দুর্নীতি ও অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে অফিসার্স ক্লাব। একই অভিযোগে আরও সাবেক পাঁচ সচিবের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার অফিসার্স ক্লাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত সেপ্টেম্বরে জসীম উদ্দিনকে পররাষ্ট্রসচিব করা হয়।

পররাষ্ট্রসচিব ছাড়া সদস্যপদ স্থগিত হওয়া অন্য পাঁচজন হলেন সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার, দুদকের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ জহিরুল হক, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ও পিএসসির সদস্য এস এম গোলাম ফারুক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো.

আনিসুর রহমান ও সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান।

অফিসার্স ক্লাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চালু হয়েছে। দুর্নীতি ও অনৈতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় নৈতিক স্খলনের কারণে তাঁদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।

অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আবদুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। তাঁরা নির্দোষ প্রমাণিত হলে, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।

রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত অফিসার্স ক্লাব সরকারি কর্মকর্তাদের একটি কল্যাণমূলক সংগঠন। এ ক্লাবের চেয়ারম্যান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ১০৬ জন কর্মকর্তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্যসচিবসহ ৭০ জন সচিব ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রসচ ব অফ স র স ক ল ব র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ‌‌পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের পর প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিস্ক্রিয় করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি পন্থা হচ্ছে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।”

আরো পড়ুন:

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি

এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী

ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এর আগে এ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

তিনি বলেন, “এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যেখানে ন্যায্যভাবে অভিযোগ যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়, সেখানে অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না।”

তিনি আরো যোগ করেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, এই অভিযোগগুলো হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যেতে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তিনি তার মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত রেকর্ড নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ছয়টি অংশ রয়েছে।

রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি অনলাইন

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ