ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে গণজমায়েতের অংশ হিসেবে শাহবাগে মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

শনিবার (১০ মে) দুপুর ২টার পর থেকে শাহবাগ মোড়ে গণজমায়েত বাড়তে শুরু করে। কর্মসূচি শুরু হয় বিকেল ৩টা থেকে।

আন্দোলনকারীরা ‘চারদিকে খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ ব্যান’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘চলছে লড়াই চলবে’সহ বিভিন্ন স্লোগানে শাহবাগ মোড় মুখরিত করে রাখছেন। 

তারা বলছেন, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দলটির দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করাসহ জুলাই ঘোষণাপত্র জারির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।

ছাত্র-জনতার অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড়ের প্রতিটি সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবারের (৯ মে) মতো আজ (শনিবার) শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিস্তারিত আসছে.

.

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হব গ

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে ভালো কোম্পানি আনতে হবে: আবু আহমেদ

দেশের বৃহত্তর অর্থনীতির স্বার্থে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করতে হবে। আর পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে হলে ভালো মানের কোম্পানি নিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ।

বুধবার (২৫ জুন) ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ক‍্যাপিটাল মার্কেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী, অর্থ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিডিবিএল চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী ও এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

লিবরা ইনফিউশনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন

আবু আহমেদ বলেন, “আইসিবিকে বছরে ৯৬০ কোটি টাকা সুদ দিতে হয়, যা এখন আর পরিচালনাযোগ্য নয়। এ অবস্থায় আইসিবির টিকে থাকতে আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “শুধু টাকার জন্য নয়, পাবলিক ইন্টারেস্ট ও সরকারের চাহিদার কারণে বহুজাতিক কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আসতে হয়। বাংলাদেশে বহুজাতিক স্ট‍্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব‍্যাংক অনেক মুনাফা করেছে, যা বাংলাদেশের শীর্ষ ৪ ব‍্যাংকের থেকেও বেশি। কিন্তু এই ব‍্যাংকটি বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। অথচ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় ব্যাংকটি তালিকাভুক্ত।”

যেসব বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবে না, সেগুলোর ওপর আয়কর বাড়িয়ে দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

আইসিবি চেয়ারম্যান বলেন, “বর্তমানে শেয়ারবাজার নড়ছে না। এর অন্যতম কারণ হলো উচ্চ সুদ হার। এটা কমানো না হলে বাজার টানা ঢুকবে না।”

তিনি আরো বলেন, “আমি যতদিন আইসিবিতে আছি, ততদিন এখানে কোনো অনিয়ম হতে দেব না।”

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ