Prothomalo:
2025-11-02@15:16:41 GMT

ঢাকায় টিকে আছে ১৩ লাখ গাছ

Published: 5th, June 2025 GMT

ঢাকায় একের পর এক ভবন হচ্ছে; নতুন নতুন স্থাপনা হচ্ছে। এর মধ্যেও কিছু কিছু জায়গায় আছে গাছ। সরকারের বন বিভাগ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংস্থা ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের করা এক বৃক্ষ জরিপ থেকে জানা গেছে, ঢাকার ৩০৬ বর্গকিলোমিটারে এখনো টিকে আছে ছোট–বড় প্রায় ১৩ লাখ গাছ।

ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই বৃক্ষ জরিপ হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘আরবান ট্রি ইনভেনটরি অব ঢাকা সিটি’। এতে আরও উঠে এসেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গাছের ঘনত্ব বেশি। সেখানে প্রতি হেক্টর জায়গায় গড়ে গাছ রয়েছে ১৫টি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এ সংখ্যা ৭টির মতো।

ঢাকা দক্ষিণে গাছ-আচ্ছাদিত জায়গার পরিমাণ ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। ঢাকা উত্তরে তা সাড়ে ১০ শতাংশ। বৃক্ষ জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার টরন্টোয় প্রায় ২৭ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় ৩৭ শতাংশ ও নিউইয়র্কে প্রায় ২১ শতাংশ এবং জাপানের শিকাগোয় ১৭ শতাংশের বেশি এলাকা গাছে আচ্ছাদিত।

এত দিন ঢাকা শহরে গাছে আচ্ছাদিত জায়গা নিয়ে একেক ধরনের উপাত্ত ছিল। এ গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আমরা ঢাকার গাছ, গাছের ধরন, প্রজাতি, ঘনত্ব ও আচ্ছাদন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলাম।বন অধিদপ্তরের উপ–বনসংরক্ষক (ডিসিএফ) মো.

জহির ইকবাল

ঢাকায় প্রতি সাতজনের বিপরীতে গাছের সংখ্যা একটি। এসব গাছ প্রতিবছর ঢাকা শহরের দূষিত বাতাস থেকে ৫৩৮ টন বস্তুকণা, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন ডাই–অক্সাইডসহ ছয় ধরনের পরিবেশদূষণকারী উপাদান শুষে নেয়। বিপরীতে গাছগুলো বছরে সাড়ে ৫৩ হাজার টন অক্সিজেন জোগায়। ১৩ লাখ গাছের আর্থিক মূল্য ১০৬ কোটি টাকা।

গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বন অধিদপ্তরের উপ–বনসংরক্ষক (ডিসিএফ) মো. জহির ইকবাল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিন ঢাকা শহরে গাছে আচ্ছাদিত জায়গা নিয়ে একেক ধরনের উপাত্ত ছিল। এ গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আমরা ঢাকার গাছ, গাছের ধরন, প্রজাতি, ঘনত্ব ও আচ্ছাদন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলাম।’

প্রথমবারের মতো হওয়া বৃক্ষ জরিপ বলছে, ঢাকায় সব মিলিয়ে ৩৩ গোত্রের ১১০ প্রজাতির গাছ পাওয়া গেছে।

জহির ইকবাল আরও বলেন, নগর উন্নয়নে সবুজকে প্রাধান্য দিতে গেলে নগর–বৃক্ষ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য থাকা দরকার। এ গবেষণা নীতিনির্ধারকদের সবুজকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার পালিত হবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিবসটি পালন করা হয়।

কীভাবে হিসাব

বৃক্ষ জরিপ শুরু হয় ২০২২ সালে নভেম্বরে। উপাত্ত সংগ্রহ শেষ হয় ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল। এরপর উপাত্ত প্রক্রিয়াজাত ও বিশ্লেষণ করা হয় এবং গবেষণা প্রতিবেদন লেখা হয়। সম্প্রতি এটি বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণাটিতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ইউএসএআইডি।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা ঢাকা দক্ষিণের ৩৭০টি ও ঢাকা উত্তরের ৩৮৫টি, মোট ৭৫৫টি প্লট বেছে নেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান রিসার্চ সেন্টারের ‘আই–ট্রি ইকো টুল’ ব্যবহার করে গাছের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। প্লট বেছে নেওয়া হয়েছে স্তরভিত্তিক দৈবচয়ন–পদ্ধতিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফরেস্ট সার্ভিসের সাবেক কর্মসূচি সমন্বয়ক সহদেব চন্দ্র মজুমদার এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাছের সংখ্যা নির্ণয়ে আমরা পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিটি বেছে নিয়েছি।’

কোন গাছ বেশি

ঢাকায় সব মিলিয়ে ৩৩ গোত্রের ১১০ প্রজাতির গাছ পাওয়া গেছে। বৃক্ষ জরিপে ঢাকায় কোন গাছ বেশি, তা–ও উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ১৩ লাখ গাছের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে আম, মেহগনি ও নারকেলগাছ। আরও পাওয়া গেছে বট, কড়ই, আকাশমণি, ইউক্যালিপটাস, অশ্বত্থ, মান্দার, গামার, রেইনট্রি, জারুল, সিন্দুরি, দেবদারু, কাঠগোলাপ, জামরুল, জাম, তেঁতুল, অর্জুন, সেগুন, বহেড়া, কাঠবাদাম, বাবলা, বড়ই, বার্মিজ শিমুল, পাতাবাহার, বরুণ, কর্পূর, তাল, কামরাঙা, কাঁঠাল, হিজল, নিম, বকুল, শজনে, কামিনী, কদম, শিউলি ইত্যাদি গাছ।

গবেষণায় সম্পৃক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক কামাল হোসাইন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার গাছের ৬২ শতাংশ বিদেশি প্রজাতির। সবুজায়নের পরিকল্পনায় সৌন্দর্যবর্ধনের গাছকে প্রাধান্য না দিয়ে আম, মেহগনি, জাম, সাদা কড়ই, কাঁঠাল ও কনকচূড়া প্রজাতির গাছ লাগানো যেতে পারে।

গাছগাছালিতে ভরপুর রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা। গতকাল বিকেলে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ১৩ ল খ গ ছ উপ ত ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সব মাধ্যমে কাজ করতে চান জৌপারী

২০১০ সালে ঢাকায় এসেছেন বান্দরবানের মেয়ে জৌপারী লুসাই। পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন, ঘুণাক্ষরেও অভিনয়ে আসার কথা ভাবেননি। ২০১২ সালে এনটিভির টেলিফিল্ম শেষ বলে কিছু নেই দিয়ে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান জৌপারী। তখন বিএএফ শাহীন কলেজে পড়তেন। এক বন্ধুর কাছে শুনলেন টেলিফিল্মে এক কিশোরী চরিত্রের জন্য শিল্পী খুঁজছেন নির্মাতা মেজবাউর রহমান। পরে অডিশন দিয়ে টিকে যান।

নিজেকে প্রথমবার ছোট পর্দায় দেখে রীতিমতো আপ্লুত হয়েছিলেন। সেই সময়ের অনুভূতিকে অনেকটা ‘প্রথম প্রেমে পড়ার’ মতো বললেন এই তরুণ অভিনেত্রী। টেলিফিল্মটি প্রচারের পর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছিলেন, যেটি তাঁকে অভিনয়ে অনুপ্রাণিত করেছে।


‘রেহানা মরিয়ম নূর’ থেকে ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের আলোচিত সিনেমা রেহানা মরিয়ম নূর-এ মিমি চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন জৌপারী। এটি ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হিসেবে কান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আঁ সার্তে রিগা’ বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খেলনাছবির বিজ্ঞাপন করেছিলাম, সেখানে নির্মাতা সাদ ভাইও ছিলেন।’ খেলনাছবির সূত্র ধরেই সিনেমাটিতে কাজের সুযোগ পান তিনি। ২০১৭ সালে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হন, ২০১৮ সালে শুটিং করেন।
জৌপারী লুসাই বলেন, ‘সিনেমাটি করার আগে অভিনয় নিয়ে খুব একটা বুঝতাম না। সিনেমাটি করার পর অভিনয়কে সিরিয়াসলি নিই। তখন মনে হয়েছিল অভিনয় চালিয়ে যাব। সঙ্গে অভিনয় শিখবও।’

আরও পড়ুনশাকিবের ‘তাণ্ডব’, রাজের ‘ইনসাফ’–এ কাজ করা কে এই তরুণ সংগীত পরিচালক২৫ জুন ২০২৫

বঙ্গ অরিজিনাল সিরিজ বিএনজি-তে অভিনয় করে তরুণ দর্শকের কাছে পৌঁছেছেন জৌপারী। আরেক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সারভাইভ-এও মূল চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘বিএনজি ও সারভাইভ দুটি কাজের জন্যই খুব ভালো রেসপন্স পেয়েছি। দুটি কাজ দেখে অনেকে আমাকে চিনেছেন।’
প্রায় এক যুগের ক্যারিয়ারে কোন কাজটিকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলবেন? জৌপারী বলেন, ‘আসলে এটা আমার পক্ষে বলা কঠিন। প্রতিটা কাজই মন থেকেই করি। আমি কাজ করে যেতে চাই, কাজটাকে ভালোবাসি।’
এর মাঝে অভিনয়ে নিজেকে শাণিত করতে নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ জামিল আহমেদের কর্মশালায় অংশ নেন জৌপারী। জামিল আহমেদ নির্দেশিত আমি বীরাঙ্গনা বলছি-এ একজন নির্যাতিতা পাহাড়ি নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি।

‘পারফেক্ট ওয়াইফ’ ইরা
২২ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া চরকির ফ্ল্যাশ ফিকশন পারফেক্ট ওয়াইফ-এ একজন জাপানি তরুণী ইরার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জৌপারী। ফিকশনটি পরিচালনা করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। ফিকশনটি মুক্তির পর ভালো সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে জৌপারী বলেন, ‘আমার পরিচিতদের মধ্যে যাঁরা কাজটা দেখেছেন, তাঁরা সবাই চরিত্রটা পছন্দ করেছেন। অনেকে বলেছেন, তুমি রোবট না মানুষ।’
সেলিমের পরিচালনায় এবারই প্রথম কাজ করেছেন তিনি। কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো। কারণ, উনি আসলে অ্যাক্টিংটাকে দারুণভাবে ডিল করেন। খুবই আরাম করে আমি কাজ করেছি। অভিনয়ের ক্ষেত্রে পরিচালক অনেক ম্যাটার করে। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ যে রকম আমাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন, যেভাবে ইচ্ছা তুমি করো, ঠিক একইভাবে আমি বলব যে এই চরিত্রটা (ইরা) করতে গিয়ে আমি আমার মনে হয়েছে যে আমি আরও বেশি এনজয় করেছি।’

আরও পড়ুনসব ধরনের চরিত্র করতে চান এই তরুণ অভিনেত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সব মাধ্যমে কাজ করতে চান
ওটিটি, প্রেক্ষাগৃহের সিনেমা থেকে টিভি নাটক—সব মাধ্যমেই কাজ করেছেন জৌপারী। তিনি বলেন, ‘টিভি হোক, ওটিটি হোক কিংবা সিনেমা—সব মাধ্যমেই অভিনয় করতে চাই।’
ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা রেহানা মরিয়ম নূর-এর পর আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। মাঝে এনামুল করিম নির্ঝরের একটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন, তবে সিনেমাটি এখনো মুক্তি পায়নি।
অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিতে চান জানিয়ে জৌপারী বলেন, ‘আমি অভিনয়ের কোন স্টেজে আছি, জানি না। তবে অভিনয়টা আমার প্রফেশন। আমার প্যাশনের জায়গাও। আমি এটা সারা জীবন করে যেতে চাই।’
সামনে কী করছেন? তিনি বলেন, এখনো কোনো কাজ চূড়ান্ত হয়নি, তবে কিছু কাজের কথাবার্তা চলছে। যদি সবকিছু কনফার্ম হয়, তাহলে তো সামনের বছর দেখা যেতে পারে।
জৌপারী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিডিয়া স্টাডিজ ও জার্নালিজমে পড়াশোনা করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন
  • ভারত নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা, কে হবে নতুন নারী বিশ্বকাপ চ‌্যাম্পিয়ন
  • বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতি টিকিটের দাম দেড় লাখ টাকার বেশি
  • গোল্ডেন বুট হাতে এমবাপ্পে বললেন, রিয়ালে আরও বহু বছর থাকতে চাই
  • সব মাধ্যমে কাজ করতে চান জৌপারী