ভাঙল ভারতের আত্রাই নদীর বাঁধ, প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে
Published: 21st, May 2025 GMT
মাত্র চার মাস আগে নির্মিত পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাটের আত্রাই নদীর বাঁধ আবারও ভেঙে পড়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে পানির চাপে ভেঙে যায় আত্রাই ড্যামের ভারতীয় অংশ।
উত্তরের আত্রাই নদী বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে আবার বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে। ভারতের অভিযোগ, নদীতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাবার ড্যাম দেওয়ার কারণে ভারতীয় অংশ বারবার বন্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত বছর থেকে আত্রাই নদীতে ছোট আকারে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু করে ভারত। কিন্তু বাঁধের কাজ চলাকালীন গত ফেব্রুয়ারিতেই বন্যার পানির চাপে ড্যাম ভেঙে যায়। সেই ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরেশোরে চলছিল মেরামতের কাজ। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে ওই মেরামত অংশ ফের ভেঙে পড়ায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে আত্রাই নদীর পানির স্তর বেড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এভাবে পানি বাড়লে ড্যামের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুরোপুরি ধসে পড়তে পারে। এতে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো তলিয়ে যাবে। নদীটি যেহেতু ভারত হয়ে বাংলাদেশে আবারও প্রবেশ করেছে, সেক্ষেত্রে নদীতে হঠাৎ পানি প্রবাহ বাড়ায় বাংলাদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে এক বছর আগে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মিত এই বাঁধ বর্ষার শুরুতেই ভেঙে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনার পরই ড্যামটি পরিদর্শনে আসেন দক্ষিণ দিনাজপুরের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
ড্যাম নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘বাড়ি তৈরির টিএমটি রড ব্যবহার করে ড্যাম তৈরি হয়েছে। এটি চরম দুর্নীতির ফল। আমি চাই প্রশাসনিক স্তরে এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত হোক। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, ‘ড্যাম নির্মাণে প্রচুর টাকা নেতাদের ঘুষ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, যার ফলেই আজ এই বিপর্যয়।’
অন্যদিকে বালুরঘাট মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান অশোক মিত্র এই ভাঙনকে ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘এই ভাঙনের পেছনে কোনো মানুষের হাত নেই। দুর্নীতির অভিযোগ তোলার আগে বিজেপিকে নিজের ঘরে নজর দিতে হবে। বালুরঘাট রেলস্টেশনে তৃতীয় শ্রেণির লিড ব্যবহার করে যে কাজ হচ্ছে, সেটি কি দুর্নীতি নয়?’
তিনি আরও বলেন, ‘রাম মন্দির তৈরির পরই ছাদ থেকে জল পড়ছে—এটাও তো দুর্নীতি। সেখানেও তো বিজেপি চোখ বুজে আছে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের মাঝে চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন আত্রাই নদী পারের গ্রামবাসীরা। ড্যামের দ্রুত সংস্কার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না মেলায় ক্ষোভও বাড়ছে জনমনে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নদ
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়া নেকটারে সার্টিফিকেট কম্পিউটার ট্রেনিং, যোগ্যতা এইচএসসি পাস
বগুড়া জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নেকটার) অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট কোর্স অন কম্পিউটার ট্রেনিং (সি-৭০তম ও সি-৭১তম) কোর্সে একাডেমির নির্ধারিত ফরমে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দরকারি তথ্য—
১. কোর্সের মেয়াদ: ছয় মাস।
৩. কোর্স ফি: পাঁচ হাজার টাকা।
যোগ্যতা যা প্রয়োজন—
১. শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
২. সংগ্রহ: কম্পিউটার ল্যাব (রুম নম্বর-১১০) থেকে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ সংগ্রহ করে জনতা ব্যাংক, ফুলদিঘি শাখা, বগুড়ায় ১০০ টাকা জমা দিয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
৩. প্রয়োজনীয় যা যুক্ত করতে হবে: ভর্তি ফরমের সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নাগরিকত্বের সনদ/জাতীয় পরিচয়পত্রের এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদপত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনচীনের মফকম বৃত্তি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা, আইইএলটিএসে প্রয়োজন ৬২০ মে ২০২৫ক্লাসের সময়—
সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ব্যতীত সি-৭০তম ব্যাচের ক্লাস প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং সি-৭১তম ব্যাচের ক্লাস প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার বিষয়—
বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও আইসিটি (৫০ নম্বর)।
ভর্তির বিস্তারিত তথ্য—
১. আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা: ২৮ মে ২০২৫ পর্যন্ত।
২. লিখিত পরীক্ষা: ১ জুন ২০২৫, সকাল ১০টা, স্থান: নেকটার, বগুড়া।
৩. ফলাফল প্রকাশ: ২ জুন ২০২৫, বেলা ২টা।
৪. ভর্তির তারিখ (মেধাতালিকা থেকে): ১৫ জুন থেকে ২৫ জুন ২০২৫ পর্যন্ত।
৫. ভর্তির তারিখ (অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে): ২৬ জুন ২০২৫।
৬. ক্লাস শুরু হবে: ১ জুলাই ২০২৫।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট।
আরও পড়ুনএসএসসি–এইচএসসির বোর্ডসেরাদের ১০ ও ২৫ হাজার টাকা দেবে সরকার, যেভাবে আবেদন ১৯ মে ২০২৫