হেডিংলিতে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ভারতের তিন ব্যাটারে আলাদা করে নজর ছিল। একজন নতুন টেস্ট নেতৃত্বভার পাওয়া শুভমন গিল। অন্য দু’জন টেস্ট অভিষেক হওয়া সাই সুদর্শন এবং আট বছর পর ভারতের টেস্ট একাদশে ঢোকা করুন নায়ার। এর মধ্যে অধিনায়ক গিল ঝকঝকে এক সেঞ্চুরি করলেও ডাক মেরেছেন বাকি দু’জন।
ভারতের হয়ে গিল ছাড়াও ওপেনার জশস্বী জয়সোয়াল ও উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্ত দাপুটে সেঞ্চুরি করেছেন। টেস্টের প্রথম ইনিংসে টস হেরে ব্যাট করে তিন সেঞ্চুরির পরও সফরকারী দল অলআউট হয়েছে ৪৭১ রানে।
ভারত প্রথম সেশনের কঠিন চ্যালেঞ্জ পার করে ওপেনিং জুটিতে ৯১ রান যোগ করেন। ওপেনিংয়ে ফেরা কেএল রাহুল ৪২ রান করে ফিরে যান। অন্য ওপেনার জয়সোয়াল ১৫৯ বলে ১০১ রান করে আউট হন। তিনি ১৬টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন।
তিনে নামা সুদর্শন শূন্য করার পর জয়সোয়াল ও গিল ১২৯ রানের জুটি গড়েন। জয়সোয়াল ফেরার পর ২০৯ রান যোগ করেন গিল ও পান্ত। এর মধ্যে গিল ফিরে যান ২২৭ বল খেলে ১৪৭ রান করে। তিনি ১৯টি বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে ওই রান করেন। পান্ত ১৭৮ বলে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে ১২টি চার ও ছয়টি ছক্কা আসে।
পান্ত দলের ৪৫৩ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন। বাকি ১৮ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন শেষের ৪ ব্যাটার। ইংল্যান্ডের হয়ে জস টাঙ ও অধিনায়ক বেন স্টোকস চারটি করে উইকেট নিয়েছেন। ব্রাইডন কার্স ও শোয়েব বাশির নিয়েছেন বাকি দুই উইকেট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ভমন গ ল ঋষভ প ন ত র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান কঠিন সময় পার করতে সক্ষম হবে
ইরানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গতকাল শনিবার ইস্তাম্বুলে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে তিনি ইরানের প্রতি সমর্থন জানান। একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে আঞ্চলিক শান্তির সবচেয়ে বড় বাধা বলে উল্লেখ করেন।
ওআইসির বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, ‘হাজার বছরের সংহতি ও সহনশীলতার শক্তিতে ইরান নিঃসন্দেহে এই কঠিন সময় পার করতে সক্ষম হবে।’ এ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিও যোগ দেন।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ইরানের অনুরোধে ওআইসির সব সদস্যদেশের অংশগ্রহণে একটি বিশেষ বৈঠক গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক ওআইসির ৫১তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনের অংশ হিসেবে ইস্তাম্বুলে আয়োজন করা হচ্ছে।
এবারের সম্মেলনের লক্ষ্য ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে চলমান সংঘাতের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রতিক্রিয়া গড়ে তোলা। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ার এই সংকটময় সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সদস্যদেশগুলো ইসরায়েলের হামলা মোকাবিলা এবং বিস্তৃত আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এবারের বৈঠক হচ্ছে রুদ্ধদ্বার। তাসনিম নিউজের বরাতে বলা হয়েছে, বৈঠকে ৪০ কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস বলেন, বৈঠকে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর হামলার বিষয়টি আলোচনা করা হবে।
এর আগে গত শুক্রবার জেনেভায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন আরাগচি। তবে ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। তবে যুদ্ধ বন্ধে তারা আলোচনা চালিয়ে যেতে চেয়েছেন। ইরান বলেছে, ইসরায়েলি হামলা বন্ধ হলেই কেবল তারা কূটনীতির পথে হাঁটবে। জেনেভা বৈঠকের শেষে আরাগচি বলেন, ‘আক্রমণ বন্ধ হলেই ইরান আবারও কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রস্তুত। আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, ইরানের প্রতিরক্ষাগত সক্ষমতা কোনোভাবেই আলোচনার বিষয় নয়।’
বৈঠকের কিছুক্ষণ পরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে খাটো করে দেখান। তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে কথা বলছি, দেখছি কী হয়।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি মনে করি জেনেভায় হওয়া আলোচনাগুলো সফল হয়নি।’ এদিকে ওআইসির সম্মেলন শুরুর আগে এরদোয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন পরমাণু আলোচনা শুরুর ঠিক আগে ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।