আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। শুক্রবার রাতে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে পটিয়া হাইস্কুল গেইট সম্মুখ থেকে মহাসড়কের পটিয়া সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পটিয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। 

এসময় তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

বিক্ষোভকাকারীরা পটিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি তোলে, তারা যেন তাদের প্রতিবাদের বার্তা সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে পারে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মারুফুল আলম, হাসান আল বান্না, মাহবুব উল্লাহ, তালহা রহমান, মুহাম্মদ তৌকির, মুহাম্মদ মাশরাফ, মুহাম্মদ সাকিব, আমিনুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক, গাজী আবু হাসনাত প্রমুখ। 

পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মুহাম্মদ নাজমুন নুর বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ঘটনাস্থলে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয ম ল গ ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ‌‌পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের পর প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিস্ক্রিয় করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি পন্থা হচ্ছে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।”

আরো পড়ুন:

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি

এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী

ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এর আগে এ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

তিনি বলেন, “এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যেখানে ন্যায্যভাবে অভিযোগ যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়, সেখানে অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না।”

তিনি আরো যোগ করেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, এই অভিযোগগুলো হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যেতে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তিনি তার মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত রেকর্ড নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ছয়টি অংশ রয়েছে।

রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি অনলাইন

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ