কানাডা থেকে বাংলাদেশের ভক্তদের জন্য শমিত সোমের বার্তা
Published: 8th, May 2025 GMT
কানাডার হয়ে খেলেছেন দুইটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এবার দেশের টানে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার শমিত সোম। ফিফার ছাড়পত্র পেয়ে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১০ জুন, ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অভিষেক হতে পারে তার।
বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় আজ নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে শমিত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। আপনাদের সবার সহযোগিতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।’
শমিত জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে মুখিয়ে আছেন তিনি। জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এবং দেশের ফুটবলপ্রেমীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। অল্প সময়ে বাংলাদেশের হতে পেরে উচ্ছ্বসিত শমিত বলেন, ‘যারা এই প্রক্রিয়াকে দ্রুত সময়ে শেষ করতে সাহায্য করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ।’
২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার কানাডাতেই জন্ম ও বেড়ে উঠেছেন। তার বাবা মানস সোমের বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, আর মা নন্দিতা সোম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়ে। শিকড়ের টানেই এবার বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
বর্তমানে কানাডা প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ক্যাভলেরি এফসি-তে খেলছেন শমিত। যদিও কানাডা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন দুটি প্রীতি ম্যাচে, তবে তা ফিফা উইন্ডোর বাইরে হওয়ায় ফেডারেশন বদলের সুযোগ পান তিনি। বাফুফের দীর্ঘদিনের আগ্রহ ও দ্রুত কার্যক্রমে ফিফা অনুমোদন পেতে বেশি দেরি হয়নি।
শমিতের আগেই বাংলাদেশ জাতীয় দলে যোগ দিয়েছিলেন হামজা চৌধুরী। তার পথ ধরে এবার শমিত। এদিকে ভবিষ্যতের দলে শক্তি বাড়াতে অনূর্ধ্ব-২৩ দলেও প্রবাসীদের নিয়ে ভাবছে বাফুফে। নজর রাখা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা ডেকলান ও কনর সুলিভান নামের দুই যমজ ফুটবলারের দিকে, যারা নানির সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য় দল
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে রূপগঞ্জে শ্রমিক সমাবেশ ও দোয়া
স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে রূপগঞ্জ থানার তারাব পৌরসভার বরাব এলাকায় শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকাল ৫টায় ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুথান ও ফ্যাসিবাদের পতন দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ ও আহতদের স্মরণে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক এড.তারিকুল রহমান ।
তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও দেশের শ্রমিক শ্রেণি এখনো ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। সেই অভ্যুত্থানে ছাত্র-শিক্ষক, পেশাজীবীদের পাশাপাশি শ্রমিকরাও রক্ত দিয়েছেন। অথচ আজও শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে।”
সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামি সাধারন সম্পাদক মো.হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন, নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা,ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন আবদুল মজিদ শিকদার,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আকরাম হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্ট সহকারী পিপি এড.ইসরাফিল হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলার জামায়াতে ইসলামি কর্ম পরিষদ সদস্য মজিবুর রহমান মিয়াজী,নারায়ণগঞ্জ মহনগরী শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সভাপতি হাফেজ আবদুল মোমেন, প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামি সেক্রেটারী মো.হাফিজুর রহমান তিনি বলেন- “যদিও স্বৈরাচারী সরকার বিতাড়িত হয়েছে, তবে এখনো বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। আজও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কিছু ব্যক্তি জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।”
সমাবেশে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক, পেশাজীবী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।