জামিন পেলেন জবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আনোয়ারা বেগম
Published: 2nd, June 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন আবেদনে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের বয়স ৭০ বছর। তিনি ৩৫ বছর যাবৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক একজন নারী। তিনি অসুস্থ। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, তিনি জামিন পাওয়ার হকদার।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য রাখা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ৫০০ টাকা মুচলেকায় অধ্যাপক আনোয়ারার জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে আনোয়ারা বেগমের পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বুধবার আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে ওই মামলা হয় রাজধানীর সূত্রাপুর থানায়।
সূত্রাপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়, গত বছরের ১৯ জুলাই রায়সাহেব বাজারের কাছে স্টার হোটেলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে আন্দোলনকারী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গুলি চালানো হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটান।
এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার চোখে গুলি লাগে। বাঁ চোখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। এ ঘটনায় সুজন মোল্লা বাদী হয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সূত্রাপুর থানায় এই মামলা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব গম র
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
নরসিংদীতে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু উত্তোলন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আয়নুন নাহার সিদ্দিকার বেঞ্চ গত ২৫ মে রুলসহ এই আদেশ দেন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে মঙ্গলবার আদেশের কপি তথ্য জানিয়ে রিটকারী আইনজীবী সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট রুলসহ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া এ-সংক্রান্ত আবেদনটি ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। জনস্বার্থে এলাকাবাসীর পক্ষে আলোকবালী গ্রামের হানিফা মিয়ার করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।
আইনজীবী সিরাজ উদ্দিন জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি), সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসককে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, আলোকবালী ইউনিয়নের ১৩৯ জন কৃষকের কয়েকশ’ বিঘা জমি থেকে স্থানীয় ভূমি দস্যু কাইয়ুম মিয়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতে কৃষকরা জমি হারিয়ে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি।