বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার অবদান এ দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি স্বীয় কীর্তিতে অমর ইতিহাসের মহানায়ক। 

শুক্রবার দুপুরে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।

রোকেয়া সরণি এলাকায় এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনর আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ জায়েদ আল ফাত্তাহ (শেখ সাব্বির), ব্যাংকার এম এ সাঈদ চৌধুরী, শেখ তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, রাইসুল আলম, আলিমুল বিন আজিজ, এইচ এম মিজানুর রহমান প্রমুখ।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ প্রভৃতি গুণাবলি এ দেশের গণমানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। দেশে ঐক্যের রাজনীতি চালু করে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসেন তিনি। প্রেসিডেন্ট জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। অল্প সময়ের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে জিয়া বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন এবং তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করেন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস জোগান। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। ঢাকায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত তার স্মরণকালের নামাজে জানাজায় প্রমাণিত তিনি কত জনপ্রিয় ছিলেন।

তিনি বলেন, জিয়াকে আমাদের জাতিসত্তার রূপকার। শহীদ জিয়া প্রকৃত অর্থে গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের একমাত্র স্টেটম‍্যান। স্বাধীনতা উত্তর শ্বাপদসংকুল রাজনৈতিক, সামরিক পথপরিক্রমা, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে দিশাহীন জাতিকে দেখিয়েছিলেন আলোর পথ। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন কৃষি, শিল্প, মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে স্বনির্ভরতার দিকে। দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।

বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আধুনিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্থপতি জিয়াউর রহমান। তাকে যে বিশেষণেই বিশেষায়িত করা হোক না কেন, তাতে তার যোগ্যতার পূর্ণ প্রকাশ ঘটে না, কারণ তার কীর্তি বাস্তবিকই বিপুল ও বিশাল। জাতির প্রতিটি সংকটময় মুহূর্তে তিনি বারবার দাঁড়িয়েছেন নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে। অসীম সাহসিকতা, দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা ও দেশপ্রেম নিয়ে তিনি সময়ের প্রয়োজনে আলোর দ্যুতি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। আমাদের অহংকার অধ্যায়কে তিনি আলোকিত ও সমৃদ্ধ করেছেন। অল্প জীবনে বিশাল তার অর্জন। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে তিনি কর্মগুণে জ্যোতির্ময় হতে পেরেছিলেন; যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

কাদের গনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে গণবিমুখ একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা চালু করেন। সে দিনগুলোতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, রাজনৈতিক মতপ্রকাশের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়। একদল, এক ব্যক্তি শাসনে গোটা দেশ এক জিন্দানখানায় (বন্দিশালা) পরিণত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর গণতন্ত্রের দরজা উন্মুক্ত করে দেন। তিনি উপলব্ধি করেন যে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে অবশ্যই মত ও পথের শতফুল ফুটতে দিতে হবে। এই লক্ষ্য ও মানসেই তিনি ১৯৭৬ সালে ‘রাজনৈতিক দল বিধি ১৯৭৬’ জারি করেন। এর ফলে দেশে সব রাজনৈতিক দলের পুনরুজ্জীবনের সুযোগ ঘটে।

বিএনপি শহীদ জিয়ার এক অনন্য সৃষ্টি উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, সব বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে বিএনপি পৌঁছে গেছে সাফল্যের শীর্ষতম বিন্দুতে। বিএনপি, জিয়া ও বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে এক ও অভিন্ন সত্তায়। দেশের এক ক্রান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। যখন আধিপত্যবাদী শক্তি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করতে তৎপর ছিল। যখন দেশের তৎকালীন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী স্বাধীনতা-উত্তর তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় কর্তৃত্বমূলক শাসন জারি করে মানুষের বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার কেড়ে নেয়। যখন হত্যা ও খুনের রাজনীতি জাতীয় জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা যখন চরমভাবে বিপন্ন ঠিক সেই অরাজক সময়ে বিএনপির জন্ম। 

‘অর্জিত স্বাধীনতাকে আর কেউ যেন বিপন্ন করতে না পারে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে যেন কোনো অপশক্তি ধ্বংস করতে না পারে, সেই দৃঢ়প্রত্যয় নিয়েই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। তার শাসনামলে সামাজিক সুবিচার ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করে। দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশ ইমার্জিন টাইগারে পরিণত হয়। তিনি বিএনপিকে গণতন্ত্র, উন্নয়ন, উৎপাদন ও জাতীয় স্বার্থরক্ষার উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন। নেতাপূজা, তোষামোদি ও স্লোগাননির্ভর বিদ্যমান রাজনীতির পরিবর্তে তিনি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি চালু করেন। দলের নেতাকর্মী ও জনগণকে তিনি সম্পৃক্ত করেন খাল খনন, নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযান, রাস্তাঘাট নির্মাণ প্রভূতি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে। অলস পড়ে থাকা কলকারখানাগুলোতে আবার কাজ শুরু হয়। এমনকি কোনো কোনো কারখানায় দুই শিফটেও কাজ চলে।'

তিনি আরও বলেন, জিয়া রাজনীতিকে প্রাসাদবন্দি না করে ছড়িয়ে দেন সারাদেশ। জিয়ার প্রতি জনগণের ভালোবাসার কারণে বিএনপি শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা পায়। পরবর্তীতে বিএনপি গণমুখী কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়। তাই জনগণ যখনই ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছে, তখনই বিএনপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ য় উর রহম ন গণতন ত র র জন ত ক স ব ধ নত র রহম ন র র জন ক ত কর ক ষমত ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

থামতে না জানা জাতির ভবিষ্যৎ কী

মানবজীবনের মৌলিক শিক্ষা হলো– থামতে জানা। দৌড় প্রতিযোগিতার যেমন সুনির্দিষ্ট গন্তব্য থাকে, তেমনি ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ধাপে থামার, ভাবার এবং আত্মজিজ্ঞাসার প্রয়োজন আছে। কারও প্রেমে অন্ধ হয়ে, বঞ্চনাবোধ থেকে আত্মহত্যার পথ না বেছে কিংবা অন্যের চরিত্র হননের চেষ্টা না করে মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই থামতে জানার প্রকৃত কৌশল। এমনকি শত্রু মোকাবিলায় ‘ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ প্রতিপক্ষকেও জানতে হয় কোথায় থামতে হবে। অন্যথায় সে নিজেই ষড়যন্ত্রের বুমেরাংয়ের শিকার হয়। ধর্মীয় উগ্রবাদীরা যেমন নারীবিদ্বেষী বক্তব্যে কোথায় থামতে হবে– ভুলে যায়; তেমনি নারীবাদীরাও অনেক সময় ভুলে যায়– প্রাসঙ্গিকতা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় কোথায় থামতে হবে। সীমাবদ্ধতা স্বীকারের শিক্ষা অর্থাৎ থামতে পারা এক ধরনের সৃষ্টিশীলতা।

সবদিক বিবেচনায়, রাজনীতিবিদদের থামতে না জানার পরিণামই সবচেয়ে বিস্তৃত ও ভয়াবহ, যার খেসারত আমরা দিয়ে যাচ্ছি। ক্ষমতার জন্য লালসা এবং বিশেষত নিজেদের মধ্যে যে কোনো জাতীয় অর্জনের ক্রেডিট ভাগাভাগির লড়াই আমাদের স্থায়ী জাতিগত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা আমাদের অজান্তেই অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়াই রাজনৈতিক দায়, দরদ ও সুস্থতার প্রতীক। থামতে না জানার কারণে একের পর এক গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ ঘটে যাচ্ছে, যা জাতিকে নিয়ে গেছে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার মূল আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক শাসন ব্যবস্থা পরিপন্থি সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনীর সংযোজন আওয়ামী লীগ সরকারের থামতে না জানার প্রথম রাজনৈতিক দৃষ্টান্ত স্থাপন। পরের ইতিহাস আমাদের সবারই জানা। সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্রের যে নতুন সূচনা হয়েছিল ১৯৯১ সালে, সেটিও ২০০১ সালের পর থামতে না জানার পথে গড়াতে থাকে। তৎকালীন বিএনপি সরকার বিচারপতিদের বয়সসীমা বৃদ্ধি, নির্বাচন কমিশনের ওপর হস্তক্ষেপ, কেয়ারটেকার ব্যবস্থা দুর্বল করার চেষ্টা করেছিল। এগুলো আমাদের থামতে না জানার ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ আসে ‘ওয়ান ইলেভেন’-এর শাসন। তাদের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঘটলেও কাল হয় তাঁর থামতে না জানা। 

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল সর্বজনীন জনযুদ্ধ। যুদ্ধোত্তর প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ বিশেষত এই সময়ে নিজেকে একক কৃতিত্বের রাজনীতি করে। যার মেকানিক্যাল অ্যাপ্রোচ ছিল– মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির বাইনারি তৈরির মাধ্যমে বিভাজিত সমাজের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়। হয়েছিলও অনেকটা তাই। দেশবাসী দুটি কৃত্রিম জাতিতে বিভক্ত হয়ে হুতু-তুতসির মতো জাতিগত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ব্যক্তিনির্ভর স্বৈরতন্ত্র ও ‘অবিকল্প নেতৃত্ব’ ধারার উত্থান, যা মূলত শেখ হাসিনাকে থামতে না জানা শিখিয়েছিল। এই থামতে না জানা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যখন ২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনকে ‘রাজাকারের আন্দোলন’ বলে ট্যাগ দেওয়া হয়। ফলে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে তাঁর দেশত্যাগ থামতে না জানারই পরিণতি হিসেবে দেখা যায়। 

গণঅভ্যুত্থানের ফসল ঘিরে একক কৃতিত্ব দাবি করতে উদ্যত হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেতরে ‘লুকিয়ে থাকা’ ইসলামী ছাত্রশিবির। বিপত্তির সূচনা তখনই ঘটে, যার চূড়ান্ত প্রকাশ শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উচ্চারিত এক স্লোগানে– ‘গোলাম আযমের বাংলায়, আওয়ামী লীগের স্থান নাই’। জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোথায় থামতে হবে, সেই বোধের অভাব বর্তমান রাজনীতিকে অধিকতর জটিল করে তুলছে বলে মেটান্যারেটিভ হাজির হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠছে, থামতে না জানার ইতিহাসে কি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও যুক্ত হচ্ছে? ধীরে ধীরে এই প্রবণতা স্পষ্ট হচ্ছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ইঙ্গিত দেয়। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘অস্পষ্ট’ সংস্কার নির্ভরশীলতা কিংবা ‘অজুহাত’ এবং নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপের অনুপস্থিতি খুব বেশি দৃশ্যমান না হওয়ায় এই প্রসঙ্গ ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। তাঁকেও কোথাও না কোথাও থামার বা স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার প্রশ্নে দ্বিধাগ্রস্ত মনে হচ্ছে। যদি থামতে না জানেন; রাজনৈতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী তিনিও ব্যর্থতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন, আবারও যার ভুক্তভোগী হবে দেশবাসী। 

বিএনপির ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, কিছু নেতাকর্মীর বেফাঁস বক্তব্য। বিএনপির উচিত হবে আরও সংযত ভাষা ও গণতান্ত্রিক কর্মকৌশল গ্রহণ এবং জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক চর্চা করা। বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সমান্তরালে দেখানো, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ভেতর থেকেও যখন বিএনপিকে আওয়ামী লীগের মতোই ‘দল’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়, তখন রাজনৈতিক বিভ্রান্তি আরও বৃদ্ধি পায়। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্ভাব্য পথ। অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে যদি ঐক্যহীনতা বা একে অপরকে দোষারোপের সংস্কৃতি জেঁকে বসে, তবে সেই ফাঁক দিয়ে বিদেশি শক্তি কিংবা সামরিক শক্তির উত্থান ঘটার আশঙ্কা থাকে।

সমাধান হিসেবে এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকারের রেফারির ভূমিকা অপরিহার্য। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য যত সময় প্রয়োজন, তা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে থামতে, পর্যালোচনা করতে, জনদুর্ভোগ বুঝতে এবং সহনশীল গণতন্ত্রে ফিরে আসার তাগিদ থাকতে হবে।

ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী: বিভাগীয় প্রধান, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সব শহীদের জন্য দোয়া চাইলেন তারেক রহমান
  • একুশে সমকাল শুভেচ্ছা কৃতজ্ঞতা
  •  তারা সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায় : রোজেল
  • যে যেভাবেই বলুক মানুষ নির্বাচন চায়: মিনু
  • নির্বাচনের ডেট দিন, না হলে আমরাই দিয়ে দেব: দুদু
  • গণতন্ত্র পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া
  • গণতন্ত্র আজো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া
  • গণতন্ত্র আজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া
  • থামতে না জানা জাতির ভবিষ্যৎ কী