা ছবিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেবল তাই নয়, কারিশমার দুই সন্তান নিয়ে ছুটি কাটাতেও গিয়েছেন প্রিয়া। এমনকি কিয়ানকে ‘চোখের তারা’ বলে সম্বোধনও করেছেন।

সঞ্জয়ের শেষকৃত্যে প্রিয়াকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় কারিশমাকে। স্মরণসভায় প্রিয়ার পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন কারিশমা। সতীন হলেও আপাতদৃষ্টিতে তাদের সম্পর্ক তিক্ত নয়।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ