আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে নিজেদের কমিউনিটি গাইডলাইনসে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ভিডিওভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক। এক ব্লগ বার্তায় টিকটকের গ্লোবাল হেড অব ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি সন্দীপ গ্রোভার জানিয়েছেন, ভ্রান্ত তথ্য বা মিথ্যা প্রচার ঠেকাতে নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। একই সঙ্গে বুলিং বা অনলাইন হয়রানিমূলক নীতিও স্পষ্ট করা হচ্ছে। টিকটকের নীতিমালা আরও সহজ, পরিষ্কার ও ব্যবহারবান্ধব করাই এই পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য।

বর্তমানে টিকটকে জরুরি পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি কোনো ভিডিও যাচাই ছাড়া ‘ফর ইউ ফিড’–এ দেখানো হয় না। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, বড় ধরনের সংকট বা নাগরিক ঘটনা–সম্পর্কিত ভিডিওগুলোও যাচাইয়ের আগে একইভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। নতুন নীতিমালায় অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিচারস বিভাগেও বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে টিকটকে লাইভ চলাকালে যা কিছু ঘটবে, তার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে নির্মাতার হবে। এমনকি ভয়েস–টু–টেক্সটের মতো তৃতীয় পক্ষের কোনো টুল ব্যবহার করে ক্ষতিকর মন্তব্য প্রচার করলেও দায় এড়াতে পারবেন না নির্মাতা।

বর্তমানে টিকটকের গাইডলাইনের মূল পেজে কনটেন্ট মডারেশন–সংক্রান্ত নিয়মগুলোর প্রাধান্য রয়েছে। নতুন নীতিমালায় নিরাপত্তা, মানসিক ও আচরণগত স্বাস্থ্য, সংবেদনশীল ও প্রাপ্তবয়স্ক বিষয়, সততা ও স্বচ্ছতা, বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও গোপনীয়তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মানহীন ভিডিওর পাশাপাশি দুশ্চিন্তা বা ভয় ধরানো ভিডিওগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে রিকমেন্ড করা হবে না।

মন্তব্যসংক্রান্ত নীতিতেও আসছে পরিবর্তন। টিকটক জানিয়েছে, আলোচনায় অশ্লীল ভাষা বা আক্রমণাত্মক বক্তব্য থাকলে, সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্চ অপশনের নিচের দিকে সরিয়ে দেওয়া হবে। গ্রোভার জানিয়েছেন, নির্মাতা, বিশেষজ্ঞ ও আঞ্চলিক পরামর্শক কাউন্সিলের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা ও মতবিনিময়ের ভিত্তিতেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নীতিমালা কার্যকর করতে মানবসম্পদ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: ম্যাশেবল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নত ন ন ত ম ল ট কটক র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ