সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে অনেক জেলা। ঝড়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে কমপক্ষে ৫০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক স্থানে বন্ধ রাখা হয় সংযোগ। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবা।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (বিতরণ) আব্দুর রহিম মল্লিক গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সমকালকে জানান, দু’দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের কমপক্ষে ৫০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তবে সন্ধ্যার মধ্যে একটা বড় অংশের বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। যেসব মোবাইল ফোন টাওয়ার বিদ্যুতের অভাবে অচল হয়ে পড়েছিল, সেগুলো সচল হয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ওই লাইনগুলো মেরামতের কাজ চলছে।
এদিকে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত তিন অপারেটরের অচল হওয়া সাইটের সংখ্যা (টাওয়ার) প্রায় ১৩ হাজার। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ৪ হাজার ৪৭৪টি, বাংলালিংকের ৩ হাজার ২০টি এবং রবির ৫ হাজার ৫০০টি টাওয়ার রয়েছে। তবে গতকাল সন্ধ্যার মধ্যে এসব টাওয়ার ৮০ শতাংশ সচল হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শুক্রবার ফেসবুকে লিখেছেন, নিম্নচাপজনিত ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বিদ্যুৎবিহীন পরিস্থিতির কারণে সারাদেশে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধার করতে নিরলস কাজ করছেন পল্লী বিদ্যুৎসহ টেলিযোগাযোগ সেবার কর্মীরা।
তিনি লিখেছেন, দুর্যোগের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে বরিশাল, দক্ষিণ সিলেট, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা উত্তর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোন সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব দ য ৎ সরবর হ
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহের ৭০ হাজার পশু অন্য জেলায় বিক্রি করা হচ্ছে
ঝিনাইদহের বিভিন্ন খামারে আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলায় কোরবানির উপযোগী পশু রয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার। আর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৬টি পশুর। বাকি পশু রাজধানী ঢাকার বাজার বা অন্য জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় ছোট-বড় মোট সাড়ে ১৮ হাজার খামার রয়েছে। এ সব খামারে কোরবানির জন্য গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৯৫ হাজার ৪৭৫টি গরু, ২ হাজার ২৪৬টি মহিষ, ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৩টি ছাগল এবং ১০ হাজার ৪৫টি ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। জেলার চাহিদা মেটানোর পরও ৬৯ হাজার ৭৫৩টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এসব পশু ব্যবসায়ী ও খামারিরা দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার খামারি রবিউল ইসলাম জানান, তার ফার্মে ৪৫টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিবছরই তিনি কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করেন। তিনি ইতোমধ্যে কয়েকটি বিক্রি করে দিয়েছেন। একদম প্রাকৃতিকভাবে তিনি গরু লালন-পালন করেন। বর্তমানে গরুর খাদ্যের দামও বেশি। তার খামারে ২ লাখ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকার গরু রয়েছে।
আরো পড়ুন:
চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত চাঁপাইনবাবগঞ্জে
গোপালগঞ্জে হাট কাঁপাবে কালো পাহাড়, লালু, পাগলা-১ ও পাগলা-২
সদর উপজেলার এক খামারি শরিফুল ইসলাম মনে করেন, ভারতীয় চোরাচালানের গরু দেশে না আসলে তারা ভালো দাম পাবেন। তিনিও নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরু লালন-পালন করেন বলে জানান।
গরু ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, তিনি জেলার গরু-ছাগল দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন। এবারও ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করার জন্য গরু কিনেছেন।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ এস এম আতিকুজ্জামান জানান, এ জেলায় ১৮ হাজারের বেশি ছোট-বড় খামারি রয়েছেন। মাংস উৎপাদনে জেলার খামারিরা অনন্য ভূমিকা পালন করছেন। জেলার উদ্বৃত্ত পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
ঢাকা/বকুল