কুমিল্লা বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ
Published: 10th, July 2025 GMT
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবারের ফল তুলনামূলক খারাপ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে। জিপিএ-৫ পাওয়ার শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৩.
কুমিল্লা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯০২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১২ হাজার ১০০ জন। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ছিল গত বছর ৯৮টি, এবার মাত্র ২২টি।
আরো পড়ুন:
কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭৩.৬৩
দাখিলে পাসের হার ৬৮.০৯, জিপিএ-৫ পেলেন ৯০৬৬ জন
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম ফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে করোনাকালের পাঠদানে ঘাটতি, প্রশ্ন কাঠামোর পরিবর্তন এবং অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্বল প্রস্তুতিকে দায়ী করেছেন।
অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম বলেছেন, “শিক্ষার্থীরা এখনো পুরোপুরি বইমুখী হতে পারেনি।”
বিভাগভিত্তিক পাসের হার সম্পর্কে তিনি জানান, বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮৮.০১ শতাংশ, মানবিক বিভাগে ৪৬.৭৭ শতাংশ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৫৩.৯২ শতাংশ। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছে।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাফিজ বলেছেন, “আমাদের বিদ্যালয়ের ফল ভালো হলেও পুরো বোর্ডের ছবি উদ্বেগজনক। নতুন প্রশ্নপত্র কাঠামো ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে শিক্ষার্থীরা সঠিক প্রস্তুতি নিতে পারেনি। অনেকে ক্লাসেও নিয়মিত ছিল না।”
নবাব ফয়জুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার বলেছেন, “মেয়েদের ফল তুলনামূলক ভালো হলেও সামগ্রিকভাবে প্রস্তুতির ঘাটতি এবং অভ্যাসের অভাব আছে। অভিভাবকরাও যথেষ্ট মনযোগ দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে দ্রুত পরিবর্তন জরুরি।”
ঢাকা/রুবেল/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এসএসস র ফল এসএসস গত বছর
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ৮ নেতাকে অব্যাহতি
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আট নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বায়ক কমিটির এসব নেতার অব্যাহতির কারণ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক দায়িত্বে অবহেলার কথা বলা হয়েছে। তবে কী ধরনের অবহেলার কারণে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, বিজ্ঞপ্তিতে তা উল্লেখ করা হয়নি।
অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন, সাঈদ হাসান ইমন এবং সদস্য মো. রবিউল ইসলাম, জাকির হোসেন রানু, রাকিব হোসেন, ওবায়দুল ইসলাম, আহমেদুল কবীর বাঁধন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক ও শামসুল আরেফিনকে সদস্যসচিব করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।