ব্রাজিলের ফুটবল প্রধানকে অপসারণ, পুরো বোর্ড বরখাস্ত
Published: 16th, May 2025 GMT
ব্রাজিলের ফুটবল অঙ্গনে আবারও বড়সড় রদবদল। আদালতের রায়ে পদ হারালেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেজ। তার বিরুদ্ধে তোলা চুক্তি জালিয়াতির অভিযোগের ভিত্তিতে রিও ডি জেনেইরোর একটি আদালত এই সিদ্ধান্ত দেয়। একই সঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে পুরো বোর্ড সদস্যদেরও।
রদ্রিগেজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে আপাতত দায়িত্ব পালন করবেন সিবিএফের সহ-সভাপতি ফার্নান্দো সারনি। তিনিই আদালতে রদ্রিগেজের অপসারণের আবেদন করেছিলেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, সারনিকে যত দ্রুত সম্ভব নতুন সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
রদ্রিগেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০৩০ সাল পর্যন্ত নিজের মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্যে এক চুক্তিপত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন। চুক্তিটিতে সিবিএফের সাবেক সভাপতি আন্তোনিও কার্লোস নুনেস দে লিমার স্বাক্ষর রয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু আদালতের মতে, ২০১৮ সাল থেকে মস্তিষ্কের ক্যানসারে ভোগা নুনেস মানসিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষরের মতো অবস্থায় ছিলেন না, ফলে ওই চুক্তির আইনি ভিত্তি নেই।
আরো পড়ুন:
ব্রাজিলের নতুন কোচ আনচেলত্তি, দায়িত্ব নিচ্ছেন চলতি মাসেই
ব্রাজিলের কোচ হওয়ার ব্যাপারে রিয়ালের সঙ্গে আনচেলত্তির সমঝোতা
বিচারক গ্যাব্রিয়েল দে অলিভেইরা জেফিরো রায়ে বলেন, “এটি একটি অবৈধ ও বাতিলযোগ্য চুক্তি। এর মাধ্যমে পরিচালিত প্রশাসনকেও বৈধ বলা যায় না। সিবিএফের নেতৃত্ব শূন্য থাকা চলবে না, তাই একটি বৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন।”
এর আগেও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এক আদালত আদেশে রদ্রিগেজকে অপসারণ করেছিল। তখনও তার পদচ্যুতি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলে ব্রাজিল জাতীয় দল ফিফার নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাকে পুনর্বহাল করে।
তবে এবার পরিস্থিতি আরও জটিল। চলতি বছরের মার্চেই রদ্রিগেজ আবারও নির্বাচিত হন এবং সম্প্রতি কার্লো আনচেলত্তিকে ব্রাজিল জাতীয় দলের নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার তিন দিনের মাথায় আবারও তার পদচ্যুতি হলো। ফলে ব্রাজিলের ফুটবলে নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে।
সিবিএফ এখন পর্যন্ত আদালতের রায়ের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ না হলেও, ফুটবল অঙ্গনে স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতার দাবি উঠেছে জোরেশোরে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল স ব এফ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ফায়ারফক্সে আসছে এআই উইন্ডো
কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা বা এআইকেন্দ্রিক ব্রাউজারের বাজার দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতার মধ্যেই ফায়ারফক্সে নতুন এআই উইন্ডো নামের বিশেষ সুবিধা যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে মজিলা। সুবিধাটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় প্রয়োজন অনুসারে একটি সমন্বিত এআই সহকারীর সাহায্য নিতে পারবেন। পুরো প্রক্রিয়াই থাকবে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণে।
এক ব্লগ বার্তায় মজিলা জানায়, এআই উইন্ডো ব্রাউজিংয়ে ক্ষেত্রে এআই নির্দেশনা ও ব্যক্তিগত সহায়তার সুবিধা দেবে। সুবিধাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় থাকবে না। আগ্রহী ব্যবহারকারীরা চাইলে নিজে থেকেই চালু করবেন। যেকোনো সময় বন্ধ করা যাবে। এআইনির্ভর এই সুবিধা ওপেন সোর্স প্রযুক্তির ভিত্তিতে তৈরি করা হচ্ছে।
ফিচারটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ কিছু ব্যবহারকারীর কাছে উপলব্ধ হয়েছে। মজিলা জানিয়েছে, যে কেউ চাইলে আগের মতোই ফায়ারফক্স ব্যবহার করে নিজের পছন্দমতো কাস্টমাইজড অভিজ্ঞতা পাবেন। আরও বেশি গোপনীয়তা চাইলে প্রাইভেট উইন্ডো ব্যবহার করতে পারবেন। এআই উইন্ডো ব্রাউজিংকে আরও ব্যক্তিগত উপায়ে ব্যবহারের সুযোগ দেবে।
এআই চালিত ব্রাউজারের ব্যবহার বাড়তে থাকায় বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি এখন সার্চবারের জায়গায় চ্যাটবট যুক্ত করা বা সম্পূর্ণ এআইনির্ভর ব্রাউজার তৈরিতে মনোযোগ দিচ্ছে। ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস বা পারপ্লেক্সিটির কমেট পুরোপুরি এআই এজেন্টকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলনির্ভর ব্রাউজারের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিযোগিতার মধ্যেও ভিন্ন অবস্থান তৈরি করতে চেষ্টা করছে মজিলা। তারা বলছে, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা—এই তিন নীতি সামনে রেখে ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা দেওয়া হচ্ছে। ওয়েবকে সবার জন্য উন্মুক্ত, মুক্ত ও নিরাপদ রাখতে চায় মজিলা। মজিলার ভাষ্য অনুযায়ী, ফায়ারফক্সে কোনো একক ইকোসিস্টেমে ব্যবহারকারীকে আটকে রাখা হবে না। এআই ব্যবহারের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতাও থাকবে না। কখন, কীভাবে বা আদৌ এটি ব্যবহার করবেন কি না, এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ব্যবহারকারীর।
এ বছরের জুনে ফায়ারফক্সের অ্যাড্রেসবারে থাকা ইউনিফায়েড সার্চ সুবিধায় সরাসরি পারপ্লেক্সিটি এআইয়ের মাধ্যমে অনুসন্ধানের অপশন যুক্ত করে মজিলা। নতুন এআই উইন্ডো ফিচার যুক্ত হলে ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা আরও বহুমাত্রিক হয়ে উঠবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস