চামড়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ইসলামী আন্দোলনের আহ
Published: 9th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহার দিন ঢাকার পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় পীর সাহেব চরমোনাইর পক্ষ থেকে কোরবানির গোশত হাদিয়া হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বংশাল থানা শাখার আয়োজনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুল কাশেম।
বংশাল থানা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি হাজি মুহাম্মদ জহির ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সুলতান আহমাদ, দীনি সংগঠন বংশাল থানার সাধারণ সম্পাদক কাউসার খান বাবুল, মুহাম্মদ রিফাত, আব্দুল্লাহ সাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও অংশ নেন।
চামড়া সিন্ডিকেট নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি
অনুষ্ঠানে বক্তারা কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে চলমান সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। সিন্ডিকেট নির্ধারিত মূল্যে চামড়া না কিনে গরিব ও অসহায় মানুষের সঙ্গে তামাশা করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “ইসলামবিদ্বেষী একটি মহল পরিকল্পিতভাবে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করছে। এ চক্র কওমি মাদরাসাগুলোর অর্থনৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করে শিক্ষা কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই একই সিন্ডিকেট অতীতে দেশের পাটশিল্পকেও ধ্বংস করেছে।”
চামড়ার দরপতন ও সিন্ডিকেটের অনিয়ম বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, “যদি চামড়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।”
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন ম হ ম মদ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যাশনাল গার্ড না দিলে লস অ্যাঞ্জেলেস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন অনেকে। তবে নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি বেশ আস্থা রয়েছে ট্রাম্পের। তিনি বলেছেন, এমনটা না করা হলে লস অ্যাঞ্জেলেস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত।
লস অ্যাঞ্জেলেস ও এর আশপাশে এলাকায় এই বিক্ষোভ শুরু হয় গত শুক্রবার। গতকাল রোববার তা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। এদিন রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। সড়ক অবরোধসহ গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্যকে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত কোনো অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের অনুরোধ সাপেক্ষে সেখানে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট। তবে এবার ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসমের অনুরোধ ছাড়াই বাহিনীটি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর এমন পদক্ষেপের বিরোধিতাও করেছেন নিউসম। তবে তা কানে তোলেননি ট্রাম্প।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল গার্ড’ কী, কখন এই বাহিনী মোতায়েন করা হয়২ ঘণ্টা আগেনিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়ায় সহিংস, উসকানিমূলক দাঙ্গা মোকাবিলার জন্য ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্তটি চমৎকার ছিল। আমরা যদি এমনটা না করতাম, তা হলে লস অ্যাঞ্জেলেস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত।’
আরও পড়ুনলস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে কেন বিপজ্জনক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৫ ঘণ্টা আগেগভর্নর গাভিন নিউসম ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাসের সমালোচনা করে ট্রাম্প লেখেন, ‘চরম অযোগ্য গভর্নর গাভিন নিউসম ও মেয়র কারেন বাসের বলা উচিত ছিল, “ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আপনি খুবই অসাধারণ। আপনি ছাড়া আমরা কিছু করতে পারতাম না।” তবে তাঁরা আমেরিকা ক্যালিফোর্নিয়ার মানুষের সঙ্গে মিথ্যা বলাকে বেছে নিয়েছেন।”
আরও পড়ুনগুজব থেকেই কি লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ৬ ঘণ্টা আগে