রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মো. মাসুম হোসেন (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাঁদাবাজি ছাড়াও মাসুমের বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতির মামলা আছে। তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মাসুম কামরাঙ্গীরচর এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের প্রাণনাশের হুমকি দিতেন। তাঁদের কাছে চাঁদা দাবি করতেন। এতে এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল রাজবংশী ইতিমধ্যে ভয়ে বিভিন্ন সময় মাসুমকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেন। অন্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও ভয়ে ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলী চাঁদ মসজিদ এলাকা থেকে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে কামরাঙ্গীরচর থানা-পুলিশ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রেস্টুরেন্টে বাসন মাজতেন এই অভিনেত্রী, পরে হয়েছিলেন মন্ত্রীও

বলিউডে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এক তরুণী। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এয়ার হোস্টেসের ইন্টারভিউ থেকে এই বলে যে তাঁর ‘ব্যক্তিত্ব নেই’। সংসার চালাতে একসময় বাসন মাজতে হয়েছিল রেস্টুরেন্টে। অথচ সেই তরুণীই পরে হয়ে উঠলেন ভারতের টেলিভিশনের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া তারকা। ছিলেন দেশের মন্ত্রী। এ এক অবিশ্বাস্য পথচলা স্মৃতি ইরানির।

টেলিভিশনে সাফল্যের পর রাজনীতির ময়দানেও পা রাখেন স্মৃতি ইরানি। ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়েন। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অভিনয়ের জনপ্রিয়তা আর ব্যক্তিগত সংগ্রামের অভিজ্ঞতা তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্য করেছে।

শৈশবের দারিদ্র্য আর লড়াই
১৯৭৬ সালে দিল্লিতে জন্ম স্মৃতি মালহোত্রা নামে। তিন বোনের মধ্যে তিনি বড়। বাবা আধা পাঞ্জাবি, আধা মহারাষ্ট্রীয়; মা বাঙালি। সংসারের অবস্থা ছিল শোচনীয়। বাবা আর্মি ক্লাবের বাইরে বই বিক্রি করতেন, মা মসলা বিক্রি করতেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে। আয়ের সীমিত টাকায় দিন চলত। কলেজ ছাড়তে হয়েছিল অর্থাভাবে। পরিবারের হাল ধরতে নেমে পড়তে হয় নানা কাজে।

স্বপ্ন ভাঙার দিনগুলো
স্মৃতি প্রথম আলোচিত হন মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে—শীর্ষ ১০-এও পৌঁছেছিলেন। কিন্তু সে জন্য ধার করতে হয়েছিল এক লাখ রুপি। এরপর এয়ার হোস্টেস হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ইন্টারভিউয়ে প্রত্যাখ্যাত হন। কারণ, ‘চেহারায় ব্যক্তিত্ব নেই’।

স্মৃতি ইরানি। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ