সক্ষমতা বাড়াতে স্মার্ট ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট
Published: 1st, June 2025 GMT
স্মার্টফোন এখন আর শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়; বরং বিনোদন, স্বাস্থ্যসেবা ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনের বহুমুখী জরুরি কাজে ব্যবহৃত অপরিহার্য প্রযুক্তি মাধ্যম। বহুমাত্রিক কাজে নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহার অনেকাংশে নির্ভর করে ব্যাটারির পারফরম্যান্সের ওপর। সময়ের চাহিদা পূরণে ডিভাইস যেন অতিরিক্ত গরম না হয়, হ্যাং না করে ও দীর্ঘক্ষণ সক্রিয় থাকে– এমন সবকিছু বিবেচনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক স্মার্ট ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মানোন্নয়ন করে চলেছে নির্মাতারা। আগে ভালো ব্যাটারি বলতে সামনে আসত উচ্চ ক্ষমতার মিলিঅ্যাম্পিয়ার। কিন্তু এখন ব্যাটারি মূল্যায়নে কয়েকটি বিষয় বিবেচ্য।
স্মার্ট ব্যাটারি
অ্যাডাপ্টিভ পাওয়ার অ্যালোকেশন, ইউজার বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস ও তাপ নিয়ন্ত্রণ– এমন আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যাটারির সক্ষমতাকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। যারা প্রবাসে থাকেন, ভিডিওকল, সোশ্যাল মিডিয়া বা নেভিগেশনের মতো ব্যাটারিকেন্দ্রিক কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এসব প্রযুক্তি সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
আলট্রা পাওয়ার সেভিং মোড
সারাবিশ্বের বেশির ভাগ স্মার্টফোনেই এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। অ্যাপ প্রিডিকশন, ব্যাকগ্রাউন্ড টাস্ক সীমিতকরণ ও স্ক্রিন অফ অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় শক্তি খরচ কমিয়ে দেয়। চাইলে নির্দিষ্ট অ্যাপকে অগ্রাধিকার দেওয়া যায় বা ব্যাটারি কমে গেলে আলট্রা পাওয়ার সেভিং মোড সচল করে নেওয়া যায়। ফলে ব্যাটারি ব্যাকআপ যেমন বাড়ে, তেমনি ডিভাইস ব্যবহারে গ্রাহক বাড়তি সুবিধা নিতে পারেন।
চার্জিং প্রযুক্তিতে বিপ্লব
শুধু ব্যাটারি ব্যবস্থাপনা নয়, স্মার্ট চার্জিং প্রযুক্তিতে যুক্ত হচ্ছে দুরন্ত গতি। কয়েকটি ব্র্যান্ডের নোট সিরিজের প্রতিটি মডেলে রয়েছে বর্ধিত মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যার চার্জিং ক্ষমতা ৪৫ ওয়াট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০ ওয়াটে পৌঁছেছে। সঙ্গে রয়েছে ম্যাগচার্জ প্রযুক্তিভিত্তিক ৫০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা। চার্জিং প্রযুক্তিতে এখন এআই প্রযুক্তি কাজ করে, যা চার্জিং স্পিড ও ব্যাটারির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব
ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
স্মার্টফোনে নতুন অধ্যায়
কয়েকটি ব্র্যান্ডের নোট সিরিজে যুক্ত হয়েছে নিজস্ব এআই প্রযুক্তি, যা গ্রাহক আচরণ বিশ্লেষণ করে ডিভাইস পারফরম্যান্স ও অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করবে। অন্য সব ফিচারের মধ্যে রয়েছে ডিপসিক এআই, ওয়ান-ট্যাপ এআই ক্যামেরা আর এআই নয়েস মিউট। রয়েছে বায়ো-অ্যাক্টিভ হ্যালো লাইট নোটিফিকেশন, যা কাজের বিঘ্ন না ঘটিয়ে যথাযথ বার্তা পৌঁছে দেয়।
সব মিলিয়ে সিরিজ ঘরানার ডিভাইসে ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন অধ্যায়ের পথে চলেছে স্মার্ট প্রযুক্তি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কোনো শাস্তি নয়, ক্রম অবনতির কারণেই ছাঁটাই ফারুক: আসিফ মাহমুদ
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে নিজের বাসভবনে ডেকে নিয়ে নেতৃত্ব পরিবর্তনের কথা জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। সরকার নতুন কাউকে বিসিবি সভাপতি হিসেবে বেছে নেবে এমনটাই জানানো হয়েছিল গত বুধবার রাতে। ফারুক আহমেদকে পদত্যাগ করতেও বলা হয়।
কিন্তু পরদিন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক সাফ জানিয়ে দেন পদত্যাগ করবেন না। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বসে থাকেনি। তারা ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে এবং আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বেছে নেয়। পরবর্তীতে আমিনুল প্রথমে বোর্ডের পরিচালক ও পরে পরিচালকদের ভোটে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন।
৪৮ ঘণ্টার হঠাৎ ঝড়েই সব ওলটপালট। ৯ মাস আগে সরকার পরিবর্তনের পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ফারুক আহমেদকে বেছে নেয়। আগস্টের নির্বাচন পর্যন্তই তার মেয়াদ ছিল। অথচ মেয়াদ পূর্তির দুই মাস আগেই তাকে কেনো সরানোর প্রয়োজন হলো সেই উত্তর দুদিনেও সংশ্লিষ্ট কেউ দেয়নি।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ
দুই পরিচালককে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে বিসিবি
সেই উত্তর দিতেই সামনে এলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শনিবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, “প্রথমত যেটা হচ্ছে, এটা কোনো শাস্তি বা এ রকম কিছু না। আমরা দেখেছি বিগত ৯ মাসে বিসিবিতে নতুন নেতৃত্ব আসার পর ক্রিকেটে যে প্রত্যাশা ছিল আমাদের, সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নয়ন আমরা দেখিনি। সরকার আসার পর বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতে আসল। তারপর থেকে আমরা ক্রম অবনতি দেখছি। খুবই দুঃখজনক, যে প্রত্যাশা নিয়ে নতুন নেতৃত্ব এসেছিল…।”
“আমি তো স্পোর্টসের মানুষ না। আমি দশজনের সঙ্গে কথা বলে যাকে এবং সবাই যার কথা বলেছে যে, তিনি ভালো চালাতে পারবেন, তাকেই বোর্ডের বাকি সদস্যরা নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু বিগত সময়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, বিপিএল থেকে শুরু করে সর্বোপরি বাংলাদেশের ক্রিকেটের, আমাদেরকে বিচার করতে হবে পারফরম্যান্স দিয়ে। সেই পারফরম্যান্স আশানুরূপ না,” যুক্ত করেন আসিফ।
সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নেতৃত্বেও পরিবর্তন আসে। তাবিথ আওয়াল বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন। ফুটবলের হঠাৎ জাগরণ বেড়েছে। উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে।
ফুটবলের উদাহরণ টেনে আসিফ মাহমুদ বলেন, “আপনারা দেখেছেন কোনো একটা স্পোর্টসের উন্নয়নে যেতে কোনো সময় লাগে না। যেটা বাফুফেতে দেখেছেন। তাদের নতুন নেতৃত্ব প্রমাণ করেছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রতিটি স্পোর্টসে সহযোগিতা করে এসেছে সাধ্যমতো। বাফুফে সেটা প্রমাণ করতে পেরেছে। তারা ফুটবলকে কেন্দ্র করে নতুন একটি উন্মাদনা ও আশার সঞ্চার করতে পেরেছেন।”
ঢাকা/ইয়াসিন/মেহেদী