Risingbd:
2025-06-26@20:11:08 GMT

আন্দোলন মঞ্চে ছাত্র-জনতা

Published: 9th, May 2025 GMT

আন্দোলন মঞ্চে ছাত্র-জনতা

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলন মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে মিন্টো রোডে পানির ফোয়ারার সামনে প্রস্তুত করা মঞ্চের সামনে যান আন্দোলনকারীরা। 

জুমার নামাজের পর এ মঞ্চে এনসিপিসহ সমমনা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।

গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টার দিকে শুরু হওয়া কর্মসূচি শুক্রবার (৯ মে) দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি ঘোষণা আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সবাইকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আসার আহ্বান জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম। এর পর সেখানে লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। তারা সারা রাত সেখানে ছিলেন। শুক্রবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতা যমুনার সামনে আসেন। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয় ওই এলাকা। 

এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য আসেনি।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফের উত্তাল কেনিয়া, নিহত ৮

কেনিয়াজুড়ে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর সরকারের বিরুদ্ধে এক দিনের বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসার পর, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন নিহত এবং ৪০০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে কেনিয়ায় মারাত্মক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ঢেউয়ের ঠিক এক বছর পর, গতকাল বুধবার (২৪ জুন) রাজধানী নাইরোবি ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ‘রুটোকে যেতে হবে’ বলে স্লোগান দেন এবং তার শাসনের শান্তিপূর্ণ বিরোধিতার প্রতীক হিসেবে পাম গাছের পাতা নিয়ে মিছিল করেন।

সরকার বিক্ষোভের সরাসরি টিভি ও রেডিও সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু রাজধানী নাইরোবির হাইকোর্ট সেই ডিক্রি বাতিল করে দেয়।

রুটো বিক্ষোভকারীদের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি না দেওয়ার আহ্বান জানান, কারণ জনতা তার সরকারি বাসভবনে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু পুলিশ তাদের পিছু হটিয়ে দেয়।

রুটো উপকূলীয় কাউন্টি কিলিফিতে একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “কেনিয়ায় শান্তি নষ্ট করার জন্য বিক্ষোভ করা উচিত নয়। যখন কিছু ভুল হয় তখন আমাদের অন্য কোনো দেশে যাওয়ার দরকার নেই। আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব।”

রুটো বুধবার তার সরকারি বাসভবন স্টেট হাউসে ছিলেন না। কারণ বিক্ষোভকারীরা সেখানে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল।

বিক্ষোভকারীদের আটকাতেই খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের সঙ্গে। তাদের আটকাতে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। চালানো হয় গুলিও। নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় পার্লামেন্টের সঙ্গে মূল সড়কের সংযোগকারী রাস্তা। বন্ধ করে দেওয়া আশপাশের সব রাস্তা, ব্যাংক এবং দোকান। 

বুধবারের বিক্ষোভে হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ এখনও দেয়নি, তবে কেনিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ল সোসাইটি অব কেনিয়া এবং পুলিশ রিফর্মস ওয়ার্কিং গ্রুপ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, কমপক্ষে আটজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।

আহত ৪০০ জনের মধ্যে ৮৩ জনের ‘বিশেষ চিকিৎসা’ প্রয়োজন এবং আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি কেনিয়া নিহতের সংখ্যা ১৬ জন বলে জানিয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত বছর ২৫ জুন কর বাড়ানোর বিতর্কিত আর্থিক বিল পাসের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয় কেনিয়ায়। রাজধানী নাইরোবি-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর জানা গিয়েছিল। ঠিক এক বছর পর ফের উত্তপ্ত হলো কেনিয়া।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফের উত্তাল কেনিয়া, নিহত ৮
  • দলীয় প্রধানের বাসভবনে ‘জেনারেল পার্টি’র কার্যালয়, সাইনবোর্ড-আসবাব কিছুই নেই