ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একটি বিশেষ বৈঠক করছে। বাংলাদেশ সময়  শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত সেখানে যা যা বলা হয়েছে, তা সংক্ষেপে তুলে ধরেছে আলজাজিরা।

ইরানের জাতিসংঘ প্রতিনিধি ইরানজুড়ে ইসরায়েলের হামলায় বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক আইন রক্ষায় জাতিসংঘকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ইসরায়েলি প্রতিনিধি ড্যানন ইরানি প্রতিনিধির বক্তব্যের পাল্টা জবাবে বলেন, “ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য ইসরায়েল ক্ষমা চাইবে না।”

আরো পড়ুন:

ইরানে হামলার ‘ইসরায়েলি বাহান’ আন্তর্জাতিক আইনে ‘অবৈধ’

জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের প্রতি অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ইরানকে দোষারোপ করেন যে, তারা পারমাণবিক চুক্তিতে সম্মত না হয়ে পরিস্থিতি জটিল করেছে।

রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেন, “ইসরায়েল পারমাণবিক আলোচনা শুরু হওয়ার ঠিক আগের দিন ইরানে হামলা চালিয়েছে। এটিকে তিনি কূটনৈতিক সমাধান খোঁজার প্রচেষ্টার প্রতি ইসরায়েলের স্পষ্ট অবজ্ঞা হিসেবে অভিহিত করেন।

আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সব পক্ষকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করে বলেন, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে দিতে পারে, যার প্রভাব আক্রান্ত রাষ্ট্র ছাড়িয়ে আরো বহু অঞ্চলে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয়: ফরহাদ মজহার 

সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, সাহিত্য সবসময়ই রাজনৈতিক শক্তির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ সাহিত্য বিভাজনকে ভেঙে দেয়, নতুন সম্বন্ধ তৈরি করে। ফলে সাহিত্য কখনো সরাসরি রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠলেও, তা রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করেই টিকে থাকে। রাজনীতি বুঝলে সাহিত্যও বোঝা যাবে। সাহিত্য শুধু জাতীয়তাবাদী বয়ান নয় বরং সার্বজনীনতার আকাঙ্ক্ষাও।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মোহাম্মদ রোমেলের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অধরা শহীদি মিছিল’–এর ওপর পাঠ, আবৃত্তি ও পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাহিত্য ও চিন্তাশীলতার এই আয়োজনে উপস্থিত বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, গবেষক কুদরত-ই-হুদা এবং কবি ও ‘বিবিধ’ পত্রিকার সম্পাদক ইকতিজা হাসান। সঞ্চালনায় ছিলেন লেখক ও চিন্তক উদয় হাসান। আয়োজক ছিল ‘বায়োস্কোপ আড্ডা’।

বই প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, শহীদি মিছিল শুধু একটি বই নয়, এটি একটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মৃতি বহন করে এই নাম। বইয়েই কবিতাগুলো ২০১৩ সাল থেকে লেখা হয়েছে, যার ভেতরে আছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে নতুনভাবে দেখার আকাঙ্ক্ষা।

কবি সম্পর্কে তিনি বলেন, রোমেল এখনো বাইনারি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নন। তাঁর কবিতায় গ্রাম বনাম শহর, নাগরিকতা বনাম প্রকৃতি, আবেগ বনাম যুক্তির দ্বন্দ্ব প্রকট। তবে তিনি এই দ্বৈততার ভেতর থেকেও নতুন ভাষা নির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি করছেন। 

আলোচনায় মোহাম্মদ আজম বলেন, রোমেল প্রচলিত কাব্যধারায় কবিতা লেখেননি। তাঁর কবিতায় বাংলার ভাব, কৃষি, নাগরিক সংকট, রাজনৈতিক ভাষ্য ও একান্ত ব্যক্তিগত অনুভব একত্রে ধরা পড়ে। এইসব উপাদানে ফরহাদ মজহারের ছায়া লক্ষ্য করা যায়।

তিনি আরও বলেন, রোমেলের কবিতা শরীরকে একটি কেন্দ্রীয় মেটাফোর হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রেম, আবেগ, ভালোবাসা সবই সেখানে শরীরের ভেতর দিয়ে প্রকাশিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ