গত ৫ মে এ দেশে ইসলামপন্থার বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান।

তিনি বলেছেন, “গত ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে এদেশে ইসলামপন্থার বিজয় হয়েছে। যদি ৫ মে না আসত, তাহলে আজো আমাদের কোলকাতা-দিল্লীর শাহবাগী আগ্রাসনের শিকার হতে হত। জুলাইয়ের এই দ্বিতীয় স্বাধীনতার পরে হেফাজতের উচিৎ শাপলা গণহত্যার বিচারের এক দফা দাবি সরকারের কাছে উপস্থাপন করা।”

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি অডিটোরিয়ামে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন ‘ছত্রিশ’ আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

পিএসসি সংস্কারে সোমবারের মধ্যে রোডম্যাপ দাবি 

ঢাবিতে বিশ্বকবির ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

তিনি বলেন, “১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল থেকে শুরু করে মিডিয়া, রাষ্ট্র ও সমাজের প্রত্যেকটি পরিসরে এই ঘৃণার চর্চা লক্ষ্য করা যায়, যা প্রতিনিয়ত আওয়ামী দুঃশাসনকে বৈধতা দিয়েছে। ফলে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ আল্লামা সাঈদীর রায়ের পর দেশজুড়ে চালানো হত্যাযজ্ঞ কিংবা ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়ার প্রয়াস চালিয়ে সফলও হয়েছে স্বৈরাচার।”

ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদের সভাপতিত্বে ও ‘ছত্রিশ’ এর পরিচালক মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড.

শফিকুল ইসলাম মাসুদ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সাংবাদিক মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব প্রমুখ।

মাওলানা আজিজুল হক বলেন, “দিল্লীর আধিপত্যবাদী গোলাম আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ৫ মে গণহত্যা চালিয়ে বাংলাদেশের ইসলামপন্থাকে চিরতরে নিঃশেষ করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তারা পারেনি।”

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে গণহত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ, যার সিলসিলায় ঘটেছে পিলখানা গণহত্যা, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিচারিক হত্যাকাণ্ড, শাপলার গণহত্যা, মোদিবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা ও জুলাই বিপ্লবের গণহত্যা। এগুলো একটি অপরটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল মপন থ গণহত য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

আন্তর্জাতিক আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। অভিযোগে বলা হয়েছে, দুতার্তে ক্ষমতায় থাকার সময় দেশে পরিচালিত তথাকথিত ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ অন্তত ৭৬ জনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

দুতার্তের বয়স এখন ৮০ বছর। গত মার্চ মাস থেকে তিনি নেদারল্যান্ডসে একটি আটককেন্দ্রে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। গতকাল সোমবার আইসিসির প্রকাশিত নথিতে দুতার্তের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুনআইসিসির পরোয়ানা: ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে গ্রেপ্তার১১ মার্চ ২০২৫

দুতার্তের নেতৃত্বে ফিলিপাইনে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়েছিল। এতে সন্দেহভাজন হাজারো মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী নিহত হয়েছিলেন।

গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে আইসিসির ডেপুটি প্রসিকিউটর মামে মান্দিয়ে নিয়াংয়ের সই করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানির পেছনে দুতার্তের ব্যক্তিগত অপরাধমূলক দায় রয়েছে।

দুতার্তেকে গত ১১ মার্চ ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে নেদারল্যান্ডসে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তিনি আইসিসির তত্ত্বাবধানে বন্দী আছেন। দুতার্তে বরাবর তাঁর গ্রেপ্তারকে ‘অবৈধ’ বলছেন।

প্রথম অভিযোগটি দুতার্তে যখন দাভাও শহরের মেয়র ছিলেন, তখনকার। বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১৯ জনকে হত্যায় ‘পরোক্ষ সহ–অপরাধী’ (প্রত্যক্ষভাবে অপরাধে যুক্ত না হলেও অন্যকে প্রভাবিত বা সহায়তা করে অপরাধে জড়িত হওয়া ব্যক্তি) ছিলেন তিনি।

আইসিসির দ্বিতীয় ও তৃতীয় অভিযোগ দুটি দুতার্তের প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ের। এগুলোর প্রথমটি ২০১৬ ও ২০১৭ সালে গুরুত্বপূর্ণ ১৪ জনকে হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। শেষেরটি ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নিম্ন স্তরের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের (সাধারণ অপরাধী বা দায়ী ব্যক্তি) বিরুদ্ধে ‘ক্লিয়ারেন্স’ অভিযান চলাকালে ৪৩টি হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

আরও পড়ুনফিলিপাইনে মাদকবিরোধী যুদ্ধের সব দায় নিলেন দুতার্তে১৩ মার্চ ২০২৫

এ ছাড়া নথিতে উল্লেখ আছে, মোট ৭৬টি হত্যাকাণ্ড পুলিশ ও কিছু অ-রাষ্ট্রীয় হত্যাকারী গ্রুপ বা গোষ্ঠীর হাতে সংঘটিত হয়েছে।

দুতার্তেকে গত ১১ মার্চ ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে নেদারল্যান্ডসে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তিনি আইসিসির তত্ত্বাবধানে বন্দী আছেন। দুতার্তে বরাবর তাঁর গ্রেপ্তারকে ‘অবৈধ’ বলছেন।

আরও পড়ুনএখন দুতার্তেকে কী করা হবে১১ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আন্তর্জাতিক আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে
  • গণহত্যা বন্ধে আরও পদক্ষেপ জরুরি