ধারের ৫০০ টাকা চাওয়ায় বাকবিতণ্ডা, দিনমজুরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
Published: 11th, May 2025 GMT
নরসিংদীর পলাশে ধারের ৫০০ টাকা ফেরত দিতে না পারায়, বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইসমাইল নামে (৪৫) এক দিনমজুরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার রাতে উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসমাইল মিয়ার বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়ন। তিনি খিলপাড়ার পুবালী এলাকার একটি কলোনিতে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে খিলপাড়া গ্রামের সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইসমাইল। এসময় একই গ্রামের আছান আলীর ছেলে আফজাল হোসেনের সংগে তার দেখা হয়। তার আগে আফজালের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিয়েছিল ইসমাইল। পরে আফজাল ধারের টাকা চাইলে দু'জনই বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে আফজাল একটি ছুরি দিয়ে ইসমাইলের কোমরে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ইসমাইলের মৃত্যু হয়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য ৫০০ ট ক আফজ ল উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে
২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। তবে এরপরেও কিছু উদ্বেগ অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে ছাত্র বিক্ষোভ এবং পুলিশ ও আওয়ামী লীগ দলের যুব সংগঠনের সাথে সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পরে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ‘প্রধান উপদেষ্টা’ (প্রধানমন্ত্রীর সমতুল্য) ভূমিকায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।
পূর্ববর্তী সরকার বেআইনি হত্যাকাণ্ড; গুম; নির্যাতন বা নিষ্ঠুর, অমানবিক, বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি; স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার বা আটক; পূর্ববর্তী সরকারের অন্য দেশে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দমন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমে স্বাধীনতার উপর গুরুতর বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল, যার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন রয়েছে। সাবেক সরকারের আমলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিক গ্রেপ্তার বা বিচার ও সেন্সরশিপ আরোপ, শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার উপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ; শ্রমিক কর্মী বা ইউনিয়ন সদস্যদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা হুমকি এবং শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ রূপের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিল।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপকভাবে দায়মুক্তির অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সনাক্ত ও শাস্তি দেওয়ার জন্য খুব কমই বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পূর্ববর্তী সরকারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে।
মানবাধিকার সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনে জুলাই এবং আগস্ট মাসে সাবেক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতিসংঘের সাথে কাজ করেছে এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করার জন্য তার সাধারণ বিচার ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উভয়কেই ব্যবহার করেছে।
ঢাকা/শাহেদ