প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নিরাপত্তা জোরদার
Published: 9th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) সকাল ১১টায় যমুনার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী র্যাব, এপিবিএন, বিজিবি ও সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত আছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, যমুনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা এখন পর্যন্ত শৃঙ্খলা বজায় রেখে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টার দিকে শুরু হওয়া কর্মসূচি শুক্রবার (৯ মে) দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত আছে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি ঘোষণা আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সবাইকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আসার আহ্বান জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম। এর পর সেখানে লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। তারা সারা রাত সেখানে ছিলেন।
শুক্রবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতা যমুনার সামনে আসছেন। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে এলাকাটি। তবে, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখন কোনো বক্তব্য আসেনি।
ঢাকা/রায়হান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাদক নির্মূলে সবার আগে গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মাদক নির্মূলে সবার আগে এর পেছনে থাকা গডফাদারদের ধরতে হবে। তাহলেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কর্মসূচি সাফল্য পাবে। শুধু মাদকের বাহকদের ধরে লাভ নেই।
‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষে বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমাদের দুটি বড় শত্রু রয়েছে—এক নম্বর হচ্ছে দুর্নীতি এবং আরেকটি হলো মাদক৷ মাদক এখন সমাজের সর্বত্র ও সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে ছেয়ে গেছে। মাদক থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতনতা। শুধু মাদক নিরাময়কেন্দ্রের মাধ্যমে এটি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, মাদক যেন বাহির থেকে দেশে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। মাদক পাচারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাদকাসক্তি নিরাময়ের খরচ এখন অনেক বেশি, উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গরিবের পক্ষে এটা বহন করা অনেক কষ্টসাধ্য।
মাদকসেবীদের সংখ্যা যেন ধীরে ধীরে কমে আসে, এ ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, গত একনেক সভায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ‘সাতটি বিভাগীয় শহরে সাতটি বিভাগীয় মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, যেভাবেই হোক, আমাদের সমাজ থেকে মাদককে উচ্ছেদ করতে হবে৷
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে উপদেষ্টা ঢাকা মেট্রোপলিটন এরিয়াসহ ঢাকা বিভাগের ৩২টি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রকে ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক