যুক্তরাষ্ট্রে টিকাবিষয়ক পরামর্শক কমিটির ১৭ সদস্যের সবাইকে অপসারণ করা হয়েছে। টিকা নিয়ে সংশয়বাদী হিসেবে পরিচিত দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র তাদের বরখাস্ত করেছেন। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সম্পাদকীয়তে তিনি বলেছেন, অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন প্র্যাকটিসেসের (এসিআইপি) সদস্যদের ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’ টিকার প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ করেছে। আমেরিকানদের জন্য ‘সবচেয়ে নিরাপদ’ টিকা নিশ্চিত করতে চান বলে দাবি করেন কেনেডি।

কেনেডি সোমবার ঘোষণা দেন, এসিআইপির সব সদস্যই ‘অবসরে’ যাচ্ছেন। এই ১৭ সদস্যের মধ্যে আটজন গত জানুয়ারিতে বাইডেন প্রশাসনের মেয়াদের শেষ মুহূর্তে নিয়োগ পেয়েছিলেন। বেশির ভাগ সদস্যই বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকার বিজ্ঞানীদের একটি অংশ টিকা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন কয়েক বছর ধরেই। তাদের দাবির মুখে এই সিদ্ধান্ত নিলেন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কেনেডি নিজেও টিকা নিয়ে কয়েক বছর ধরেই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন। মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তিনি সমালোচনা করেছেন অনেকবার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার পর একের পর নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন কেনেডি। মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশটির খাদ্য ও ওষুধ ব্যবস্থায়ও আমূল পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন। সেই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এবার টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন।

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে যাবে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। কেননা, এই কিমিটিই এতদিন পরামর্শ দিয়ে এসেছে কীভাবে ও কাদের টিকা দেওয়া যাবে। তবে কেনেডি বলছেন, তিনি আশা করছেন, এই সিদ্ধান্তের পর মানুষের আস্থা আরও বাড়বে।

বিবিস লিখেছে, এই পদক্ষেপ কেনেডির শপথবাক্যের সময় দেওয়া আশ্বাসের ঠিক বিপরীত। লুইজিয়ানার রিপাবলিকান সিনেটর ও চিকিৎসক বিল ক্যাসিডি বলেছেন, এসিআইপিতে কোনো পরিবর্তন না করার আশ্বাস তাঁকে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র স ব স থ যমন ত র বরখ স ত কম ট র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

তাইওয়ানে চীনা ক্যাপ্টেনকে কারাদণ্ড

তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলের তাইনান জেলা আদালত সাগরতলের ইন্টারনেট তার কেটে ফেলার দায়ে এক চীনের নাগরিককে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ওই ব্যক্তির নাম ওয়াং। 

তিনি টোগোর পতাকাবাহী ‘হং তাই ফিফটি এইট’ নামক একটি জাহাজের ক্যাপ্টেন। ফেব্রুয়ারিতে তাইওয়ানের কোস্টগার্ড সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁকে চিহ্নিত করে। পরে তদন্তে দেখা যায়, তাঁর জাহাজ থেকে ফেলা নোঙরের আঘাতে তাইওয়ান ও পেংহু দ্বীপের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

যদিও ওয়াং দাবি করেছেন, তিনি ইচ্ছা করে কিছু করেননি। তবে প্রসিকিউশন জানিয়েছেন, জাহাজটির চলাচল প্যাটার্ন, নেভিগেশন চার্ট ও অন্যান্য প্রমাণ ইচ্ছাকৃত ক্ষতি করার দিকেই ইঙ্গিত করে। তাইওয়ানে এ ধরনের মামলায় এটিই প্রথম দণ্ডাদেশ। খবর- বিবিসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ