Samakal:
2025-09-20@18:16:23 GMT

বিশ্বকে বদলে দিতে চাই

Published: 21st, June 2025 GMT

বিশ্বকে বদলে দিতে চাই

বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আয়োজনে সম্প্রতি তিন সপ্তাহব্যাপী মর্যাদাপূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রামে (আইভিএলপি) অংশ নিয়েছেন তরুণ অধিকারকর্মী ও ইয়ুথনেট গ্লোবাল-এর নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান। এই সফরে তিনি কী শিখলেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব কাঠামো থেকে এবং কীভাবে বাংলাদেশে তরুণ নেতৃত্ব ও নাগরিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন তা নিয়ে লিখেছেন বিস্তারিত.

.. 


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর নানা ধরনের আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি পরিচালনা করলেও এর মধ্যে সবচেয়ে সম্মানজনক ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মসূচি হলো ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রাম (আইভিএলপি)। গত বছর এই কর্মসূচির জন্য প্রথমবার আমার নাম মনোনয়ন দেয় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস। তৃণমূল পর্যায়ে পরিবেশ, গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকারভিত্তিক কার্যক্রমে সক্রিয়তা এবং তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এই মনোনয়ন আসে। এক বছরের দীর্ঘ যাচাই-বাছাইয়ের পর এ বছরের এপ্রিল মাসে দূতাবাস থেকে পাই চূড়ান্ত নির্বাচনের খবর। খবরটি পাওয়ার মুহূর্তটা আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুভূতির। এটি আমার জন্য শুধু ব্যক্তিগত অর্জন ছিল না বরং দেশের তরুণ সমাজের প্রতি একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও বটে।
আইভিএলপি কী?
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ফ্ল্যাগশিপ পেশাগত বিনিময় কর্মসূচি, যা ১৯৪০ সাল থেকে কার্যকর। আইভিএলপি’র উদ্দেশ্য হলো বিশ্বের উদীয়মান নেতা, নীতিনির্ধারক ও সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও  নেতৃত্ব দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া। এই কর্মসূচিতে কেউ সরাসরি আবেদন করতে পারে না; বরং মার্কিন দূতাবাস থেকে মনোনয়ন আসে অংশগ্রহণকারীর নেতৃত্ব, অবদান ও সম্ভাবনার ভিত্তিতে। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক নেতা এই বিনিময় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন, যাদের অনেকে পরবর্তীকালে হয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান, নোবেল বিজয়ী বা সমাজের পথপ্রদর্শক।
আমার অভিজ্ঞতা
গত ১৭ মে থেকে ৭ জুন ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুব ও কমিউনিটি সম্পৃক্ততা’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি অঙ্গরাজ্যের পাঁচটি শহর সফর করি। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে শুরু করে উত্তর ক্যারোলাইনার শহর র‍্যালি ও শার্লট, নিউ মেক্সিকোর আলবুকার্কি এবং ওয়াশিংটনের সিয়াটলে ২২টি দ্বিপক্ষীয় সভা ও দুটি অংশগ্রহণমূলক কর্মশালায় অংশ নিই। আমাদের দলটি ছিল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার ১০ জন উদীয়মান তরুণ ও সামাজিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গঠিত; যারা প্রত্যেকে নিজ নিজ দেশে তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের কাজে যুক্ত।    
এই সফর আমার জন্য ছিল একদম চোখ খুলে দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা। যখন ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভবনে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে অংশ নিই তখন গভীর উপলব্ধি হয় যে, আমি শুধু একজন অংশগ্রহণকারী নই বরং বাংলাদেশের যুবাদের প্রতিনিধিত্ব করে তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরছি। এই সফরের সময় আমি মার্কিন ফেডারেল সরকার ব্যবস্থা, তরুণ নেতৃত্ব, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, স্থানীয় সরকার এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়ে নতুন ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করি। দুটি আমেরিকান পরিবার পরিদর্শন করা ছিল ভিন্ন ধরনের এক অভিজ্ঞতা। এ সময়ে বাংলাদেশে তরুণরা কীভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেটিও তুলে ধরার সুযোগ পাই। বিশেষ করে আলোচনা করি, কীভাবে বাংলাদেশের তরুণরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া ইয়ুথনেট গ্লোবালের মাধ্যমে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে পরিবেশ ও জলবায়ু সুবিচারের জন্য তরুণ নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ ও আন্দোলনের গল্পও তুলে ধরি বিভিন্ন সভায়। 
আইভিএলপি অভিযাত্রা ছিল আমার জন্য এক অনন্য উপলব্ধি। নেতৃত্ব এখন মানুষে মানুষে সম্পর্ক গড়ে তোলা, বিশ্বাস ও সামাজিক পুঁজি তৈরি করার মধ্য দিয়ে টেকসই পরিবর্তন আনার নাম। এই অভিজ্ঞতা আমাকে আরও দৃঢ় আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ কেবল ভবিষ্যতের নেতৃত্ব নয়, বরং বর্তমানের পরিবর্তনের প্রেরণা ও চালিকাশক্তি। আমি সেই পরিবর্তনের অংশ হয়ে আরও তরুণদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের সমাজ ও বিশ্বকে বদলে দিতে চাই। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র তর ণ ন ত ত ব র জন য আম র জ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশে যা কিছু ভালো, সবকিছু দিয়েছে বিএনপি। তাই নানা নির্যাতন-নিপীড়ন করেও দলটিকে কেউ বিলীন করতে পারেনি। এই দল ফিনিক্স পাখির মতো। একে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে। বিএনপি সেই দল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি।

আজ শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুরোনো স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে এই নেতা বলেন, বর্তমানে দেশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বিএনপিকে। যাদের কাল জন্ম হয়েছে এবং যারা একাত্তর সালে ভিন্ন অবস্থানে কিংবা ভিন্ন জায়গায় ছিল—তারাও বিএনপিকে নিয়ে নানা কথা বলে। যা কিছু ভালো, তার সবকিছু বাংলাদেশে দিয়েছে এই বিএনপি। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিএনপি এই পর্যায়ে এসেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে যে সুযোগ এসেছে এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে—তা কাজে লাগাতে হবে। বিএনপি এ জন্য প্রস্তুত।

দেশ গঠনে বিএনপির অবদান তুলে ধরে দলটির মহাসচিব বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। এর আগে শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র চারটি পত্রিকা চালু রেখে সব পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দেন। তরুণদের এ কথাটা জানা দরকার। শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে আসেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ, কোষাধ্যক্ষ এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী ও আরেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যারা জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল
  • আ.লীগ ১৫ বছরে অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ ফোকলা বানিয়েছে: মঈন খান
  • যারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চাচ্ছে, তারা অশুভ শক্তি: আযম খান
  • অরাজক পরিস্থিতিতে ফেলতে চাচ্ছেন, উদ্দেশ্যটা কী:?
  • যারা নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক করছে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু
  • জুলাই সনদ প্রশ্নে বিএনপি–জামায়াত মুখোমুখি, সমঝোতার নতুন উদ্যোগ ৯ দলের
  • জাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথে ভাঙল ৩ দশকের অচলায়তন
  • সংসদে সংরক্ষিত আসন সংস্কার: আশার আলো নাকি মরীচিকা
  • ‘ভোটারদের আস্থা নিশ্চিত করা বিএনপির দায়িত্ব’