খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তপন কান্তি দেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে জেলা শহরের শান্তি নগর এলাকা থেকে তপন কান্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

ওসি আব্দুল বাতেন জানান, তপন কান্তি দের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তপন কান্তি দেকে হাজির করা হয়। বিচারক শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরো পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা: নড়াইলে দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৪

নড়াইলে বিলে মিলল যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ

ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ তপন ক ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ সরানো প্রসঙ্গে যা বলল রেল কর্তৃপক্ষ

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। জনসাধারণের সম্পত্তি অবৈধ দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেতে রেলের জমিতে একটি পূজা মণ্ডপ তৈরি করে। পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেওয়ার শর্তে পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়।’

‘পূজার আয়োজকরা রেলকে পূজা শেষে মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পূজা শেষে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়নি। উল্টো তারা সেখানে স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। বারবার তাদের এহেন প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও পূজার আয়োজকরা কর্ণপাত করেননি,’ বলেন উপদেষ্টা।

তিনি জানান, উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে জনসাধারণের সম্পত্তি অবৈধ দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথমে প্রায় শতাধিক দোকানপাট, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, কাঁচাবাজার ও সবশেষে অস্থায়ী মন্দিরটি সরানো হয়েছে। অস্থায়ী মন্দিরের প্রতিমা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তি ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানায় রেল কর্তৃপক্ষ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ