আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি আজ বাংলাদেশের: মাসুদ
Published: 9th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, “আজ বাংলাদেশ দাবি তুলেছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের। তবে অবাক হচ্ছি, এখনো কেউ কেউ এই গণতান্ত্রিক দাবিকে থামানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা ভালো লক্ষণ না।”
শুক্রবার (৯ মে) সকাল ৮ টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে চলমান আন্দোলন সংহতি জানিয়ে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, “৫ আগস্ট যারা বুলেটের সামনে বুক পেতে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল, আজ তারাই এখানে এসেছে। আজও এখান থেকে বিজয় ছিনিয়ে না নিয়ে দেশের জনগণ যাবে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে যে ছাত্র-জনতা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা আজ দাবি তুলেছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আজ দুপুরের আগেই সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড.
উল্লেখ্য, গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শুরু হওয়া কর্মসূচি রাত পেরিয়ে, সকাল ছাড়িয়ে এখনো চলছে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি ঘোষণা আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সবাইকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আসার আহ্বান জানান এনসিপির শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম। তার কিছু সময়ের মধ্যে সেখানে লোকজন জড়ো হওয়া শুরু করে। সারা রাত তারা সেখানে ছিল।
শুক্রবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতা যমুনার সামনে আসছেন। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে এলাকাটি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য আসেনি।
ঢাকা/রায়হান/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ষ দ ধ কর ছ ত র জনত ন র স মন সরক র আওয় ম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ দফা দাবিতে বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন
দ্রুত জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ ও আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন বরিশাল জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
আজ রোববার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পাঁচ দফা দাবি হলো আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ, জুলাই আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, গণহত্যায় জড়িতদের দৃশ্যমান বিচার, আওয়ামী লীগের দোসরদের আইনের আওতায় আনা এবং সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার। তাঁদের অভিযোগ জুলাই অভ্যুত্থানের পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার কাঙ্ক্ষিত জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে পারেনি। এ ছাড়া অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা পুরোপুরি নিশ্চিত করা হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানের পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি, অন্তর্বর্তী সরকার এখনো জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে আমরা আর কোনো টালবাহানা সহ্য করব না। অবশ্যই আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে। গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃশ্যমান কোনো বিচার ও আওয়ামী লীগের দোসরদের এখনো আইনের আওতায় আনা যায়নি। এটা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী হাসিবুর রহমান ও মুখপাত্র সুমী হক। এ সময় তাঁরা আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।