আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও দলটি নিষিদ্ধের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার লক্ষে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ।

শুক্রবার সকালে থেকে এই তৈরির কাজ শুরু হয়। এখন পুরোদমে সেই কাজ চলছে। চারটি ট্রাক পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে দ্রুত মঞ্চ বানানো হচ্ছে।

গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শুরু হওয়া কর্মসূচি রাত পেরিয়ে ভোর, এখন সকাল অবদি চলছে।

আরো পড়ুন:

যমুনার সামনে স্লোগান: ‘বাহ ইন্টেরিম চমৎকার, খুনিদের পাহারাদার’

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: প্রতিবাদে মিঠামইনে বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি ঘোষণা আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সবাইকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আসার আহ্বান জানান এনসিপির শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম। তার কিছু সময়ের মধ্যে সেখানে লোকজন জড়ো হওয়া শুরু করে। সারা রাত তারা সেখানে ছিল।   

এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে না। তাদের আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে আবার রক্ত দেওয়া হবে।

শুক্রবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতা যমুনার সামনে আসছেন। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে এলাকাটি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য আসেনি।

এনসিপির ডাকা অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও। তাদের একই দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে যমুনার সামনের সড়কে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ।

ঢাকা/রায়হান/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট আওয় ম ল গ অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

অশ্রু আর ভালোবাসায় মামুন রেজাকে চিরবিদায়

অশ্রু আর ভালোবাসায় সমকালের ব্যুরো প্রধান মামুন রেজাকে চিরবিদায় দিয়েছেন তার সহকর্মী ও গ্রামবাসী। শনিবার জোহরের নামাজের পর খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ব্রহ্মগাতী সুতীরকূল ঈদগাহ ময়দানে তার দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মামুন রেজার বাবা ও ছোট্ট ছেলের চোখের পানি ও হাহাকার দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সবাই। জানাযা শেষে ব্রহ্মগাতী গ্রামের সরদার বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। খুলনাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানাযা ও দাফনে অংশ নেন। 

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় খুলনা সদরের তারের পুকুর মোড় এলাকার বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মামুন রেজা। তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। মামুন রেজা চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের খুলনার আঞ্চলিক প্রধান প্রতিবেদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। চারবার খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ছিলেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের দু’বারের সভাপতি। তার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে খুলনার সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতাল ও বাসভবনে ছুটে যান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাত ১২টা ১৫ মিনিটে আল হেরা জামে মসজিদের সামনে প্রথম জানাযায় শত শত মানুষ অংশ নেন। সবার চোখে মুখে ছিল বিষ্ময় ও অকালে প্রিয়জন হারানো বেদনা। জানাযা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় খুলনা প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে শেষ শুভেচ্ছা জানানো হয়। 

রাতেই মরদেহ গ্রামের বাড়ি দিঘলিয়া উপজেলার ব্রহ্মগাতী গ্রামে নিয়ে যান স্বজনরা। শনিবার সকাল থেকেই মামুনকে শেষ বারের মতো দেখতে ভিড় জমান গ্রামের মানুষ। সবার মুখেই ছিল মামুনের পরোপকারী স্বভাবের বন্দনা।

সমকালের প্রধান কার্যালয় থেকে সহযোগী সম্পাদক হকিকত জাহান হকি, অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, চ্যানেল ২৪ এর ঢাকা অফিস থেকে জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম তুহিন, ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ নাদিম হোসাইন, সহযোগী বার্তা সম্পাদক তানিম রহমান, খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জেলা প্রতিনিধিরা পরিবারকে সান্ত্বনা জানাতে ছুটে যান।
 
এ সময় তারা মামুন রেজার একমাত্র সন্তান চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র জাওয়াদ রেজার লেখাপড়ায় সব ধরনের সহযোগিতা এবং সব সময় পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। আগামী ২৫ জুন সমকাল ও চ্যানেল ২৪ পরিবার খুলনার উদ্যোগে খুলনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে মিছিল নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের বিদেশফেরতপ্রবাসীরা
  • অশ্রু আর ভালোবাসায় মামুন রেজাকে চিরবিদায়
  • শাহরুখের বাড়ি মান্নাতে সত্যিই কি অবৈধ নির্মাণকাজ চলছে