এনবিআর ভেঙে দুই বিভাগ: অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ৩ দিনের কলম বিরতি ঘোষণা
Published: 13th, May 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দুই বিভাগ করার অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়ে তিন দিনের কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সময় এই ঘোষণা দেন তারা।
এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা ও যুগ্ম কর কমিশনার (কাস্টমস) ফজলে এলাহি। এতে অংশ নেন ৩০০ থেকে ৪০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
তারা বলেন, এনবিআর সংস্কার পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদনকে মূল্যায়ন করা হয়নি। এই অধ্যাদেশ শিগগিরি বাতিল করতে হবে। এইজন্যই আগামী বৃহস্পতি ও শনিবার এম্পিয়ারের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা কলম বিরতি পালন করবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনব আর
এছাড়াও পড়ুন:
পাবিপ্রবি নিষিদ্ধ সংগঠনের ২ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখার দুই কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদ রানা সরকারের অনুসারী কল্যাণ রায় শুভ এবং নাইম জিসান। তারা উভয়ই ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কল্যাণ রায় শুভকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাইম জিসানকে পাবনার শালগাড়িয়ার তালবাগান এলাকা থেকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
পাবিপ্রবিতে জাতীয় সংগীত গেয়ে ‘অবমাননা’র প্রতিবাদ
সমাধান না পেয়ে আবারো রেলপথ অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পরীক্ষা শেষ করে বের হলে কল্যাণ রায় শুভকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়। কল্যাণ রায় শুভের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ নাইম জিসানের মেসে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, কল্যাণ রায় শুভ এবং নাইম জিসান দুজনেই বিগত সরকারের সময় ছাত্র নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০২৩ সালে রমজানে হলে তিন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মঙ্গলবার তাদের দুজনের পরীক্ষা ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান বলেন, “বিকেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী কল্যাণ রায় শুভ নামের এক শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। ওরা ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে আগে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু ফৌজদারি বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, তাই আমরা বিষয়টা পাবনা সদর থানাকে অবগত করি। থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।”
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, “ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। যে শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করেছেন, তারা আমাদের জানিয়েছেন, ওই দুই ছাত্রলীগ কর্মী শিক্ষার্থী নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আতিক/মেহেদী