ঝিনাইদহের মহেশপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে আফিয়া খাতুন (১২) ও সাথিয়া খাতুন (৮) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্কুলে যাওয়ার জন্য গোসল করতে পুকুরে নেমে ওই দুই শিশু পানিতে ডুবে যায়। তারা চাচাতো বোন। 

বুধবার (২৮ মে) সকাল ৯টার দিকে মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

আফিয়া খোসালপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং সাথিয়া একই গ্রামের খায়রুল ইসলামের মেয়ে। তারা খোসালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ত।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আফিয়ার মামা এনামুল হক জানিয়েছেন, সকালে দুই বোন স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে নামে। একপর্যায়ে তারা পানিতে ডুবে যায়। পরিবারের লোকজন দীর্ঘক্ষণ তাদের সাড়া-শব্দ না পেয়ে পুকুরে গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত আফিয়া ও সাথিয়া আপন চাচাত বোন। এ ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান বলেছেন, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছি।

ঢাকা/সোহাগ/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ