চলতি মাসের ১৫ মে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার এক কূটনৈতিক বার্তায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ১৫ মে টোকিওতে অনুষ্ঠেয় এ আলোচনা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। আলোচনা পরবর্তী সময়ে দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধামতো সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই বিষয়ে জাপানের দূতাবাসকে অনুরোধ জানানো হয়েছে যেন তারা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়।

চলতি মাসের শেষ দিকে প্রধান উপদেষ্টার জাপান যাওয়ার কথা রয়েছে। জাপানের নিক্কেই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছাড়াও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। তবে এর আগে আগামী ১৫ মে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল সেখানে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে এ অঞ্চলে জাপানের সহযোগী ও প্রতিযোগী দেশগুলোর পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল, নিরস্ত্রীকরণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহযোগিতা এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন ফেরামে সমর্থনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার যে চুক্তিগুলো হয়েছিল সেগুলোর হালনাগাদ নিয়ে আলোচনাও হওয়ার কথা ছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ন্যায় প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ ঘটনা, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে সরকার: আইন উপদেষ্টা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায়কে ন্যায় প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে এ দেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আবারও চিঠি দেবে সরকার।

আজ সোমবার রায়ের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। আজকে বাংলাদেশের মাটিতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ ঘটনা ঘটেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে শত শত মানুষের মৃত্যু, হাজার হাজার মানুষের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা, অঙ্গহানির ঘটনা, বিকলাঙ্গ হওয়ার ঘটনার জন্য যে নৃশংস খুনি দায়ী ছিলেন, আজকে সেই শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। তাঁর প্রধান সহযোগী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। আমি মনে করি, আজকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আরেকটি বিজয়ের দিন।’

এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের স্মরণ করেন আইন উপদেষ্টা। একইসঙ্গে শোকসন্তব্য পরিবারগুলোর কথাও মনে করেন তিনি।

ব্যক্তিগতভাবে এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি (রায়ে) বিস্মিত না, শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের মানবতাবিরোধী অপরাধের যে তাজা, অকাট্য ও জোরালো প্রমাণ রয়েছে, তাতে পৃথিবীর যেকোনো আদালতে বিচার হলে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ার কথা।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আজকে আরেকটি কথা বলতে চাই, সেটা হচ্ছে আমরা শেখ হাসিনাকে এ দেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আবার চিঠি লিখব। ভারত যদি এই গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে ভারতকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে একটা শত্রুতা, একটা অত্যন্ত নিন্দনীয় আচরণ।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ