ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে এস এম ফাইজুল হক ঈশানকে আগামী এক মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে তিনজন প্রভাষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে এস এম ফাইজুল হক ঈশান আবেদন করেন। পরে ওই বছরের ১৩ আগস্ট  নির্বাচনী বোর্ড সভায় তাকে প্রভাষক পদে উপযুক্ত বিবেচনায় নির্বাচিত করে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। তবে পরবর্তীতে সিন্ডিকেট বোর্ড ফাইজুল হক ঈশানকে নিয়োগ না দেওয়ায় তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আদালত তখন রুল জারি করে স্থিতি আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতা গতকাল ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলুট রায় দেন হাইকোর্ট।

আদালত বাদী ঈশানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ, আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল ও সেলিম রেজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহমেদ ইসতিয়াক।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন করে আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় 

নতুন করে আরও ৪টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে নাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে।  পুলিশের কাজে বাধা প্রদান, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে নতুন এই চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (৬ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ প্রদান করেন। নগর মহাপুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

আদালত সূত্র জানায়, কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, আইনজীবী-বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা ৪টি মামলায় চিন্ময় দাশকে গ্রেপ্তার দেখাতে আদালতে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট মামলা সমূহের তদন্ত কর্মকর্তাগণ। আজ (মঙ্গলবার) সকালে আদালত ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে আদালত চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। 

এর আগে গতকাল আইনজীবি আলিফ হত্যা মামলায়ও চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ নিয়ে নতুন করে ৫টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে চিন্ময় দাশকে। 

গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ৫ টি মামলা হয়। 

ঢাকা/রেজাউল/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাড়িতে গন্ধ ছড়ানোর পর উদ্ধার আইনজীবীর গলিত মরদেহ
  • মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের ওপর রায় ২৭ মে
  • মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের ওপর দ্বিতীয় দিনে শুনানি শুরু
  • মামলায় গ্রেপ্তারে অনুমতির সিদ্ধান্ত স্থগিতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে শুনানি ১৯ মে
  • চিত্রপরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত
  • শীতলক্ষ্যা নদীতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষিত পানি-বর্জ্য ফেলা রোধে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের নির্দেশ
  • সিলেটে আইনজীবী শামসুল হত্যাকাণ্ডে তাঁর ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
  • নতুন করে আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময়