বক্সার, রেফারি, আর্জেন্টাইন—৬০ বছর পর ব্রাজিলের ‘বিচিত্র’ বিদেশি কোচদের তালিকায় আনচেলত্তি
Published: 10th, May 2025 GMT
ব্রাজিল ফুটবলে তাহলে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে যাচ্ছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ কাল জানিয়েছে, লা লিগার বর্তমান মৌসুম শেষে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়বেন কার্লো আনচেলত্তি। তাঁর জায়গায় রিয়ালে নতুন কোচের দায়িত্ব নেবেন জাবি আলোনসো। আর আনচেলত্তি যাবেন কোথায়? ফুটবলের খুব অল্প খোঁজখবর রাখা ব্যক্তিও এখন জানেন, আনচেলত্তির পরবর্তী ঠিকানা ব্রাজিল জাতীয় দল।
অনেক দিন ধরেই এই ইতালিয়ান কোচের পিছু ছুটছিল ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের ভাগ্যে আনচেলত্তি-শিকে ছিঁড়তে যাচ্ছে। দ্য অ্যাথলেটিক গত সপ্তাহে জানিয়েছে, রিয়ালের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে আনচেলত্তির, তাঁকে ছাড়তে রাজি হয়েছে মাদ্রিদের ক্লাবটি। অর্থাৎ, লা লিগার মৌসুম শেষে ব্রাজিলের কোচ হতে আর বাধা নেই আনচেলত্তির।
সেটা হলে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল-দর্শনের একটি জায়গায় দুইয়ে দুইয়ে পাঁচ হতে পারে!
আরও পড়ুনহামজা চৌধুরী কি আবার প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারবেন৩ ঘণ্টা আগেঅর্থাৎ, হিসাবে মিল পড়বে না। কোথায়? কোচ নিয়োগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের যে দর্শন সেখানে। সেই দর্শনটি হলো দেশি কোচ। সব সময় না হলেও বেশির ভাগ সময় দেশের কোচদের হাতেই জাতীয় দলের ভার অর্পণ করেছে সিবিএফ। ইতালিয়ান আনচেলত্তির হাতে দায়িত্ব অর্পণ করলে ভেঙে যাবে সেই ধারা।
কত দিনের ধারা? ছয় দশকের, মানে ৬০ বছর। ব্রাজিল জাতীয় দলে সর্বশেষ বিদেশি কোচ দেখা গেছে ১৯৬৫ সালে.
সেই কোচ যে আর্জেন্টাইন! ফিলপো নুনেজ। লা লিগার দল আলাভেসের কোচ এদুয়ার্দো কুদেত সম্পর্কে তাঁর ভাতিজা।
ফিলপো নুনেজ। যখন পালমেইরাসের কোচ ছিলেনউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে, প্রক্টরের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামালেন শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ। গত বছরের ১৭ জুলাইয়ের পরিপত্র অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের তিনি এ কথা জানান।
শুক্রবার সকালে ঢাবির ১৮টি হলে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই ওই কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে এবং হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ছাত্রদের বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। একপর্যায়ে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের ছাত্রীরা গেটের তালা ভেঙে বের হয়ে এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
রাত ২টার দিকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বাসভবনের সামনে আসেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের প্রায় এক ঘণ্টা আলাপ-আলোচনা হয়। পরে উপাচার্য বলেন, ‘হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হল প্রভোস্টের নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।’
উপাচার্যের ওই বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা ‘না, না’ বলে আপত্তি জানান এবং হলগুলোতে সম্পূর্ণভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করেন। তারা হলে হলে শিবিরের গুপ্ত কমিটি প্রকাশ ও ছাত্রদল কমিটির সদস্যদের শাস্তির দাবিও জানান।
শেষ পর্যন্ত প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে। এই ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা হাততালি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং স্লোগান দেন— ‘এই মুহূর্তে খবর এল, হল পলিটিকস নিষিদ্ধ হলো।’
পরে রাত ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে ফিরে যান।