বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে জন্মহার কমছে
Published: 11th, June 2025 GMT
ভারতের মুম্বাইয়ে বসবাস করেন নম্রতা নানগিয়া। স্বামী আর পাঁচ বছরের এক মেয়েসন্তানকে নিয়ে তাঁর সংসার। মেয়ের জন্মের পর থেকেই তাঁরা আরেকটি সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু ভাবনা জেঁকে বসে মনে, খরচ বহন করা সম্ভব হবে কি?
একটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে কাজ করেন নম্রতা। তাঁর স্বামী কাজ করেন একটি টায়ার কোম্পানিতে। ছোট্ট এই সংসারে একটি সন্তানের লালনপালনের খরচ ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। সন্তানের বিদ্যালয়ের ফি, স্কুলবাসের খরচ, সাঁতারের ক্লাসের উচ্চ ব্যয়ভার জোগাতে হয়।
কিন্তু নম্রতা নিজে যখন বেড়ে উঠেছেন, তখন এত বেশি খরচ হতো না। নম্রতা বলেন, ‘আমরা তখন শুধু বিদ্যালয়েই যেতাম। সহপাঠ্য বলে কিছু ছিল না। কিন্তু এখন সন্তানকে সাঁতার শিখতে পাঠাতে হয়। ছবি আঁকার ক্লাসে পাঠাতে হয়। খেয়াল রাখতে হয়, ওরা আর কী কী করতে পারে।’
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নম্রতা যে পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন, এটা ক্রমেই একটি বৈশ্বিক ধাঁচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ইচ্ছা অনুযায়ী সন্তান নিতে পারছেন না। এ জন্য সন্তানের লালনপালনের বাড়তি খরচ ও উপযুক্ত সঙ্গীর অভাবকে অন্যতম কারণ বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইউএনএফপিএ ১৪টি দেশের ১৪ হাজার মানুষের ওপর সন্তান নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জরিপ চালিয়েছে। পাঁচজনের মধ্যে একজন বলেছেন, তাঁদের কাঙ্ক্ষিতসংখ্যক সন্তান হয়নি বা তাঁরা সন্তানের আশাও করেননি। থাইল্যান্ড, হাঙ্গেরি, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, জার্মানি, সুইডেন, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় জরিপটি করা হয়েছে।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক–তৃতীয়াংশ এসব দেশে বসবাস করে। এর মধ্যে নিম্ন, মধ্য ও উচ্চ—তিন ধরনের আয়ের দেশ রয়েছে। জরিপ করা হয়েছে তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রজননের সময়মীমা পেরিয়ে গেছে—এমন মানুষের মধ্যে।
ইউএনএফপিএর প্রধান নাতালিয়া কানেম বলেন, বিশ্বজুড়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার হার নজিরবিহীনভাবে কমে গেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সুনামগঞ্জে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিণাপাটি গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশু দুটি হলো বুশরা আক্তার (১০) ও ফাতেহা বেগম (৮)। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন।
হরিণাপাটি গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নিজাম উদ্দিন জানান, হরিণাপাটি গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের বাড়ির পুকুরে বুশরা ও ফাতেহা গোসল করতে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাদের পুকুর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফাতেহা বেগম রফিকুল ইসলামের মেয়ে, আর বুশরা আক্তার রফিকুল ইসলাম বোন রেহেনা বেগমের মেয়ে। বুশরাদের বাড়ি সদর উপজেলার ধারারগাঁও গ্রামে। সে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
নিজাম উদ্দিন বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়রাম্যানকে জানিয়ে পরিবারের লোকজন দুই শিশুর লাশ দাফন করেছেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, বিষয়টি তাঁদের কেউ জানায়নি।