নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন মুফতি আমির হামজা
Published: 16th, June 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি এখনো ঘোষণা না হলেও আগেভাগেই মাঠে নেমেছেন কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ও ইসলামিক বক্তা মুফতি আমির হামজা।
সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রচারণায় বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ নেন তিনি।
বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি মোড় এলাকা থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলা এই শোভাযাত্রায় সহস্রাধিক মোটরসাইকেলে অংশ নেন জামায়াতপন্থি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
আরো পড়ুন:
জামায়াতে ইসলামীতে কোনো কোন্দল নেই: মুফতি আমির হামজা
আড়াইহাজারে জামায়াতের পথসভায় বিএনপির হামলা, আহত ৫
শোভাযাত্রাটি ইবি থানার সাতটি ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করে। ইউনিয়নগুলো হলো- ঝাউদিয়া, গোস্বামী দুর্গাপুর, মনোহরদিয়া, উজানগ্রাম, পাটিকাবাড়ি এবং আব্দালপুর। শোভাযাত্রাজুড়ে মাইকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান প্রচার করা হয় এবং জনগণের কাছে জামায়াতের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
নির্বাচনী প্রচারণায় আমির হামজার সঙ্গে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম রবিন, ওলামা বিভাগের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াসির আরাফাত জিহাদী, জেলা ইউনিট সদস্য আশরাফুল আযাদ বাবলু, ইবি থানা জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি আব্বাস আলী এবং সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইব্রাহিম খলিলসহ জামায়াতে ইসলামীর কুষ্টিয়া জেলা ও ইবি থানা শাখার গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শোভাযাত্রার আয়োজকরা জানান, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
জামায়াত নেতারা আশা প্রকাশ করেন, জনগণ ন্যায়বিচার, ইসলামি মূল্যবোধ ও সামাজিক কল্যাণের প্রতীক হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লাকে বেছে নেবে।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব