চর সৈয়দপুরে অয়ন ওসমানের ক্যাডার কাসেম বাহিনীর হোন্ডা মোহরা, আতংক
Published: 14th, May 2025 GMT
সদর উপজেলার চর সৈয়দপুর গোগনগর ইউনিয়নে সাবেক কৃষকলীগ নেতা জুলাই-আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি, অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠ ক্যাডার কাশেম সম্রাট ও তার সহযোগী রানা ও সোহেলের মোটরসাইকেল শোডাউনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। বিরাজ করছে আতংক।
মঙ্গলবার লাইলী পাগলীর মাজারের সামনে ওয়েস্টেজ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের এই প্রদর্শনী স্থানীয়দের ক্ষোভের জন্ম দেয়। শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসী তাদের প্রতিহত করে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
গোগনগর-চরসৈয়দপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে কাশেম সম্রাট ও তার সহযোগী বাবু, ফয়সাল, সোহেল, মহসিন, সানি, সাইফুলের বিরুদ্ধে। নদীপথে ডাকাতি, মাদক পাচার, চাঁদাবাজি থেকে হত্যা—নানা অপরাধে জড়িত তাদের নাম।
সরকার পরিবর্তনের পরও তাদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত থাকায় এলাকাবাসীরা হতাশা প্রকাশ করে বলছেন, "ক্ষমতার বদল হয়েছে, কিন্তু সন্ত্রাসীরা রয়ে গেছে। কতদিন আর এই অত্যাচার সহ্য করতে হবে?"
নারায়ণগঞ্জ মহানগর জিয়া পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ রূপম জানান, গত ১৬-১৭ বছর ধরে এই গোষ্ঠী এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এবারও তারা ক্ষমতার প্রদর্শন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। তাদের শোডাউনের সময় স্থানীয় যুবক ও সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং মোটরসাইকেল জব্দ করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করেন।
জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলা রয়েছে। পুলিশ বলছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি, কেবল মামলা নয়, এই সন্ত্রাসীদের স্থায়ীভাবে দমন করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলছেন, সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও স্থানীয় সহযোগিতা জরুরি, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর ভূমিকাই পারে এই অরাজকতা থামাতে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অয়ন ওসম ন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীনতা দিবসের সকালে পশ্চিমবঙ্গের সড়কে ঝরল ১০ প্রাণ
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনের সকালে পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০ জন; আহত হয়েছেন ৩৫ জন, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বর্ধমানের নবাব-হাট ফাগুপুর এলাকায় সকাল ৭টায় এই দুর্ঘটনা হয়।
১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয় ভারত।
আরো পড়ুন:
রোডক্র্যাশে বেশি মারা যাচ্ছে তরুণরা
ঝিনাইদহের সড়কে ঝরল ২ শিক্ষার্থীর প্রাণ
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি হুগলি জেলার তারকেশ্বর থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় জাতীয় সড়কের ওপর ফাগুপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রাকের পেছন ধাক্কা দেয় বাসটি।
ধাক্বায় বাসের সামনের দিকের অংশ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। দুর্ঘটনা স্থল থেকে ৪৫ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে, যাদের ১০ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে অন্তত ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। সবাই বিহারের বাসিন্দা। পুজা দিতেই সবাই পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। ফেরার সময়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সার্ভিস লেন থাকা সত্ত্বেও জাতীয় সড়কের ওপরেই লরিগুলো বিপদজনকভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। এই বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের।
এদিন সকালেও একইভাবে ওই লরি দাঁড়িয়ে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন। দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট হয়। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যা পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
ঢাকা/সুচরিতা/রাসেল