বন্দরে দাবিকৃত ২ হাজার টাকা না পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্য  সিফাত প্রধান (১৮) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রীকে কুপিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট  ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসী পিতা-পুত্র। 

আহত সিফাত পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। এলাকাবাসী রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আহতকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা হামলাকারি অধির (২০)কে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ সংবাদ দেয়।

এ ব্যাপারে আহতের মা  তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই দিন দুপুরে হামলাকারি পিতা/পুত্রকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এর আগে রোববার (১৮ মে) দুপুর ১২টায় পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি মোড়ে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে ।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সিফাত প্রধান পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী।  পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি এলাকার মোঃ আলী মিয়ার  বখাটে ছেলে অধির সাথে অভিযোগের বাদিনী ছেলের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।

সে সাথে বিবাদী অধির বিভিন্ন সময় অভিযোগের বাদিনী ছেলে সিফাত প্রধানের কাছে টাকা দাবি করে আসছিলো। এর ধারাবাহিকতা রোববার  বেলা ১২টায় অভিযোগের বাদিনী তার ছেলে সিফাতকে মাছ মাংস কেনার   জন্য পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি বাজারে পাঠালে ওই সময় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ পিতা/পুত্র অভিযোগের বাদিনী ছেলেকে দেখা মাত্রই তার কাছে দুই হাজার টাকা দাবি করে।

ওই সিফাত দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই সময় উক্ত এলাকার মৃত সাক্কু মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী মোঃ আলী  হুকুমে ১নং বিবাদী অধির অভিযোগের বাদিনী  ছেলে সিফাতকে  হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও পিঠে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত কাটা জখম করে।

পরে হামলাকারি সন্ত্রাসী মোঃ আলী  আহত সিফাতের কাছ থেকে একটি স্যামসাং ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৫ হাজার টাক ও বাজারের নগদ ১২৩০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঐ সময় উত্তেজিত জনতা ধারালো অস্ত্রসহ হামলাকারি অধিরকে আটক করে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ  সংবাদ জানালে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ন্যায় প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ ঘটনা, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে সরকার: আইন উপদেষ্টা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায়কে ন্যায় প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে এ দেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আবারও চিঠি দেবে সরকার।

আজ সোমবার রায়ের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। আজকে বাংলাদেশের মাটিতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ ঘটনা ঘটেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে শত শত মানুষের মৃত্যু, হাজার হাজার মানুষের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা, অঙ্গহানির ঘটনা, বিকলাঙ্গ হওয়ার ঘটনার জন্য যে নৃশংস খুনি দায়ী ছিলেন, আজকে সেই শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। তাঁর প্রধান সহযোগী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। আমি মনে করি, আজকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আরেকটি বিজয়ের দিন।’

এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের স্মরণ করেন আইন উপদেষ্টা। একইসঙ্গে শোকসন্তব্য পরিবারগুলোর কথাও মনে করেন তিনি।

ব্যক্তিগতভাবে এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি (রায়ে) বিস্মিত না, শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের মানবতাবিরোধী অপরাধের যে তাজা, অকাট্য ও জোরালো প্রমাণ রয়েছে, তাতে পৃথিবীর যেকোনো আদালতে বিচার হলে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ার কথা।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আজকে আরেকটি কথা বলতে চাই, সেটা হচ্ছে আমরা শেখ হাসিনাকে এ দেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আবার চিঠি লিখব। ভারত যদি এই গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে ভারতকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে একটা শত্রুতা, একটা অত্যন্ত নিন্দনীয় আচরণ।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ