নরসিংদীর পলাশে ধারের ৫০০ টাকা ফেরত দিতে না পারায়, বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইসমাইল নামে (৪৫) এক দিনমজুরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার রাতে উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ইসমাইল মিয়ার বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়ন। তিনি খিলপাড়ার পুবালী এলাকার একটি কলোনিতে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পুলিশ জানায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে খিলপাড়া গ্রামের সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইসমাইল। এসময় একই গ্রামের আছান আলীর ছেলে আফজাল হোসেনের সংগে তার দেখা হয়। তার আগে আফজালের কাছ থেকে  ৫০০ টাকা ধার নিয়েছিল ইসমাইল। পরে আফজাল ধারের টাকা চাইলে দু'জনই বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে আফজাল একটি ছুরি দিয়ে ইসমাইলের কোমরে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ইসমাইলের মৃত্যু হয়। 

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনির হোসেন বলেন,  ৫০০ টাকার লেনদেন নিয়ে ইসমাইল ও আফজালের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আফজাল তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য ৫০০ ট ক আফজ ল উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত

ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ শিশুও রয়েছে। ইসরায়েলি ড্রোন হামলা ও বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল মূলত বেসামরিক ও আশ্রয়প্রার্থী নাগরিকরা বলে জানিয়েছে চিকিৎসা সূত্রগুলো। খবর আল জাজিরা, আনাদোলুর

প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একদল সাধারণ মানুষের ওপর ড্রোন হামলায় দুজন নিহত এবং অনেকে আহত হন। একই শহরে আরও একজন ড্রোন হামলায় এবং অপর একজন আগের হামলায় আহত হয়ে মারা যান।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে আশ্রয়প্রার্থীদের একটি তাঁবু লক্ষ্য করে চালানো হামলায় একজন ফিলিস্তিনি এবং তার ছেলে নিহত হন। একই শহরের পশ্চিমাংশে আরেকটি তাঁবুতে ড্রোন হামলায় দুই শিশুসহ চারজন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে।

খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায়, আসদা শহরের কাছে দুটি তাঁবুতে পৃথক হামলায় চারজন নিহত হন, যাদের মধ্যে দুই শিশু ছিল। একই এলাকায় আরেকটি তাঁবুতে হামলায় আরও এক শিশু মারা যায়। পাশাপাশি, একটি সাইকেলের ওপর ড্রোন হামলায় এক তরুণ নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব খান ইউনিসের আবাসান আল-কাবিরা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী তীব্র গোলাবর্ষণ ও গুলিবর্ষণ চালিয়েছে। গাজা শহরে গোলাবর্ষণে একটি শিশুর মৃত্যু হয় এবং উত্তরের জাবালিয়ায় আরেকজন মারাত্মক আহত হন।

এদিকে খান ইউনিসে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। গাজা শহরে আরেক হামলায় ৫ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একটি কন্যা শিশুও রয়েছে।

এছাড়া গাজা শহরের আল-তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সেনারা চলমান বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের মধ্যে একাধিক আবাসিক ভবন ধ্বংস করছে। একইসঙ্গে জাবালিয়ার ওল্ড গাজা স্ট্রিটের একটি মসজিদেও বিমান হামলা চালানো হয়, যেখানে দু’জন আহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৫২ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ