আর্জেন্টিনাকে বিদায় বলা দি মারিয়া বেনফিকায় কত বেতন পান
Published: 8th, May 2025 GMT
গত বছর কোপা আমেরিকা জয়ের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আনহেল দি মারিয়া। অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনাল, কোপা আমেরিকা ফাইনাল, ফিনালিসিমা ও বিশ্বকাপ ফাইনালে গোলের অনন্য কীর্তি গড়া দি মারিয়া জাতীয় দলকে বিদায় জানালেও পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার হয়ে এখনো খেলে চলেছেন।
২০০৫ সালে রোজারিও সেন্ট্রালের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন দি মারিয়া। দুই বছর পর নাম লেখান বেনফিকায়। সেখান থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি এবং জুভেন্টাস হয়ে ক্যারিয়ারের শেষ ভাগে আবার ফিরেছেন বেনফিকায়। দ্বিতীয় দফায় দি মারিয়া বেনফিকায় যান ২০২৩ সালের জুলাইয়ে। ক্লাবটির হয়ে এরই মধ্যে জিতেছেন দুটি শিরোপা।
গোধূলিবেলায় এসে পর্তুগিজ ক্লাবটির সাফল্যে ভূমিকা রাখার কারণে বড় অঙ্কের বেতনও পান দি মারিয়া। ক্রীড়াবিদদের বেতন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ক্যাপালোজির বরাত দিয়ে ফুটবলবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গোল ডটকম দি মারিয়ার বেতনের অঙ্ক প্রকাশ করেছে।
তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বেনফিকার কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে ৬২ হাজার ৯৫৭ পাউন্ড (১ কোটি ২ লাখ টাকা) পান ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা। আর বছর শেষে তাঁর আয় ৩২ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৫২ কোটি টাকা)।
আরও পড়ুনমেসি ও রোনালদো এখন কত টাকার মালিক১৪ মার্চ ২০২৫বেনফিকার ইউক্রেনিয়ান গোলকিপার আনাতোলি ত্রুবিন ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড আর্থার কাবরালও দি মারিয়ার সমান বেতন পান। তবে আয়ের দিক থেকে বেনফিকায় দি মারিয়া, ত্রুবিন ও কাবরালের অবস্থান যৌথভাবে দুই নম্বরে।
এই তিনজনের চেয়ে বেশি বেতন রেনাতো সানচেজের। সপ্তাহে সানচেজ পান ১ লাখ ১৩ হাজার পাউন্ড (১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা), যা পর্তুগিজ লিগে খেলা ফুটবলারদের মধ্যেও সর্বোচ্চ।
পর্তুগিজ লিগের ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতন পান রেনাতো সানচেজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ত গ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে লাঠিপেটার ভিডিও ভাইরাল
ময়মনসিংহে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানকে লাঠি দিয়ে পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বুধবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক অজ্ঞাত যুবক তাঁর দুই হাত চেপে ধরে রেখেছেন। এ সময় মাক্স পরে থাকা অপর এক যুবক তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন।
১৩ সেকেন্ডের এ ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নেটিজেনরা বলেন, একজন প্রবীণ শিক্ষক ও রাজনীতিককে এভাবে হেয় করা ঠিক হয়নি।
অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান। ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, লাঠি দিয়ে পেনোর ভিডিওটি ঢাকার কোনো একটি এলাকার। কিছুদিন আগে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে এই আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয় প্রকাশ হলে তারা তাকে আটক করেন। এ সময় তাঁকে লাঠিপেটা করে মধ্যস্থতার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার সত্যতার বিষয়ে দায়িত্বশীল কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নগরীর মহারাজা রোড এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত ৫ আগস্ট থেকে ইউসুফ খান পাঠান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক।