ভারতের শান্তিনিকেতনের মতো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বানাতে চায় সরকার
Published: 7th, May 2025 GMT
ভারতের শান্তিনিকেতনের মতো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বানাতে চায় সরকার। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হবে। শিল্পকলাকে প্রাধান্য দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে।
আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামে ৫১৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য ওঠে। কিন্তু প্রকল্প পাস না করে শিল্পকলাকে প্রাধান্য দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা নিয়ে আবার প্রকল্প আনতে বলেছে একনেক সভা।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ তথ্য জানান। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রকল্পটি উত্থাপনের পর প্রধান উপদেষ্টা এই বিশ্ববিদ্যালয় যেন শিল্পকলাকে প্রাধান্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা করা হয়, সেই নির্দেশ দেন। এজন্য প্রকল্পটি ফেরত পাঠানো হয়।
উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে স্থানীয় তিনটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পরিচালনা করা হয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। কিন্তু শ্রেণিকক্ষ ব্যবহারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা আর নবায়ন করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, শাহজাদপুরের কুটিবাড়ির জমিদারি এলাকায় ১০০ একর জমির ওপর এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এমনভাবে পরিকল্পনা করা হবে, যেন এই ক্যাম্পাসে পর্যটকও আসেন। চারুকলা, নৃত্যকলা, শিল্পসাহিত্য—এসব বিষয়কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
কড়াইল বস্তি রেখেই গুলশান-বনানী লেকের উন্নয়নআজকের একনেক সভায় ৫৫৫ কোটি টাকার গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্প পাস হয়। এটি সংশোধিত প্রকল্প। ২০১০ সাল থেকে এই প্রকল্প চলছে। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। এখন অনেকটা নতুন করে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।
একনেক সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, কড়াইল বস্তি রেখেই গুলশান-বনানীর লেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এক বছরের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করা হবে। বনায়নও করা হবে।
এর আগের পরিকল্পনায় মহাখালীর কড়াইল বস্তি উচ্ছেদ করে লেক উন্নয়ন করা হবে।
আজকের একনেক সভায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার ৯টি প্রকল্প পাস করেছে। অন্য প্রকল্পগুলো হলো ২০৮ কোটি টাকার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সক্ষমতা বৃদ্ধি করা (সংশোধিত); ১৭০ কোটি টাকার প্রিভেনশন অব ভায়োলেন্স অ্যান্ড হার্মফুল প্র্যাকটিস এগেইনস্ট চিলড্রেন অ্যান্ড উইমেন ইন বাংলাদেশ; ৬১৫ কোটি টাকার নারায়ণগঞ্জ খানপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ; ৫০০ কোটি টাকার ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট; ২৪৪ কোটি টাকার বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভারি ইমারজেন্সি প্রিপার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রজেক্ট; ৫০০ কোটি টাকার খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন; ৬ হাজার ৬২৬ কোটি টাকার উইকেয়ার ফেজ-১ ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক উন্নয়ন; ১ হাজার ৬৩ কোটি বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফায়ারফক্সে আসছে এআই উইন্ডো
কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা বা এআইকেন্দ্রিক ব্রাউজারের বাজার দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতার মধ্যেই ফায়ারফক্সে নতুন এআই উইন্ডো নামের বিশেষ সুবিধা যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে মজিলা। সুবিধাটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় প্রয়োজন অনুসারে একটি সমন্বিত এআই সহকারীর সাহায্য নিতে পারবেন। পুরো প্রক্রিয়াই থাকবে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণে।
এক ব্লগ বার্তায় মজিলা জানায়, এআই উইন্ডো ব্রাউজিংয়ে ক্ষেত্রে এআই নির্দেশনা ও ব্যক্তিগত সহায়তার সুবিধা দেবে। সুবিধাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় থাকবে না। আগ্রহী ব্যবহারকারীরা চাইলে নিজে থেকেই চালু করবেন। যেকোনো সময় বন্ধ করা যাবে। এআইনির্ভর এই সুবিধা ওপেন সোর্স প্রযুক্তির ভিত্তিতে তৈরি করা হচ্ছে।
ফিচারটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ কিছু ব্যবহারকারীর কাছে উপলব্ধ হয়েছে। মজিলা জানিয়েছে, যে কেউ চাইলে আগের মতোই ফায়ারফক্স ব্যবহার করে নিজের পছন্দমতো কাস্টমাইজড অভিজ্ঞতা পাবেন। আরও বেশি গোপনীয়তা চাইলে প্রাইভেট উইন্ডো ব্যবহার করতে পারবেন। এআই উইন্ডো ব্রাউজিংকে আরও ব্যক্তিগত উপায়ে ব্যবহারের সুযোগ দেবে।
এআই চালিত ব্রাউজারের ব্যবহার বাড়তে থাকায় বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি এখন সার্চবারের জায়গায় চ্যাটবট যুক্ত করা বা সম্পূর্ণ এআইনির্ভর ব্রাউজার তৈরিতে মনোযোগ দিচ্ছে। ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস বা পারপ্লেক্সিটির কমেট পুরোপুরি এআই এজেন্টকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলনির্ভর ব্রাউজারের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিযোগিতার মধ্যেও ভিন্ন অবস্থান তৈরি করতে চেষ্টা করছে মজিলা। তারা বলছে, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা—এই তিন নীতি সামনে রেখে ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা দেওয়া হচ্ছে। ওয়েবকে সবার জন্য উন্মুক্ত, মুক্ত ও নিরাপদ রাখতে চায় মজিলা। মজিলার ভাষ্য অনুযায়ী, ফায়ারফক্সে কোনো একক ইকোসিস্টেমে ব্যবহারকারীকে আটকে রাখা হবে না। এআই ব্যবহারের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতাও থাকবে না। কখন, কীভাবে বা আদৌ এটি ব্যবহার করবেন কি না, এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ব্যবহারকারীর।
এ বছরের জুনে ফায়ারফক্সের অ্যাড্রেসবারে থাকা ইউনিফায়েড সার্চ সুবিধায় সরাসরি পারপ্লেক্সিটি এআইয়ের মাধ্যমে অনুসন্ধানের অপশন যুক্ত করে মজিলা। নতুন এআই উইন্ডো ফিচার যুক্ত হলে ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা আরও বহুমাত্রিক হয়ে উঠবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস