ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গণহারে মামলা দেওয়া হচ্ছে: সাইফুল হক
Published: 13th, May 2025 GMT
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, দেশে এখন একটা আধা নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি চলছে। বেপরোয়া তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন যে যা ইচ্ছে করতে পারে। বিচারের নামে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য গণহারে মামলা দেওয়া হচ্ছে। কাজেই প্রকৃত অপরাধী ও হত্যাকারীদের বেঁচে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় কবিতা পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাইফুল হক এ মন্তব্য করেন।
দেশের চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য হরণের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে একটি ন্যায্য, মানবিক, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় কবিতা পরিষদ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এই লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে একটি বৃহত্তর গণঐক্য গঠনের প্রয়াসে জাতীয় কবিতা পরিষদ ধারাবাহিকভাবে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথ মতবিনিময় করছে।
সাইফুল হক বলেন, সমাজের যেকোনো সংকটে সবার আগে কবিরা তাদের লেখনির মাধ্যমে সাড়া দেন। প্রতিবাদ করেন। তিনি জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতি দেশের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, বর্তমান সময়ে যারা ধর্মীয় উগ্রতা ও বাঙালি সংস্কৃতি দমন করে জনগণের মনন বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মতবিনিময় সভাগুলো করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, কবিতা ও রাজনীতি—দুটি শক্তি সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম নিয়ামক।
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউদ্দিন স্টালিন, উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য মতিন বৈরাগী প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সহসভাপতি গোলাম শফিক, এবিএম সোহেল রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল জাকারিয়া, রফিক হাসান, নুরুন্নবী সোহেল, ইউসুফ রেজা, আসাদ কাজল, রোকন জহুর, শিমুল পারভীন, সবুজ মনির, নাহিদ হাসান, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, মীর রেজাউল আলম, আকবর খান, আবু হাসান টিপু প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে