দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ শুনতে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যোগ দিলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) অংশ নেয়নি।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি বলেছে, বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে বর্তমানে যা চলছে সেটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। তাদের উচিত নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করে বিনিয়োগকারীদের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিডা কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন (আশিক চৌধুরী)।

বিডা সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ১৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে ১৭টি দল থেকে শীর্ষ নেতা বা প্রতিনিধি অংশ নেন। বিএনপি ও বিজেপির কেউ ছিলেন না। বিডা সূত্রে জানা যায়, সভায় অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

বিএনপি ও বিজেপি ছাড়া সভায় অংশ নেওয়া দলগুলো ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।

আমন্ত্রণ জানানোর পরও সভায় অংশ না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আমরা দেখছি ক্রমাগতভাবে দেশে বিনিয়োগ কমছে, শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কমছে। কারণ, বিনিয়োগকারীরা নির্বাচন ও রাজনৈতিক সরকারের জন্য অপেক্ষা করছেন। সেটির জন্য নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করে বিনিয়োগকারীদের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। অন্য কিছু করে বিনিয়োগ বাড়ানো যাবে না।

অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করে বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগের নামে এক ধরনের সার্কাস চলছে। এতে বরং বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।

এদিকে, সভায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম এম আকাশ বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক সরকারের ধারাবাহিকতা জরুরি। বিনিয়োগকারীরা রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা চান। সেই নিশ্চিয়তা না পেলে তাঁরা বিনিয়োগ করতে চাইবেন না।

দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ শুনতে মতবিনিময় সভা করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা).

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য সরক র ইসল ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ