বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, দিল্লির দাসত্ব ও গোলামি থেকে মুক্ত হয়েছি ওয়াশিংটনের গোলামির জন্য নয়। বাংলার এক ইঞ্চি মাটিও ভিনদেশিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।

আজ শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জুলাই ও শাপলা চত্বর গণহত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারাদেশে হেফাজতের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ইতিহাস আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাস। এ দেশের মানুষ বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লির আধিপত্য বাংলার মানুষ বরদাশত করে না। শেখ হাসিনা যখন দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়নে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, তখন আমরা রক্ত দিয়ে সেই যুদ্ধে জয়ী হয়েছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাফত মজলিসের আমির মো.

হাফেজ আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গোমস্তাপুরে ২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মধ্যরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে একটি আবাসিক মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাদের একজন এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপরজনের মৃত্যু হয়। 

নিহতরা হলো- গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের লেবুডাঙ্গা গ্রামের তরিকুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া খাতুন (১২) ও একই ইউনিয়নের বেগপুর গ্রামের সবুর আলীর মেয়ে জামিলা খাতুন (১০)।

স্থানীয়রা জানান, তানিয়া ও জামিলা ‘শেফালী বেগম মহিলা নুরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র শিক্ষার্থী। শুক্রবার দিবাগত রাতে হঠাৎই তারা অসুস্থ হয়ে বমি করে। সহপাঠীরা বিষয়টি শিক্ষককে জানান। সেসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পথেই একজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা যায়।

মাদ্রাসার শিক্ষক শাহিদা খাতুন বলেন, “রাতে খাবার খাওয়ার পর সব শিক্ষার্থী সুস্থই ছিল। হঠাৎ করে রাত আড়াইটার দিকে জামিলা বমি করে। সঙ্গে রক্তও বের হয়। এরপর তানিয়াও বমি করতে শুরু করে। আমরা তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। কীভাবে তাদের মৃত্যু হলো, তা আমরা বুঝতে পারছি না।”

রাধানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, “রাতে হঠাৎ মহিলা মাদ্রাসার দুজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেসময় মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাদেরকে হাসপাতালে নেন। পথেই একজনের মৃত্যু হয়। আরেকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। সাপের কামড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।”

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার আব্দুল আলিম জানান, দুজনের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম বলেন, ‘‘মধ্যরাতের দিকে মাদ্রাসায় থাকা অবস্থায় তাদের বমি হয়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ এবং ঘটনা সম্পর্কে জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”

ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে মরদেহ নেওয়া হবে বলে জানান গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম।

ঢাকা/শিয়াম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ