দিল্লির গোলামি থেকে মুক্ত হয়েছি ওয়াশিংটনের গোলামির জন্য নয়: মামুনুল হক
Published: 17th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, দিল্লির দাসত্ব ও গোলামি থেকে মুক্ত হয়েছি ওয়াশিংটনের গোলামির জন্য নয়। বাংলার এক ইঞ্চি মাটিও ভিনদেশিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
আজ শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই ও শাপলা চত্বর গণহত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারাদেশে হেফাজতের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ইতিহাস আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাস। এ দেশের মানুষ বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লির আধিপত্য বাংলার মানুষ বরদাশত করে না। শেখ হাসিনা যখন দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়নে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, তখন আমরা রক্ত দিয়ে সেই যুদ্ধে জয়ী হয়েছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাফত মজলিসের আমির মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মির্জা ফখরুলের সমাবেশে যোগ দেননি জেলা বিএনপির নেতারা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর পানির নায্য হিস্যার দাবিতে করা গণসমাবেশে অংশ নেননি জেলা বিএনপির নেতারা। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা এলেও মঞ্চ ও সমাবেশস্থলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ নেতৃস্থানীয় কাউকে দেখা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া ও সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম। তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কর্মসূচিতে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি তিনি তাঁদের খোঁজও নেননি। এ জন্য তাঁরা ওই কর্মসূচিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বাংলাদেশ-ভারতের অভিন্ন নদী পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলছে। ২ নভেম্বর স্থানীয় শহীদ সাটু হলে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর প্রতিটি উপজেলায় সমাবেশ হয়েছে। আজ শনিবার নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন দলের চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম।
গোলাম জাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতারা আমাদের কোনো আমন্ত্রণ জানায়নি। এমনকি দলের মহাসচিবও আমাদের কোনো খোঁজ নেয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা জেলা বিএনপির নেতারা গণসমাবেশে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তবে কর্মীরা যেতে চাইলে নিষেধ করা হয়নি।’
রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি গণসমাবেশে ছিলেন না।
জানতে চাইলে সমাবেশের সমন্বয়ক হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁরা (গোলাম জাকারিয়া ও রফিকুল ইসলাম) প্রকৃতপক্ষে বিএনপি করেন না। বিগত নির্বাচনগুলোতে তাঁরা ধানের শীষের বিপক্ষে কাজ করেছেন। এ জন্য তাঁদের ডাকার প্রয়োজন মনে করিনি।’