Prothomalo:
2025-07-29@21:11:43 GMT

ঢাকায় টিকে আছে ১৩ লাখ গাছ

Published: 5th, June 2025 GMT

ঢাকায় একের পর এক ভবন হচ্ছে; নতুন নতুন স্থাপনা হচ্ছে। এর মধ্যেও কিছু কিছু জায়গায় আছে গাছ। সরকারের বন বিভাগ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংস্থা ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের করা এক বৃক্ষ জরিপ থেকে জানা গেছে, ঢাকার ৩০৬ বর্গকিলোমিটারে এখনো টিকে আছে ছোট–বড় প্রায় ১৩ লাখ গাছ।

ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই বৃক্ষ জরিপ হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘আরবান ট্রি ইনভেনটরি অব ঢাকা সিটি’। এতে আরও উঠে এসেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গাছের ঘনত্ব বেশি। সেখানে প্রতি হেক্টর জায়গায় গড়ে গাছ রয়েছে ১৫টি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এ সংখ্যা ৭টির মতো।

ঢাকা দক্ষিণে গাছ-আচ্ছাদিত জায়গার পরিমাণ ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। ঢাকা উত্তরে তা সাড়ে ১০ শতাংশ। বৃক্ষ জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার টরন্টোয় প্রায় ২৭ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় ৩৭ শতাংশ ও নিউইয়র্কে প্রায় ২১ শতাংশ এবং জাপানের শিকাগোয় ১৭ শতাংশের বেশি এলাকা গাছে আচ্ছাদিত।

এত দিন ঢাকা শহরে গাছে আচ্ছাদিত জায়গা নিয়ে একেক ধরনের উপাত্ত ছিল। এ গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আমরা ঢাকার গাছ, গাছের ধরন, প্রজাতি, ঘনত্ব ও আচ্ছাদন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলাম।বন অধিদপ্তরের উপ–বনসংরক্ষক (ডিসিএফ) মো.

জহির ইকবাল

ঢাকায় প্রতি সাতজনের বিপরীতে গাছের সংখ্যা একটি। এসব গাছ প্রতিবছর ঢাকা শহরের দূষিত বাতাস থেকে ৫৩৮ টন বস্তুকণা, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন ডাই–অক্সাইডসহ ছয় ধরনের পরিবেশদূষণকারী উপাদান শুষে নেয়। বিপরীতে গাছগুলো বছরে সাড়ে ৫৩ হাজার টন অক্সিজেন জোগায়। ১৩ লাখ গাছের আর্থিক মূল্য ১০৬ কোটি টাকা।

গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বন অধিদপ্তরের উপ–বনসংরক্ষক (ডিসিএফ) মো. জহির ইকবাল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিন ঢাকা শহরে গাছে আচ্ছাদিত জায়গা নিয়ে একেক ধরনের উপাত্ত ছিল। এ গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আমরা ঢাকার গাছ, গাছের ধরন, প্রজাতি, ঘনত্ব ও আচ্ছাদন নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলাম।’

প্রথমবারের মতো হওয়া বৃক্ষ জরিপ বলছে, ঢাকায় সব মিলিয়ে ৩৩ গোত্রের ১১০ প্রজাতির গাছ পাওয়া গেছে।

জহির ইকবাল আরও বলেন, নগর উন্নয়নে সবুজকে প্রাধান্য দিতে গেলে নগর–বৃক্ষ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য থাকা দরকার। এ গবেষণা নীতিনির্ধারকদের সবুজকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার পালিত হবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিবসটি পালন করা হয়।

কীভাবে হিসাব

বৃক্ষ জরিপ শুরু হয় ২০২২ সালে নভেম্বরে। উপাত্ত সংগ্রহ শেষ হয় ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল। এরপর উপাত্ত প্রক্রিয়াজাত ও বিশ্লেষণ করা হয় এবং গবেষণা প্রতিবেদন লেখা হয়। সম্প্রতি এটি বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণাটিতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ইউএসএআইডি।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা ঢাকা দক্ষিণের ৩৭০টি ও ঢাকা উত্তরের ৩৮৫টি, মোট ৭৫৫টি প্লট বেছে নেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান রিসার্চ সেন্টারের ‘আই–ট্রি ইকো টুল’ ব্যবহার করে গাছের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। প্লট বেছে নেওয়া হয়েছে স্তরভিত্তিক দৈবচয়ন–পদ্ধতিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফরেস্ট সার্ভিসের সাবেক কর্মসূচি সমন্বয়ক সহদেব চন্দ্র মজুমদার এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাছের সংখ্যা নির্ণয়ে আমরা পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিটি বেছে নিয়েছি।’

কোন গাছ বেশি

ঢাকায় সব মিলিয়ে ৩৩ গোত্রের ১১০ প্রজাতির গাছ পাওয়া গেছে। বৃক্ষ জরিপে ঢাকায় কোন গাছ বেশি, তা–ও উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ১৩ লাখ গাছের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে আম, মেহগনি ও নারকেলগাছ। আরও পাওয়া গেছে বট, কড়ই, আকাশমণি, ইউক্যালিপটাস, অশ্বত্থ, মান্দার, গামার, রেইনট্রি, জারুল, সিন্দুরি, দেবদারু, কাঠগোলাপ, জামরুল, জাম, তেঁতুল, অর্জুন, সেগুন, বহেড়া, কাঠবাদাম, বাবলা, বড়ই, বার্মিজ শিমুল, পাতাবাহার, বরুণ, কর্পূর, তাল, কামরাঙা, কাঁঠাল, হিজল, নিম, বকুল, শজনে, কামিনী, কদম, শিউলি ইত্যাদি গাছ।

গবেষণায় সম্পৃক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক কামাল হোসাইন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার গাছের ৬২ শতাংশ বিদেশি প্রজাতির। সবুজায়নের পরিকল্পনায় সৌন্দর্যবর্ধনের গাছকে প্রাধান্য না দিয়ে আম, মেহগনি, জাম, সাদা কড়ই, কাঁঠাল ও কনকচূড়া প্রজাতির গাছ লাগানো যেতে পারে।

গাছগাছালিতে ভরপুর রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা। গতকাল বিকেলে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ১৩ ল খ গ ছ উপ ত ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ট্রাম্পের দাবিকে অস্বীকার করলেন মোদি
  • প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের বিনামূল্যে সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 
  • ভোগে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে স্বর্ণকেশী মডেল কেন বিতর্ক ছড়াচ্ছে
  • রাশফোর্ডের অভিষেক, তরুণদের ঝলকে বার্সার জয়
  • প্রথমবারের মতো হামাসকে নিন্দা জানাবে আরব দেশগুলো