৫ মে এ দেশে ইসলামপন্থার বিজয় হয়েছে: মাহমুদুর রহমান
Published: 8th, May 2025 GMT
গত ৫ মে এ দেশে ইসলামপন্থার বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেছেন, “গত ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে এদেশে ইসলামপন্থার বিজয় হয়েছে। যদি ৫ মে না আসত, তাহলে আজো আমাদের কোলকাতা-দিল্লীর শাহবাগী আগ্রাসনের শিকার হতে হত। জুলাইয়ের এই দ্বিতীয় স্বাধীনতার পরে হেফাজতের উচিৎ শাপলা গণহত্যার বিচারের এক দফা দাবি সরকারের কাছে উপস্থাপন করা।”
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি অডিটোরিয়ামে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন ‘ছত্রিশ’ আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
পিএসসি সংস্কারে সোমবারের মধ্যে রোডম্যাপ দাবি
ঢাবিতে বিশ্বকবির ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
তিনি বলেন, “১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল থেকে শুরু করে মিডিয়া, রাষ্ট্র ও সমাজের প্রত্যেকটি পরিসরে এই ঘৃণার চর্চা লক্ষ্য করা যায়, যা প্রতিনিয়ত আওয়ামী দুঃশাসনকে বৈধতা দিয়েছে। ফলে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ আল্লামা সাঈদীর রায়ের পর দেশজুড়ে চালানো হত্যাযজ্ঞ কিংবা ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়ার প্রয়াস চালিয়ে সফলও হয়েছে স্বৈরাচার।”
ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদের সভাপতিত্বে ও ‘ছত্রিশ’ এর পরিচালক মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড.
মাওলানা আজিজুল হক বলেন, “দিল্লীর আধিপত্যবাদী গোলাম আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ৫ মে গণহত্যা চালিয়ে বাংলাদেশের ইসলামপন্থাকে চিরতরে নিঃশেষ করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তারা পারেনি।”
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে গণহত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ, যার সিলসিলায় ঘটেছে পিলখানা গণহত্যা, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিচারিক হত্যাকাণ্ড, শাপলার গণহত্যা, মোদিবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা ও জুলাই বিপ্লবের গণহত্যা। এগুলো একটি অপরটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল মপন থ গণহত য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
চিহ্নিত গণহত্যাকারীদের ছবি প্রদর্শন করে ঢাবিকে কলঙ্কিত করেছে শিবির, বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবসে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যাকারীদের ছবি প্রদর্শন করে জাতির গৌরবময় ইতিহাসকে ইসলামী ছাত্রশিবির বিকৃত করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সংগঠন হিসেবে ক্যাম্পাসে শিবিরের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি তামজিদ হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকারের পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে প্রক্টরের অপসারণ দাবি করেছে সংগঠনটি।
ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতিতে বলা হয়, ’৯০–এর সামাজিক চুক্তি অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক-ফ্যাসিস্ট সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্লজ্জভাবে শিবিরকে নরমালাইজ করার চেষ্টা করেছে। ঢাবি প্রক্টরের পক্ষপাতমূলক আচরণ শিবিরের এই জঘন্য কাজকে উৎসাহিত করেছ। তাঁর এ রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ আগামী দিনের সহাবস্থানের রাজনীতি তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ঢাবি প্রক্টর ক্যাম্পাসের ভেতরে তোফাজ্জল ও সাম্য হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমূলক গ্রাফিতি মুছে ফেলা, চারুকলার ভেতরে ঢুকে শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন দেওয়া, একাধিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আমলে না নেওয়াসহ নানা অভিযোগের সুষ্ঠু বিচারে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অতএব ঢাবি প্রক্টরকে অপসারণ না করলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মতোই শিবিরের দলীয় আধিপত্য কায়েম হবে।’
চব্বিশের নাম দিয়ে একাত্তরকে অবমূল্যায়নের মাধ্যমে ছাত্রশিবির জুলাই গণ–অভ্যুত্থান পরিপন্থী অবস্থান নিয়েছে বলে বলা হয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনীতিতে পুর্নবাসনের সুযোগ পেয়ে স্বাধীনতাবিরোধী গণহত্যকারীদের উদ্যাপনের চেষ্টা গণ–অভ্যুত্থানকে জনতার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের পকেটস্থ করার অপচেষ্টা বলে আমরা মনে করি। এর আগেও ছাত্রশিবির মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করে তাদের নিজস্ব প্রকাশনায় বিতর্কিত লেখা ছেপে বাংলাদেশবিরোধী রাজনীতি জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’