শামীম ওসমানের জমি-প্লট ও ব্যাংক হিসাব ক্রোকের আদেশ
Published: 22nd, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ রোববার এ আদেশ দেন।
আদালতে জমা দেওয়া দুদকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূর্বাচলে শামীম ওসমানের নামে থাকা একটি প্লট ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া উত্তরায় শামীম ওসমানের নামে থাকা ৯ কাঠা জমি ক্রোক করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর বাইরে শামীম ওসমানের নামে থাকা ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদক আদালতের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে, শামীম ওসমান তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের পরিকল্পনা করছেন। তদন্তের স্বার্থে এসব সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। শুনানি নিয়ে আদালত শামীম ওসমানের সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি দুদক শামীম ওসমান, তাঁর স্ত্রী সালমা ওসমান ও শ্যালক তানভীর আহমেদের নামে মামলা করে। মামলায় ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুনস্ত্রী-সন্তানসহ জাহাঙ্গীর কবির ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা১৫ জানুয়ারি ২০২৫ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যান। শামীম ওসমানও দেশ থেকে পালিয়ে যান। এরপর শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ম ম ওসম ন র
এছাড়াও পড়ুন:
রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের পর প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিস্ক্রিয় করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি পন্থা হচ্ছে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।”
আরো পড়ুন:
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: প্রধান কৌঁসুলি
এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি: শেখ হাসিনার আইনজীবী
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এর আগে এ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
তিনি বলেন, “এমন একটি ট্রাইব্যুনাল যেখানে ন্যায্যভাবে অভিযোগ যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়, সেখানে অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না।”
তিনি আরো যোগ করেন, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, এই অভিযোগগুলো হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যেতে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তিনি তার মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত রেকর্ড নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে ছয়টি অংশ রয়েছে।
রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি অনলাইন
ঢাকা/রফিক