নতুন অধিনায়ক শুভমান গিলের নেতৃত্বে টেস্টে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টের প্রথম দিনটাই একরকম নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারীরা। ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল ও অধিনায়ক গিলের সেঞ্চুরিতে ভর করে ভারত তুলেছে ৩ উইকেটে ৩৫৯ রান। ম্যাচের শুরুটা যেমন দারুণ হয়েছে, তেমনি বাকিরা আরও সেঞ্চুরি করবেন বলে আশাবাদী কিংবদন্তিরা।

জয়সোয়াল ফিরেছেন ১০১ রানে। গিল অপরাজিত ১২৭ রানে। আর উইকেটে আছেন ঋশভ পন্ত, ৬৫ রানে। ব্যাট হাতে ভারতের আধিপত্য দেখে শচীন-সৌরভরা মনে করিয়ে দিয়েছে ২০০২ সালের সুখস্মৃতি। যেখানে প্রথম ইনিংসেই শতক হাঁকিয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলী ও শচীন টেন্ডুলকার। ভারতও সেই ম্যাচে জয় পেয়েছিল।

টেস্টের প্রথম দিনের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ শচীন টেন্ডুলকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘রাহুল ও যশস্বী ভালো সূচনা এনে দেয়ার পর দারুণ একটি দিন গেল। জয়সোয়াল ও গিলকে সেঞ্চুরির জন্য অভিনন্দন। রিশভ পন্তও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।’

এরপর ২০০২ সালের সেই ঐতিহাসিক টেস্টের স্মৃতিচারণ করে শচীন লেখেন, ‘ভারতের ব্যাটিং আমাকে হেডিংলির সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দিল, যখন রাহুল, সৌরভ আর আমি প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলাম ও ম্যাচ জিতেছিলাম। আজ যশস্বী ও শুভমান তাদের কাজটা করেছে। এবার তৃতীয় সেঞ্চুরি কার হবে?’

শচীনের পোস্টে মন্তব্য করেছেন সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীও। তার আশা, সেঞ্চুরির সংখ্যা চারটি হবে! এক্স-এ (সাবেক টুইটার) সৌরভ লেখেন, ‘হাই চ্যাম্প.

..এই পিচে চারটা সেঞ্চুরি হতে পারে। পন্ত তো আছেই, হয়তো করুনও পারবে। ২০০২ সালের চেয়েও আজকের উইকেটটা অনেক ভালো মনে হচ্ছে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ভমন গ ল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’

তাঁদের জীবনের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই। তুমুল প্রেম, বাগ্‌দানের পর সবাই যখন বিয়ের অপেক্ষায়; তখন হঠাৎই আসে বিচ্ছেদের ঘোষণা। এরপর দীর্ঘ সময় গড়িয়েছে, দুজনই ভিন্ন সম্পর্কে থিতু হয়েছেন। তবে নিয়তি বোধ হয় চেয়েছিল তাঁদের পুনর্মিলন, শেষ পর্যন্ত সেটাও হয়। কিন্তু দুই বছর গড়াতেই সম্পর্ক ভাঙে, সম্পর্কের দ্বিতীয় সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি হলিউডের তারকা দম্পতি বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। বিচ্ছেদের পর বছর পার হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে দুই তারকার কেউই তেমন কথা বলেননি। এবার সিবিএস নিউজ সানডে মর্নিং অনুষ্ঠানে এসে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথমবার সবিস্তার কথা বললেন লোপেজ।

একনজরে বেন-লোপেজের সম্পর্ক
প্রথম পরিচয়: ১৯৯৮ সালে, ‘আর্মাগেডন’ ছবির প্রিমিয়ারে।
প্রেম: ২০০২ সালে, ‘গিগলি’ সিনেমার সেটে।
প্রথম বাগ্‌দান: ২০০২ সালে, ২০০৩ সালে বিয়ে করার ঘোষণা।
প্রথম বিচ্ছেদ: ২০০৪ সালে বাগ্‌দান ভেঙে দিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা।
পুনর্মিলন: ২০২১ সালে আবার প্রেম শুরু করেন বেন ও লোপেজ।
দ্বিতীয় বাগ্‌দান: ২০২২ সালে এপ্রিলে দ্বিতীয়বার বাগ্‌দান সারেন।
অবশেষে বিয়ে: ২০২২ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন এই তারকা জুটি।
বিচ্ছেদের আবেদন: ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট বিচ্ছেদের আবেদন করেন লোপেজ।

২৮ সেপ্টেম্বর প্রচারিত অনুষ্ঠানে লোপেজ বলেন, বেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পর তাঁর উপলব্ধি ছিল, এটা তাঁর জীবনের ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনা। বিচ্ছেদকে ‘সেরা ঘটনা’ বলার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে এই গায়িকা-অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা আমাকে বদলে দিয়েছে। এটা আমাকে এমনভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে, যেটা আমার জন্য দরকার ছিল।’

অ্যাফ্লেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা
২০২৪ সালের আগস্টে লোপেজ বিচ্ছেদের আবেদন করেন; চূড়ান্ত হয় ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। ডিভোর্সের সময়ে লোপেজ শুটিং করছিলেন নতুন ছবি ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওমেন’-এর। এ সিনেমায় তাঁর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন দিয়েগো লুনা ও টোনাটিউ। এটি ১৯৯৩ সালের ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি, যা মানুয়েল পুইগের ১৯৭৬ সালের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গল্প আগেও ১৯৮৫ সালে সিনেমার পর্দায় এসেছে, যেখানে অভিনয় করেছিলেন উইলিয়াম হার্ট, রাউল জুলিয়া ও সোনিয়া ব্রাগা। নতুন সংস্করণে জেনিফার লোপেজ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তাঁর প্রথম মিউজিক্যাল চলচ্চিত্রও বটে।

বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। রয়টার্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’